ইসলামী গণতন্ত্র, নাকি গণতান্ত্রিক ইসলাম? পার্থক্য কি?
গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে জড়িত ইসলামী দলগুলোর কাছে যখন গণতন্ত্রের ব্যাপারে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, তখন তারা বল যে গণতন্ত্রের যেসব বিষয় ইসলামের কোন বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, তারা শুধু সেসব ব্যবহার করে। এবং কালক্রমে এটাকে তাদের অনেকে ইসলামী গণতন্ত্র বলার চেষ্টা করল। গণতন্ত্রকে ইসলামের ছাঁচে ফেলে, ইসলামের ভিতর টাইপকাস্টিং আরকি।
তাত্ত্বিকভাবে ব্যাপারটা অনেক সহজ-সরল মনে হলেও, বাস্তবে এটা ঠিক বিপরীত। বাস্তবে গণতন্ত্রকে ইসলামের ছাঁচে নয়, বরং ইসলামকে গণতন্ত্রের ছাঁচে ফেলে দেয়া হয়। ইসলামের যেসব বিষয় গণতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, শুধুমাত্র সেগুলোর প্রতি আহবান করা হয়। এবং এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক ইসলাম।
ইসলাম যখন প্রতিষ্ঠিত, তখন মুসলিমদের গণতন্ত্রের কোন প্রয়োজন নেই। তাই গণতন্ত্রকে তখন ইসলামের ভিতর টাইপকাস্টিং করে ইসলামী গণতন্ত্র বানানোর কোন অর্থ থাকে না। কিন্তু যখন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত নয়, কাফিরেরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে, তখন কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠিত জিনিসকে, অপ্রতিষ্ঠিত জিনিসের ছাঁচে ফেলা যেতে পারে? ব্যাপারটা বাস্তব সম্মত না। এজন্যই যারা গণতন্ত্রকে ইসলামের ছাঁচে ফেলে হালাল করার চেষ্টা করে, বাস্তবে দেখা যায় যে বেশিরভাগই সময়ই তারা ইসলামকে গণতন্ত্রের ছাঁচে ফেলে দিয়েছে। এবং গণতান্ত্রিক ইসলাম বাজারজাত করছে।
জিহাদকে জিহাদ বলতে পারে না, তাগুতকে তাগুত বলতে পারে না, কুফরকে কুফর বলতে পারে না, ঈমানকে ঈমান বলতে পারে না। কারণ তখন ইসলাম আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা) যা বলেছেন তা নয়, বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতি যাদের গ্লোবালী অথবা লোকালী অথোরিটি দিয়েছে, সেই তাগুতেরা যতটুকু অনুমতি দেয় ততটুকুর ভিতরই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
No relation with Islam of democracy
This comment has received a 0.92 % upvote from @speedvoter thanks to: @rayhankabirs.