জেনারেল রাইটিং - শব্দ দূষণ
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে শব্দ দূষণ।
Photo editing by mobile app
দূষণ শব্দটার সাথে আমরা ব্যাপক পরিচিত। হাই স্কুল কলেজ লাইফে আমরা দূষণ শব্দটাকে কেন্দ্র করে অনেক প্যারাগ্রাফ পড়েছে। যেমন শব্দ দূষণ বায়ু দূষণ পানি দূষণ ইত্যাদি বর্তমান সময়ে জীবন চলার পথে আমি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করছি শব্দ দূষণটা। প্রত্যেকদিন ঘুম থেকে উঠলেই যেন বিভিন্ন শব্দ দূষণের সম্মুখীন হতে হয়। আর এই শব্দ দূষণটা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রাম থেকে শহরের সর্বস্থানে। প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণের মধ্য দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। প্রতিদিনের বিভিন্ন রকমের শব্দ দূষণের ফলে আমরা বেশ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ি। আমি আমার দিক বিবেচনা করেই আপনাদের মাঝে শব্দ দূষণ ব্যক্ত করছি।
ঘুম থেকে উঠে আমি লক্ষ্য করে থাকি বিভিন্ন রকম পাখির শব্দ দিয়ে শুরু হয় আমার যাত্রা। তবে পাখির শব্দগুলো মধুর লাগে। সেগুলো কোন শব্দ দূষণের আন্ডারে পড়ে না। শব্দগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে। কিন্তু এরই মধ্য দিয়ে লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন পশু পাখির অবাঞ্ছিত শব্দ। আমার বাসার আশেপাশে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষেরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিল্লাপাল্লি করতে থাকে। যেগুলো নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। কিন্তু এক বাসা থেকে আরও আশেপাশের দু পাঁচ বাসার মানুষ শুনতে পারে। এটা কিন্তু আমরা কখনো কেউ ভালো দৃষ্টিতে দেখবো না। এরপর নিকটে রয়েছে ছাত্রাবাস। সেখানে বিভিন্ন স্টুডেন্টদের চেঁচামেচি। হয়তো প্রয়োজনে তারা জোরে কথা বলে। কিন্তু মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক থেকে আরও এক্সট্রা কথা যুক্ত হয় যেগুলো অবাঞ্ছিত। আর এভাবেই মানুষের শব্দ বিভিন্ন পশু পাখির শব্দ যেন এক প্রকার অতিষ্ঠ করে তোলে।
এরপর পথে বের হলে লক্ষ্য করি গ্রামে বিভিন্ন রকমের খাবার ও সবজি বিক্রেতারা তাদের জিনিস বিক্রয় করছে মাইকে লাগামহীন সাউন্ড ব্যবহার করে। এই যে মাইকের শব্দগুলো আমার কাছে এতটাই বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। এগুলো আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না। গ্রামের বাড়িতে এগুলো আমি একটু বেশি লক্ষ্য করি। সেখানে সারাদিন বিভিন্ন বিক্রেতা আসা-যাওয়া করতেই থাকে আর মাইক এর সাউন্ড ব্যবহার করতে থাকে। এদিকে কিছু ফকির রয়েছে যারা মাইক বাজিয়ে ভিক্ষা করে থাকেন। একই রকম শব্দ কথা বারবার প্লে হতে থাকে। যা সত্যি সহ্য করাটা কঠিন। কেউ রয়েছে গান-বাজনা বাজাতে থাকে আবার কেউ রয়েছে ওয়াজ মাহফিলের শব্দ নিয়ে। আবার কেউ রয়েছে নিজের অ্যানাউন্স নিয়ে। আর সব মিলে যেন বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ফেলে মানুষের মাঝে। যেগুলা সহ্য করাও কঠিন আবার সহ্য করতে হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত টাপ হয়ে যায়। এরপর গ্রামীণ রাস্তা পার হয়ে হাইরোডে আসলে বিভিন্ন রকম গাড়ি ঘোরার শব্দ যেন কান ঝালাপালা করে দেয়। যতক্ষণ বাজারের মধ্যে উপস্থিত থাকা চাই, ততক্ষণ বাজারে বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতির আওয়াজ চলতেই থাকে।
বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন মেশিনের শব্দ। ড্রিল মেশিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেশিনের কার্যকলাপের শব্দ যেন কানে আসতে থাকে। এর মধ্য দিয়ে আবার বিভিন্ন গানের শব্দ বিভিন্ন রকমের। যখন কোন কারনে মাথায় একটু যন্ত্রণা মনে হয়, তখন একটু নীরবতা পরিবেশ প্রয়োজন মনে করি কিন্তু বিভিন্ন শব্দ যেন আরো যন্ত্রণা বাড়িয়ে তোলে। এরপর যদি অফিস পর্যন্ত এগিয়ে যাই সেখানেও লক্ষ্য করে থাকি বিভিন্ন সাউন্ড। আর এভাবে দৈনন্দিন জীবনে আমি লক্ষ্য করে চলেছি প্রয়োজনে চেয়ে অপ্রয়োজনীয় সাউন্ডের শেষ নেই। এ ছাড়া কোন দিবসকে কেন্দ্র করে দেখা যায় রাতে ছেলেরা বিভিন্ন সাউন্ড বক্সের সাউন্ড যে গান-বাজনা করে থাকে। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে সবাই চায় রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে। কিন্তু ওই যে গান বাজনা ডিজে পার্টির বড় মাইকেল সাউন্ড। দূর থেকে দূরে ভেসে আসে। এতে লেখাপড়া সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজ করতে গেলে অনেক বিভ্রান্তির শিকার হতে হয়।
তাই আমি সর্ব দিক বিবেচনা করে একটা কথাই আপনাদের মাঝে ব্যক্ত করব। প্রয়োজন ছাড়া অপ্রয়োজনে এক্সট্রা অতিরিক্ত চিল্লাপাল্লা থেকে বিরত থাকুন। নিজের প্রয়োজনে গান যদি শুনতে হয় নিজের কান পর্যন্ত পৌঁছাবে এমন ব্যবস্থা রেখে অন্যজনকে বিভ্রান্তি করবেন না। আপনার নিকটস্থ কেউ যদি রাত জেগে সাউন্ড বক্সের গান শুনে জোরে জোরে সেগুলা বন্ধ করার চেষ্টা করুন। গ্রামের মধ্য দিয়ে বা আপনার বাসার পাশ দিয়ে জোরে মাইক চালিয়ে কোন বিক্রেতা কোন কিছু বিক্রয় করলে তাদেরকে একটু বুঝিয়ে বলুন। রাস্তায় গাড়ি চালানোর মুহূর্তে অপ্রয়োজনে এক্সট্রা ব্যবহার করবেন না। যার ফলে মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হয়। সর্বোপরি আপনার নিকটের পরিবেশটাকে শান্ত সৃষ্ট রাখার চেষ্টা করুন শব্দ দূষণ থেকে। আপনি আপনার রুমে বসে গান শুনছেন খেয়াল রাখবেন আপনার এই গানের সাউন্ড আপনার পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার যেন ক্ষতি না হয় এমনকি বৃদ্ধ মানুষদের অসুস্থতার মুহূর্তে বিভ্রান্তির শিকার হতে না হয়। টিভিতে নাটক সিনেমা দেখার মুহূর্তেও ভলিউমটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখুন। আপনি যতটা শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করবে তার চেয়ে সজাগ থাকুন অন্যরা যেন এই বিষয়ে অবগত থাকে। তাহলে আমাদের এই সজাগ দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা সুন্দর শব্দ দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হব।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | শব্দ দূষণ |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক
অনেক সুন্দর সুযোগ সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আপনি একটি পোষ্ট লিখেছেন। আপনার চিন্তা চেতনা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শব্দ দূষণ আমিও পছন্দ করি না। আমি প্রত্যেকদিন লক্ষ্য করে দেখি আমাদের এখানে অতিরিক্ত মাইকের সাউন্ড। বিভিন্ন বিক্রেতাদের দ্বারা শব্দ দূষণ হচ্ছে। আর রাতে তো অনেক জায়গায় গান-বাজনা চলে। আমাদের এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
ইবতেদায়ী শ্রেণী থেকে হাই স্কুল এবং উচ্চ মাধ্যমিক সহ প্রত্যেকটা সেক্টরেই শব্দ দূষণ সম্পর্কে অনেক স্টাডি করেছি। আসলে দিনটাতে অনেকজন অনেক ভাবে শব্দ দূষণ করে চলেছে। যেমন আপনি বললেন সবজিওয়ালারা মাইকের মাধ্যমে চিল্লিয়ে সবজি বিক্রি করছে,ড্রিল মেশিন ,তাছাড়াও বিভিন্ন দোকানে এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে শব্দ দূষণ হয়ে চলেছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত যথাসম্ভব শব্দ দূষণকে এড়িয়ে চলা এবং এটা থেকে বিরত থাকা। তবেই একটি পরিমার্জিত সমাজ তৈরি হবে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন
এখন রাস্তাঘাটে বেশিরভাগ সময় মাইকে অনেক ধরনের বার্তা দিয়ে থাকে। তবে এগুলো শব্দ দূষণের দিক পরে। এমনকি প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত শব্দ করলে আমার একদমই পছন্দ হয় না। বেশি শব্দ বা আওয়াজ আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমার কাছে মনে হয় আমাদের প্রয়োজনের বাইরে কোন শব্দ না করা। এতে নিজের এবং অন্যের ক্ষতি। শব্দ দূষণ নিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
বিভিন্ন শব্দগুলো আমাদের অনেক ক্ষতি করে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আপনি লিখেছেন ভাইয়া। আমি তো প্রত্যেকদিন শব্দ দূষণের সম্মুখীন হয়ে। সকাল ভোরে রান্না করতে উঠি। আপনার ভাইয়াকে বিদায় করে দুপুরে বাবুকে একটু ঘুম পাড়াতে গেলে নিজে একটু ঘুমাতে গেলে বিভিন্ন বিক্রেতার মাইকের শব্দে ঘুমাতে পারি না। এতে খুব নার্ভাস হতে হয় শারীরিক দিক থেকে। আসলে সবাই যদি একটু সজাগো সচেতন হয় তাহলে সত্যি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা যায়।
হ্যাঁ, এখন কিন্তু এই সাউন্ড অনেক বেশি
আসলে শব্দ দূষণ এখন এত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে যা একেবারেই বলার বাহিরে। কারণ এখন মানুষজন এমন ভাবে শব্দের ব্যবহার করছে যার ফলে শব্দ দূষণ হচ্ছে নাকি কি হচ্ছে তারা তা কোন ভাবে ভেবেচিন্তে দেখেনা৷ তারা তাদের সবার নিজের মতো করেই শব্দ দূষণ করছে এবং শহরের কথা না বললেই নয়৷ সেখানে একেবারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৪ ঘন্টাই শব্দ দূষণের শিকার মানুষজন হয়ে থাকে৷ এর ফলে সবাই অনেক কষ্টে থাকে৷ তবে এই শব্দ দূষণ বন্ধ করার জন্য সকলেরই উচিত সোচ্চার হওয়া উচিৎ৷ এর বিরুদ্ধে যেসকল পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করা যায় সেগুলো গ্রহণ করা উচিৎ। আজকে আপনি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেকগুলো কথা শেয়ার করেছেন যা পড়ে খুব ভালো লাগলো৷
হ্যাঁ তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে শব্দ দূষণ কম করার