বন্যার গল্প
আজকের দিনটি ছিল অন্যরকম। সকালে সূর্য উঠলেও আকাশের মুখ ভারী ছিল। বৃষ্টি শুরু হয় দুপুরের দিকে, কিন্তু সেই বৃষ্টি ছিল যেন থামার নামই নিচ্ছিল না। ক্রমাগত বর্ষণে শহরের রাস্তাঘাট ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যেতে থাকে। বাড়ির দরজার সামনে যখন পানি এসে পৌঁছালো, তখন মনে হল এ যেন এক ভয়াবহ বন্যা।
রাস্তার পাশের নালাগুলো উপচে উঠে, পানির স্রোত যেন সারা শহরকে গ্রাস করে ফেলল। শহরের নিচু এলাকা গুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট সবই পানির নিচে চলে গেছে। কিছু মানুষ তাদের প্রিয় জিনিসপত্র রক্ষা করার চেষ্টা করছিল, কিন্তু পানির স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে কিছুই করা যাচ্ছিল না।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শহরের গরিব মানুষগুলো। তাদের কাঁচা বাড়িগুলো পানিতে ভেসে গেছে। ছোট ছোট শিশু আর বয়স্ক মানুষরা ঠান্ডায় কাঁপছে, আর কোনো আশ্রয়ের জন্য এখানে-সেখানে ছুটছে। শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে; রাস্তায় গাড়ি চলে না, দোকানপাট বন্ধ, মানুষের মাঝে আতঙ্ক।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বৃষ্টি কিছুটা থেমে যায়, কিন্তু তখনও আকাশে মেঘের ঘনঘটা। রেডিওতে শোনা গেল আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। মানুষের মনে এখন শুধু একটি চিন্তা—এই বন্যা থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায়। আজকের এই দিনটি সকলের মনে এক অন্ধকার অধ্যায় হয়ে থাকবে, এক ভয়াবহ বন্যার গল্প হিসেবে।