শুকরিয়া।
আমরা পৃথিবীতে যা কিছু করি সব কিছুই আমাদের সুখের জন্য। অনেকেই আছে যারা খুবই অল্প পরিমানে চাওয়ার পরও সেটা তার কপালে জুট না কিন্তু আবার আরেকজন ব্যক্তির একদম ভুরি ভুরি থাকার পরও তার চাওয়ার আকাঙ্খা শেষ হয়না। সে যত পায় ততই চায়। কিন্তু চাওয়ার আর কুল কিনারা পায়না। কিন্তু দেখুন দিন শেষে কিন্তু কারোরই সুখে নেই। যে অল্প চাইলো তারও সুখ হইলো না আবার যার এতো অঢেল আছে তারও হলো না। তাহলে আমাদের সমস্যাটা আসলে কোথায় , আমরা যে এই পুরো জীবনটাই সুখের আশায় কাটিয়ে দিচ্ছি সেই সুখ তো কোনো ভাবেই মিলছে না। তো এখন এই সুখ কিভাবে আমরা পাবো ?
আসলে কি জানেন , সমস্যাটা মূলত আমাদেরই মন মানসিকতার। আমরা সন্তুষ্ট নই , আমরা যদি আমাদের গন্তব্যে সন্তুষ্ট থাকতাম তাহলে আমাদের জীবন সুখের হতো। যদিও আমাদের বড় হওয়ার ইচ্ছা থাকা খারাপ ব্যাপার না তবে আমি মনে করি আমাদের বর্তমান নিয়ে সব সময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করা উচিত। কেননা যদি আমরা আল্লাহর শুকরিয়া করি এবং নিজেদের যেটা আছে সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকি তাহলে কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে আলাদা রকমের একটা শান্তি পাবো। আমরা অবশ্যই চাইবো নিজেদের উন্নত করতে কিন্তু সারাজীবন পাওয়ার আকাঙ্খা থাকলে আমাদের মন কোনোদিনও সুখী হবে না।
আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি সেটা অনেকেই স্বপ্ন দেখে। বড় হতে চাওয়ার ইচ্ছা কোনো খারাপ কিছু না , তবে নিজের বা বর্তমান পরিস্থিতিকে শুকরিয়া করে তবেই আমাদের আগানো উচিত। আমরা যদি লোভের মধ্যে ডুবে থাকি তাহলে কিভাবে আমাদের সুখ আসবে ? সুখ তখনই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যখন আমরা নিজেদের বর্তমান পরিস্থিতে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি। আর সব সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি। কেননা এটার মধ্যে আলাদা একটা শান্তি থাকে। যেটা আপনি অন্য কিছুর দ্বারা কোনোদিনও পরিবর্তন করতে পারবেন না। এই সুখটা আপনার অন্তর থেকে অনুভব হবে।
এটাকে আমরা আল্লাহর রহমতও বলতে পারি। ভালো কাজ , অন্যকে সাহায্য এবং আল্লাহর সকল বিধি নিঃশেষ পালন করার মাধ্যমেই সেই রহমত অর্জন করা যায়। তো সেই দিকেও আমরা কঠোর নজর রাখতে হবে। যাই হোক আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার সাথে থাকার জন্য।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

প্রতিটি মানুষ জীবনে উন্নতি করতে চায় কিংবা সফল হতে চায় এবং এই চাওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু যার যার অবস্থান থেকে অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করা উচিত। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের রিজিক আরও বাড়িয়ে দেন। এতে করে অটোমেটিক আমরা আরও উন্নতি করতে পারি। আর যারা সারাক্ষণ হা-হুতাশ করে,তাদের রিজিক আল্লাহ তায়ালা কমিয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে তাদের আর্থিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সুতরাং যেকোনো পরিস্থিতিতে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মানুষ অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। তারা অল্পতেই শুকরিয়া আদায় করা না। যার কারণে কোনো মানুষই সুখে থাকতে পারেনা। প্রত্যেকটা বিষয়ে যদি আমরা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকি, মনের দিক থেকে যদি শুকরিয়া আদায় করি, তাহলে সেই অল্প জিনিসই অনেক বেশি মনে হবে। আসলে সুখ বেশি কিছু থাকলেই আসে না, মনের দিক থেকে সন্তুষ্ট থাকলে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। আপনি আজকে শুকরিয়া নিয়ে অনেক সুন্দর করে লেখাগুলো লিখেছেন, যেগুলো পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
একটা মানুষের লাখ লাখ কোটি কোটি ধন সম্পদ থাকলেও সেই মানুষটা সন্তুষ্টি অর্জন করে না। প্রত্যেকটা মানুষ এখন ঠিক এরকমই। আমাদের সবারই অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা শিখতে হবে। সেটা টাকা পয়সা ধন-সম্পদ যেকোনো বিষয়ই হোক না কেন। অল্পতেই যদি আমরা সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি তাহলে সৃষ্টি করতে অনেক বেশি খুশি হবেন। মানুষ অল্পতেই শুকরিয়া আদায় করলে সুখী হয়। মানুষ এমনিতে সুখ খুঁজে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কোথায় সুখ পাবে এটাই তারা বুঝতে পারে না। অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা আর শুকরিয়া আদায় করার মধ্যেই যে সুখটা পাওয়া যায় এটা কিভাবে বুঝবে এই ধরনের মানুষগুলো।
বেশ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে মানুষ তার জীবনটাকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্য উন্নতি চায়।
কিন্তু এই উন্নতি বা সফলতা যখন তার জীবনে আসে তখন সেটা দিয়ে সন্তুষ্ট নয় সে।আসলে যে যার জায়গা থেকে অতটুকুই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মানুষ নিজের দিক থেকে সুখে থাকতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি মানুষের রিযিক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অল্পতে আমাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিত। তাহলেই প্রকৃত সুখ আমাদের ধরা দিবে।