বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২২ শে সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল চারে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আমি আমার বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা ছয় জন ফ্রেন্ড মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে কি কি করলাম সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করি।
প্রায় তিন মাস মতো আগের কথা। সেদিন ছিলো আমাদের এক বন্ধুর জন্মদিন। আমার বন্ধুর নাম জিসান। ও হঠাৎ করেই আমাদের বন্ধু হয়ে ওঠে আবার হঠাৎ করেই আমাদের সবাইকে ছেড়ে বিদেশে চলে যাবে। আমরা যখন ফার্স্ট সেমিস্টারে পড়ি তারি মাঝা মাঝি সময়ে ওর সাথে আমাদের পরিচয় হয়। তারপর ধীরে ধীরে ও আমাদের বন্ধু হয়ে ওঠে ।ও অন্য ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। আমার সাথে ফার্স্ট সেমিস্টারে একই কোচিং এ পড়তো। আমার আরেকটা বন্ধুর মেসে ও থাকতো। সেই সূত্র ধরেই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম ওর বাবা অসুস্থ। ওর বাবা বিদেশে থাকতো। অসুস্থ হওয়ায় ওর বাবা দেশে চলে আসে। ওর বাবা দেশে আসার কিছুদিনের মধ্যেই জিসান এর বিদেশে যাওয়ার কথাবার্তা চলতে থাকে। কথাবার্তা অনেক আগে থেকেই চলছিলো আমরা সবাই কিছুদিন আগে কথাটা জানতে পারি। ওর বিদেশে যাওয়ার ডেট হয়ে গিয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই ও বিদেশ চলে যাবে। আমাদের একজন বন্ধু বিদেশে চলে যাবে এটা ভেবে আমাদের অনেক খারাপ লেগেছিলো। কিন্তু কিছু করার নেই ওর বাবার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আর ওদের সংসার চালানোর জন্য এখন ওই একমাত্র ভরসা তাই ওকে বিদেশে যেতেই হবে।
ওর যে সেদিন জন্মদিন ছিলো আমরা কেউই জানতাম না। পরের দিন সকালে আমরা জানতে পারি কালকে ওর জন্মদিন ছিলো। তারপর আমরা সবাই কলেজেই ছোটখাটো ভাবে ওর জন্মদিনটা সেলিব্রেশন করি। বিকেল বেলা জিসান আমাদের সবাইকে বলে ও আমাদের ট্রিট দিবে। তারপর ও আমাদেরকে কলেজে যেতে বলে। আমরা সবাই বিকাল চারটা নাগাদ কলেজে পৌঁছে যায়। অনেকগুলো ফ্রেন্ড এরই যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু পরে আমাদের ৩-৪ টা ফ্রেন্ড যেতে পারে না তাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য।
আমরা ছয় জন ফ্রেন্ড মিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের সাথে যোগ দেয় জিসানের ছোট ভাই। আমরা সবাই মিলে কলেজে বসে ডিসাইড করি কোথায় যাওয়া যায়। তারপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় আমরা "সি ফুড জোন "রেস্টুরেন্টে যাবো। তারপর আমরা কলেজের সামনে থেকে একটা অটো ঠিক করে সবাই মিলে রওনা দি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে।
আমাদের রেস্টুরেন্টে পৌঁছাতে প্রায় দশ মিনিট সময় লাগে। রেস্টুরেন্ট এ পৌঁছে আমরা খাবার অর্ডার করি। সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম আমরা ফ্রাইড রাইস খাবো। তারপর আমরা সবাই মিলে মজা করতে থাকি কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের অর্ডার চলে আসে। আমরা সবাই মিলে গল্প করতে করতে খাওয়া শুরু করি।
খাওয়া-দাওয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে আমার খুব নাচোস খেতে ইচ্ছা করছিলো । তারপর আমরা ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করি এখানে নাচোস হবে কিনা?ওইটার আমাদের বলে এখানে নাচোস হবে না। তারপর আমরা সেখান থেকে নিজেদের কিছু ছবি তুলি। তারপর যেহেতু জিসান আমাদের ট্রিট দিয়েছে তাই জিসান বিল পরিশোধ করে।
তারপর আমরা সবাই মিলে ঠিক করি টমাটিন তে যাবো। টমাটিন রেস্টুরেন্টে অনেক ভালো নাচোস পাওয়া যায়। তাই আমরা টমাটিন রেস্টুরেন্টে আসি এবং সেখান থেকে নাচোস খাই। তারপর প্রায় সন্ধ্যার দিকে আমরা সবাই যে যার গন্তব্যে চলে আসি।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আপনি আপনার বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে দারুন একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমরাও প্রায় সময় বন্ধু বান্ধবের জন্মদিন উপলক্ষে অনেক মজা করে থাকি। যাই হোক আপনার স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।