🥰 " ভালো থাকার উপায় "🥰 | | 10 % beneficiary for @shy-fox | | ২৭| ১১| ২২ ইং | |
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি সবাই বেশ ভালোই আছেন। সবাই এখন খুব বেশি আনন্দে আছেন।সমগ্র বিশ্বের মানুষ আজ বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে মেতে আছে।এই মুখর পরিবেশে সবার ভাল থাকারই কথা। আমিও বেশ ভালোই আছি।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে অনেক ধরনের মানুষ নিয়ে আমাদের বসবাস।আর সবাই চায় সুখে থাকতে,আর ভাল থাকতে।এই ভালো থাকা নিয়ে মানুষের চিন্তার কোন শেষ নেই। একটু ভালো থাকতে মানুষ কত কি যে করে। এই সমাজের হাজারও মানুষ হাজারও রকমের মন দিয়ে গড়া তাদের মন। কখনও মানুষের মন আপনার মনের মত হবে ,এমনটা আশা করা আমাদের ভুল।নিজের মত চারপাশের মানুষজন হবে,এমনটা আশা করাও ঠিক নয়।সব মানুষ মনের মত হবে তা কিন্তু নয়, সবাইকে নিজের মনের মত পাবেন না,তবে কি আমাদের জীবনে হাসি-আনন্দ হারিয়ে যাবে ? কষ্টে কষ্টে জীবন কি আমাদের হতাশায় ডুবে যাবে ? না ,না একদম নয়। আজ সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম।কিভাবে আমি আমার মত করে ভালো থাকার চেষ্টা করি,তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব কিভাবে ভালো থাকা যায়।
Canva দিয়ে বানানো
আমরা মানুষ ভিন্ন,আমাদের চাওয়া-পাওয়া,চিন্তা-চেতনা ভিন্ন। আমাদের ভাল থাকার ধরনও ভিন্ন।আমি আমার মত ভালো থাকার চেষ্টা করি,আর ভালো থাকিও।কিন্তু আপনাদের মতের সাথে মিলবে ,এমনটা নাও হতে পারে। আমার ভালো থাকার উপায়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি ,আপনাদের ভাবনার সাথে না মিললে স্কিপ করে যাবেন।তবে চলুন শুরু করি --
ভাল থাকার উপায়
ভালো থাকতে অনেক উপায় আছে আমি জানি।কিন্তু আমি সব সময় তিনটি উপায় ফলো করি,তাই আপনাদেরকে বলছি।
প্রথম উপায়ঃ
প্রথমত আমাদের চাহিদাকে সর্ব অবস্থাতে কমাতে হবে,অনেক বেশি চাহিদা আমাদেরকে ভাল থাকতে দেয় না।তাই আমাদের সকলের উচিত অনেক বেশি কোনকিছুর আকাঙ্ক্ষা না করা।অল্পতে তুষ্ট আমাদের থাকতে হবে।এরপর যা করতে হবে,যে যার ধর্মে কিছুটা হলে ও সময় দিতে হবে।ধর্মে মনোনিবেশ করলে আত্মার শান্তি সাধিত হয়। তাই সকলের উচিত ধর্মে মনোনিবেশ করা।
দ্বিতীয় উপায়ঃ
দ্বিতীয় উপায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন ।খুব গুরুত্বপূর্ণ বলার কারন আমরা সবাই অনেক কাজ করি কিন্তু নিজের জন্য একটু সময় ও বের করি না। নিজের সময় বলতে অনেক কিছুই হতে পারে। ধরেন,কেউ গাছ লাগাতে ভালোবাসে,কেউ মাছ ধরতে ভালোবাসে ,কেউ বা বই পড়তে, কেউ বা কোন পশু-পাখি পালন করতে,কেউ বা হাসির নাটক বা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দেখতে,কেউ বা প্রিয় মানুষের সাথে গল্প করতে,যে যেটাই পছন্দ করেন না কেন,নিজের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় হলেও নিজের করে কাটাবেন।আমি মাঝে মাঝে হাসির নাটক, কার্টুন দেখি আমার মাইন্ড ঝরঝরে হয়ে যায়।বিশ্বাস না হলে,আপনারা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন।আর একটি কাজও আপনারা করতে পারেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসি মুখ করে নিজেকে দেখবেন কিছুক্ষন।বিশ্বাস করেন,নিজের হাসি মুখ দেখলে আপনার মন এম্নিতেই ভালো হয়ে যাবে,এটাও নিজেকে কিছু সময় দেয়ার আর একটি উপায়।
তৃতীয় উপায়ঃ
এবার আসি তৃতীয় উপায় নিয়ে। এই পর্যায়ে আমি নেগেটিভ মনের মানুষ থেকে নিজেকে সব সময় সরিয়ে রাখি।আমি যা করি তাই বলছি।আমি আসলে সব ধরনের ,সব বয়সের সব মানুষের সাথেই খুব ভালভাবে মিশে যেতে পারি।তারপরেও আমি যে কাজটা করি,তা হল নিজের মধ্যে পজিটিভ চিন্তা করি ।আর চিন্তা করি পজিটিভ মানুষের সংস্পর্শে থাকার।নেগেটিভ মনের মানুষদেরকে আমি এড়িয়েই চলি।আমি মনে করি নেগেটিভ মনের মানুষের সাথে থাকলে আমার মধ্যে যে পজিটিভ দিক রয়েছে তা হারিয়ে ফেলব।পজিটিভ থাকা খুব বেশি দরকার । কারন দিনশেষে আমার ভাল থাকাটা শুধু আমারই যে তা কিন্তু নয়।আমার সাথে আমার পরিবার যুক্ত।আমি ভাল থাকা মানে,আমার পরিবার ভাল থাকা।তাই নিজের ভাল থাকাটা নিজেই করি।আর এভাবেই আমি অনেকবেশি ভাল থাকতে পারি।
আশাকরি আমার ভাল থাকাটা আমি কিভাবে থাকি আপনাদের তা বুঝাতে পেরেছি।আপনারা চাইলে আমার দেয়া এই ধাপ গুলো ফলো করতে পারেন।আশাকরি ভাল থাকাটা কিছুটা হলেও থাকতে পারবেন।আজ এই পর্যন্তই। আশাকরি ভালো থাকার উপায়গুলো আমি আপনাদের কাছে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভাল থাকবেন।
আপু আপনি আজকে খুব মূলবান একটি পোস্ট করেছেন। এখানে ভাল থাকার যে তিনটি বিষয় আপনি তুলে ধরেছেন তার প্রত্যেকটিই আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা, নিজেকে সময় দেওয়া আর নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার মানুষগুলো কে জীবন থেকে সড়ানো গেলেই আমরা অনেকটা ভাল থাকতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ আপু। মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ভাল লাগলো।
আরে বাহ!!!
খুব চমৎকার আর টপিক তুলে ধরেছেন ৷ যেটা আসলে বাস্তব এবং সত্য ৷ মানুষের জীবনে যাই হোক তবুও মানুষ দিনশেষ ভালো থাকতে চায় ৷ তবে এই ভালো থাকতে গিয়ে মানুষ কতকিছু করে থাকে ৷ শুধু একটু ভালো থাকার জন্য ৷
তবে আমার মনে হয় শুধু সুখের পিছনে দৌড়ানো ঠিক নয় ৷ আমাদের সমাজে সবাই এটাই ভাবে ৷ যে সুখ বলতে অর্থ সম্পদ এগুলো ৷ কিন্তু আমি মনে করি সুখ হলো একটি একান্ত ব্যক্তিগত অভন্তরীন বিষয় ৷ তাই জীবনে যাই কিছু হোক ৷ নিজেকে সবসময় হাসিতে রাখুন চিন্তা মুক্ত থাকুন ৷ ব্যাস তাহলে আপনি বা আমি সুখী ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগলো।
সত্যি আপু নেগেটিভ চিন্তা ধারার মানুষদের থেকে যদি আমরা দূরে থাকি তাহলে অবশ্যই ভালো থাকতে পারবো। আর আমাদের ভালো থাকার অন্যতম প্রধান উপায় হল নিজের চাহিদা কমিয়ে আনা। সুন্দরভাবে আপনি উপদেশমূলক কিছু কথা তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই আপু দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আজ ৷ সত্যিই আমরা সবাই চাই ভালো থাকতে , সুখে থাকতে ৷ সুখে থাকার জন্য কত কিছুই না করি ৷ নিজের ভালো থাকার আপনার ভাবনা চিন্তা গুলো সত্যিই চমৎকার ছিলো ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা এই পোস্টটি পড়ে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।
যা কিছু আমার আছে মূলতঃ তা নিয়ে তৃপ্ত থাকলেই ভাল থাকা যায়। অসুস্থ প্রতিযোগিতে থেকে নিজেকে দূরে রাখলেই সুখে থাকা যায়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজ আপনি শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অভিনন্দন আপনাকে ও।
একদম সত্যি বলেছেন আপু নেগেটিভ চিন্তার মানুষের সাথে মিশলে নিজের চিন্তা ধারা ও নেগেটিভ হয়ে যাবে।সত্যি ভালো থাকতে হলে আমাদের প্রথমে চাহিদা কমাতে হবে, চাহিদা না কমালে আমারা কখনো ভালো থাকতে পারবো না।আর নিজের ধর্মের জন্য আমাদের অবশ্যই সময় দিতে হবে।সমাজে একজনের চিন্তা ধারা একেক রকমের, তবে আমাদের ভালো থাকার জন্য নিজের চিন্তা ধারাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
অনেক ভাল লাগলো আপু মন্তব্য পেয়ে।
যে তিনটি উপায় আপনি ভাগ করে নিয়েছেন আমাদের সাথে,তিনটি উপায়ই খুব মোক্ষম। তার মধ্যে দ্বিতীয় উপায়টা খুবই জরুরী। নিজেকে ভালো না বাসলে পজিটিভলি চার্জ থাকা যায় না। তাই নিজেকে ভালোবাসা, নিজেকে সময় দেওয়া এবং নিজের যত্ন নেওয়া এই তিনটেই খুব জরুরী।আর হল তৃতীয় উপায়টিও, নেগেটিভ মাইন্ডেড মানুষদের নিজের থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে রাখতে হবে। আর যদি কোন ভাবে সামনে পড়েও যায়,তাদের সাথে হাই-হ্যালো করে পালিয়ে যেতে হব।নিজের জীবনের খারাপ সময়ে বুঝতে পেরেছি,আমার মা-বাবা ছাড়া আমার পাশে দাঁড়ানোর মত আর কেউ নেই।কেউ না।
অনেক ধন্যবাদ দিদি। মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো।
খুব সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন আপু। নিজেকে সময় দেয়া হলে তখন নিজের মন-মানসিকতাও ভালো থাকে। আর যে কোন কাজ খুব ভালোভাবেই করা যায়। এতেই কিন্তু শান্তি পাওয়া যায়। আমি নিজেও প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের নাটক এবং হাসির ভিডিওগুলো দেখি। কারণ মন ঠিক না থাকলে তখন অন্যান্য কাজেও মন বসে না। ভালো থাকার কারণগুলো খুব সুন্দর করে উল্লেখ করেছেন আমাদের মাঝে। আমাদের সবারই অল্পতে খুশি থাকা উচিত। কোন কিছুর প্রতি অতিরিক্ত আশা রাখা একদমই উচিত নয়। একটা সময় আমিও অনেককিছু আশা করতাম, এখন আর করিনা।তাই না পেলেও কষ্ট লাগে না।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ও আপু।
সত্যি আপু নেগেটিভিটি চিন্তা করার মানুষদের কাছ থেকে যদি আমরা দূরে থাকি তাহলে অবশ্যই ভালো থাকতে পারা যাবে বলে আশা করছি।আর আমাদের চাহিদা কমিয়ে আনলে ভালো থাকা খুব সহজে হয়ে যাবে। আপনার উপদেশ গুলো ভালো লাগলো পড়ে। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর কিছু কথা আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।
আপু ভাল থাকার জন্য আপনার তিনটি উপায় আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। অল্পতে তুষ্ট থাকলে সতিই ভাল থাকা যায়। হায় হায় নাই নাই করলে জীবনে কষ্ট ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপু।