সন্ধ্যার পরে হাঁটাহাঁটি ও পছন্দের ড্রিঙ্কস পানের অভিজ্ঞতা।
ঢাকা শহর আমার এমনিতে পছন্দ না হলেও ঢাকা শহরের একটা জিনিস আমার খুব পছন্দ। সেটা হচ্ছে সেখানকার বৈচিত্র্যময় খাদ্য সম্ভার। এমন কোনো ধরনের খাবার নেই যেটা ঢাকা শহরে পাওয়া যায় না। আর এখন প্রত্যেকটা আবাসিক এলাকাতেই সব ধরনের খাবারের দোকানের আউটলেট আপনি পেয়ে যাবেন। সেটা পিজ্জা হাট থেকে শুরু করে কেএফসি সুলতান ডাইন থেকে শুরু করে কাচ্চি ভাই পর্যন্ত সবই প্রায় পেয়ে যাবেন। বনশ্রীতে ঢাকার নামকরা বেশিরভাগ খাবারের দোকানের আউটলেট রয়েছে। যার ফলে হাঁটাহাঁটি করার সময় ক্ষুধা পেলেই ঢুকে পরি কোন একটা রেস্টুরেন্টে। তবে সেদিন হাটতে বের হয়ে আমার কিছুই খেতে ইচ্ছা করছিল না। তবে মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম যদি হাঁটাহাঁটির কোন পর্যায়ে তৃষ্ণা বা ক্ষুধা পায় তখন কিছু খেয়ে নেবো।
সেদিন হাঁটাহাঁটি যখন শেষের পর্যায়ে তখনও দেখি তেমন একটা ক্ষুধা লাগেনি। তবে গরমের ভেতর হাঁটাহাঁটির কারণে বেশ পানির তৃষ্ণা পেয়েছিলো। আপনাদের অনেকের কাছেই মনে হতে পারে এখন আমার গরম এলো কোথা থেকে? ঢাকা শহরে এখনো কিছুটা গরম রয়েছে। যদিও আগের থেকে অনেক কম। যাই হোক তৃষ্ণা লাগার কারণে আমি পরিকল্পনা করলাম কোন একটা জুসের দোকান থেকে যে কোন একটা পছন্দের পানীয় কিনি। এই কথা চিন্তা করতে করতে দেখতে পেলাম একটা জুসের দোকান। সিপ নামের সেই দোকান থেকে এর আগেও আমি জুস খেয়েছি। ঢাকা শহরের প্রতিটা এলাকায় এখন এই ধরনের ছোট ছোট জুসের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এরা নানা রকমের জুস তৈরি করে থাকে।
যাইহোক আমি সেই দোকানে ঢুকে তাদের মেনু কার্ড দেখতে লাগলাম কোনো একটা পছন্দের জুসের জন্য। শেষ পর্যন্ত তাদের মেনু কার্ড দেখে আমি ব্লু লেগুন নামের একটি ড্রিংক অর্ডার করলাম। এই ড্রিঙ্কসটা আমার বেশ পছন্দের। তবে সমস্যা হচ্ছে এই ড্রিংসটা সবাই ভালোভাবে বানাতে পারে না। যার ফলে আমি কিছুটা চিন্তায় পড়েছিলাম যে ড্রিঙ্কসটা তারা কেমন বানাবে। এর ড্রিংকসটা তাদের কাছে দুটো সাইজে ছিলো। একটা মিডিয়াম আর একটা লার্জ। তবে আমি লার্জ টাই অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু ড্রিঙ্কসটা অর্ডার করে আমাকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ সেই জুসের দোকানে তখন আরো কিছু কাস্টমার ছিলো। যাই হোক শেষ পর্যন্ত যখন জুসটা হাতে পেলাম। তখন চুমুক দিয়ে দেখলাম জুসটা তারা বেশ ভালোই বানিয়েছে। এই ধরনের ড্রিঙ্কস আমার কাছে বরাবরই বেশ পছন্দের। আর তারা বানিয়েছিলো বেশ ভালো। তবে লার্জ সাইজ নেয়ার কারণে সেটা শেষ করতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছিলো। যাই হোক জুসটা শেষ করার পরে। আমি বিল মিটিয়ে সেখান থেকে আপুর বাসার দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবেই আমার সেদিনের হাটাহাটি শেষ হয়েছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Samsung s24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এখন তো মনে হয় ঢাকাতেও গরমের তীব্রতা কিছুটা কমেছে যদিও ঢাকাতে শীত আসে অনেক পরে। গরমের তীব্রতা না থাকলেও যেকোন জ্যুস খেতে সব সময়ই ভাল লাগে। লম্বা সময় হাটার পর তো খেতে আরো ভাল লাগে!
ধন্যবাদ আপনার হাটাহাটি এবং লার্জ সাইজের জ্যুস খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা জন্যে।
আমাদের এখানেও একই অবস্থা, গরম কিছুটা কমেছে। তবে এখনও মোটামুটি ভালোই গরম পড়ে। যাইহোক সন্ধ্যার পর হাঁটাহাঁটি করে দারুণ একটি ড্রিঙ্কস পান করেছেন ভাই। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।