হৃৎপিণ্ড (প্রথম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ১ লা এপ্রিল, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



boy-g65d0b9309_1280.png

Source



পিয়াস বড়লোক বাবার একমাএ সন্তান। তার বাবা আমান চৌধুরী শহরের নামকরা একজন ব‍্যবসায়ী। মা একজন গৃহিনী। পিয়াসের মায়ের কাছে তার ছেলে এবং স্বামীই সব। আমান চৌধুরী এবং পিয়াসের মা দুজনই পিয়াসকে অনেক ভালোবাসে। পিয়াস যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো তখন তার নতুন বেশ কিছু বন্ধু হলো। তবে সব ফ্রেন্ড এর মধ্যে আলাদা ছিল অদিতি। অদিতি মধ‍্যবিও পরিবারের মেয়ে। তবে পিয়াস এবং অদিতির মধ্যে অনেক মিল ছিল। ক্রমেই দুজন কাছাকাছি আসতে থাকে। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে অদিতি পিয়াসের থেকে পিয়াসের অবস্থা কে বেশি ভালোবাসত এটা অনেকের ধারণা ছিল। তবে পিয়াস ওসব কানে নিত না। ইউনিভার্সিটির চারবছর অদিতি এবং পিয়াসের মধ্যে কোনো রাগারাগি বা ঝগড়া হয়নি। কারণ দুজন দুজনকে গুরুত্ব দিত। অন‍্য ছেলেদের মতো পিয়াসের চাকরির চিন্তা নেই। লেখাপড়া শেষ করলেই বাবার ব‍্যবসায় বসবে।

পিয়াসের বাবা মা অদিতির সম্পর্কে জানে। অদিতি মধ‍্যবিও পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও তারা কোনো আপওি করেনি। কারণ তাদের কাছে পিয়াসের এর আনন্দ টাই সব। লেখাপড়া শেষ করা মাএই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়ে যায় পিয়াস এবং অদিতির। পিয়াস তার বাবার ব‍্যবসায় বসে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। একদিন দুপুরে অদিতি বাড়িতে বসে আছে এমন সময় অফিস থেকে ফোন আসে।

হ‍্যালো ম‍্যাম।

হ‍্যা। কে আপনি?

ম‍্যাম আমি পিয়াস স‍্যারের অফিস থেকে বলছি। স‍্যার অনেক অসুস্থ। স‍্যারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপনারা দ্রুত আসুন। এই কথা শোনা মাএই অদিতি এবং পিয়াসের বাবা মা চলে যায় হাসপাতালে। গিয়ে দেখে পিয়াসকে ডাক্তার দেখছে। ডাক্তারের নাম রহমান উনি সার্জারি এবং হৃদরোগ স্পেশালিস্ট। পিয়াসের বাবার পূর্বপরিচিত ডাক্তার রহমান। পিয়াসের বাবা আমান চৌধুরী জিজ্ঞেস করে,

হ‍্যালো ডাক্তার। কী হয়েছে আমার ছেলের??

দেখুন আপাতত ধারণা করছি হার্ট অ‍্যাটাক। তবে টেস্ট করার আগে কিছু বলতে পারব না।


mother-g04ebb3e2a_1920.jpg

source


ডাক্তার রহমানের কথা মতো সব টেস্ট করানো হয়। পিয়াস এখন অনেকটা সুস্থ। তবে হাঁটা চল একেবারে নিষেধ। কিন্তু ডাক্তার টেস্ট এর রিপোর্ট দেখে মোটেও খুশি না। ডাক্তার রহমান বেশ চিন্তিত। এটা দেখে পিয়াসের বাবা আমান চৌধুরী জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে আমার ছেলের।

দেখুন আপনার ছেলের হার্টে ব্লক আছে।

বলেন কী। এখন কী করা যায় বলে কান্না করতে থাকে পিয়াসের বাবা।

আহ হা কান্না করবেন না। সাধারণত এগুলো ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু???

কিন্তু কী স‍্যার।

আপনার ছেলের হার্টে একাধিক ব্লক আছে। সেজন্য ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে কাজ হবে না। এতে করে ওর জীবনের ঝুঁকি থেকে যাবে।

এখন কী করা যায় তবে।

একটা উপায় আছে। তবে একটু জটিল।

কী উপায় স‍্যার।

আপনার ছেলের হার্ট প্রতিস্থাপন করতে হবে। এজন্য কোনো মানুষের সুস্থ‍্য হার্ট বা হৃৎপিণ্ড লাগবে।



এই কথা শুনে পিয়াসের বাবা বলে দেখুন স‍্যার আমার টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। যত টাকা লাগে আমি দিব। শুধু আমার ছেলে টাকে সুস্থ্য করে দিন। ডাক্তার বলে ঠিক আছে আমি দেখছি। আশাকরি আপনার ছেলের জন্য এটা আমি করতে পারব। বেশ কিছুদিন এভাবে কেটে গেল। হঠাৎ একদিন ডাক্তার রহমানের হাসপাতালে একটা এক্সিডেন্ট পেসেন্ট আছে। বাইক দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল ছেলেটা। ছেলেটা বয়স একেবারে কম এই ১৮-২০ হবে। ছেলেটার নাম ছিল অরুপ। অনেক চেষ্টা করার পরেও অরুপ মারা যায়। তবে অরুপ অনেক সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। ডাক্তার রহমান জানতে পারে অরুপ এমনটা লিখে গেছে তার মৃত্যুর পরে তার অঙ্গ প্রত‍্যঙ্গ গুলো সে দান করে দিবে।। এটা জানা মাএই ডাক্তার রহমান ফোন করে আমান চৌধুরী কে।।





সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



DSC_0363.JPG

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

গল্পটি বেশ জটিল তা বোঝা যাচ্ছে ৷ আসলে ধন সম্পদ যাই থাকুক একটা সময়ে কোনো কাজে দেবে না ৷ যেটা পিয়াস এর ক্ষেত্রে বাবার কত কিছু ৷ অথচ কিছুই করতে পারছে না ৷যা হোক সেই এক্সিডেন্ট হওয়া ছেলেটির এ হৃদপিণ্ড নিশ্চয়ই পিয়াসের জীবন ফিরিয়ে দিবে এমনটাই প্রত্যাশা৷ যাহোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা৷

 2 years ago 

বাহ খুব সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করেছেন। অদিতি আর পিয়াসের জীবন যাত্রা কি এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তাদের ভালোবাসা কি এভাবে হেরে যাবে? এমন এক রহস্যময় জায়গায় থামিয়ে দিয়েছেন এরপর কি হলো জানতে পারলাম না। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। এমন গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

 2 years ago 

আরেহ বাহ দারুন লিখেছেন ভাই।
আর প্রথম পর্বের এন্ডিংটা ছিল একদম টার্নিং পয়েন্টে। পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল কোনো মুভির স্ক্রিপ্ট পড়ছি হাহা। যাইহোক দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আর যদি মিস করে যাই তবে একটু খোঁচা মেরে দিয়েন।🖤

 2 years ago 

ঠিক আছে ভাই।।

 2 years ago 

আরে বা আপনাতো খুব চমৎকার গল্প লিখেছেন।। তবে পিয়াস এবং অদিতি তাদের প্রেমের সম্পর্ক হল ।এবং একজনকে একজন অনেক পছন্দ করেন।পিয়াস অসুস্থ হওয়ার পর ডাক্তার তার সার্জারি অপারেশন করানোর জন্য বললেন। আমি তো মনে করলাম হৃৎপিণ্ড অদিতি দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে বাইক দুর্ঘটনা ছেলেটি মারা গিয়ে তার হৃৎপিণ্ড দিলে। তবে গল্পটি আপনি অনেক জটিল ভাষায় লিখলেন। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আপনি তো খুব চমৎকার একটি গল্প পোস্ট করেছেন। পিয়াস বড়লোকের সন্তান তবে তার মা-বাবা দুইজন তাকে অনেক আদর করে। এবং অদিতি মধ্য ফ্যামিলির মেয়ে। তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং একজনের সাথে একজন ভালো সম্পর্ক। যদিও পিয়াস অসুস্থ হয়েছেন এবং ডাক্তারের তৎপরতা তার অপারেশন করার জন্য চেষ্টা করতেছে। একটা ছেলে বাইক এক্সিডেন্ট করে মারা গেল তার হৃৎপিণ্ড পিয়াস কে দিয়ে অপারেশন করানোর চেষ্টা করতেছে। তবে এখন পর্যন্ত আর কোন অঘটন দেখতে পাচ্ছি না। আশা করি দ্বিতীয় পর্বে কি হয় তার অপেক্ষা রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 95727.04
ETH 2787.96
SBD 0.67