Rabies বাংলা নাম জলাতঙ্ক(Hydrophobia)
#ছুটিরদিনেরলেখালেখি
Rabies বাংলা নাম জলাতঙ্ক(Hydrophobia)
দুটি পর্বে সাজানো কিছু তথ্য এবং জানার বিষয়।কমিউনিটি মেডিসিন এবং ইন্টারনাল মেডিসিন প্রায়ই লাগে।
আজকের প্রথম পর্ব:
#Rabies হল (ss RNA) ভাইরাস ঘঠিত এক ধরনের #জুনোটিক Disease (অর্থাৎ এই রোগ টি প্রানী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় ।জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন প্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর , ১৮৮৫ সালে ।
#Rhabdovirus ( রেবিস ) ভাইরাস এ রোগের মুল কারণ । ইহা লিসা ভাইরাস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত । মুলত আক্রান্ত প্রাণীর #Salivary গ্ল্যান্ডের নিঃসৃত রস ( লালা ) ও স্নায়ুতে(#Nerve_tissue)এ ভাইরাস অবস্থান নেয় এবং পরবর্তীতে যেকোন ভাবে সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করলেই -ভাইরাসটি আক্রান্ত স্থানের নার্ভটিস্যুতে প্রবেশ করে এবং প্রতিদিন ১২-২৪মিমি করে #ব্রেইনএবংস্পাইনাল কর্ডের দিকে এগুতে থাকে। রেবিস ভাইরাস একবার ব্রেন টিস্যুতে প্রবেশ করলে মৃত্যু ১০০% নিশ্চিত।
#৯৩% বেলায় রেবিস ভাইরাস আক্রান্ত কুকুরের কামড় বা আঁচড়ে মানুষের জলাতংক হয় —এ ছাড়া বাকি #৭% বিড়াল, শেয়াল, বাদুর , বানর, গরু, ঘোড়ার কামড় কিংবা আঁচড় থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে । মোট কথায় আক্রান্ত প্রাণীর লালা যে কোন ভাবে মানুষের শরিরে প্রবেশ করতে পারলেই উক্ত প্রাণী জলাতংক অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে ।
এখানে একটি কথা জেনে রাখা প্রয়োজন — সুস্থ কুকুর বা প্রাণী কামড়ালে রেবিস হয় না । রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর (পাগলা কুকুর বলে থাকি) কামড়ালে বা ক্ষতস্থানে চেটে দিলে সে ব্যক্তি রেবিসে আক্রান্ত হন ইহা নিশ্চিত ।
তারপর ও যদি কুকুরটি সম্মন্ধে ১০০% নিশ্চিত না হতে পারেন অথবা ১০ দিন পর্যবেক্ষণে না রাখতে পারেন অথবা কেউ মেরে ফেলে ইত্যাদি তা হলে একটু ও দেরি না করে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরী । আর যদি দেখা যায় কুকুর টি ১০ দিনের ভিতর মারা যায়নি , তা হলে মনে করা হয় কুকুরটি রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত নয় ।
সেই সাথে যদি রক্তপাত হয় ও ত্বকের ক্ষত স্থানে কামড়ের দাগ পাওয়া যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তাহলে টিকার পাশাপাশি #হিউম্যানরেবিসইমিউনোগ্গ্নোবিউলিন দিতে হবে।
https://www.youtube.com/paulbegley34