আজ পবিত্র ঈদুল আযহার চতুর্থ দিন।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আজ পবিত্র ঈদুল আযহার চতুর্থ দিন। আমি গ্রামে বসবাস করি। গ্রামে ঈদের আমেজ নেই বললেই চলে। যতদিন যাচ্ছে ঈদের আমেজ তত কমে যাচ্ছে। গ্রামের লোকজন সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।
আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমি এখনো ছুটিতে আছি। শনিবার থেকে আমার প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। ছুটিতে থাকার কারণে কোন কাজ কাম নেই। সারাদিন শুয়ে বসে ঘুমিয়ে দিন কাটানো হচ্ছে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে গ্রামের মাছের রাস্তার দিকে ঘুরতে বের হয়ে গেলাম। গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য এত সুন্দর যেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না। এইরকম প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে আসলে নিজের মন মাইন্ড ফ্রেশ হয়ে যায়।
আমাদের গ্রামে মাঠে যাওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা রয়েছে। আমি মাঠের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে মাছের ভেতরের দিকে চলে আসলাম। মাঠের ভেতরের দিকে আসার সময় দেখলাম গ্রামের কিছু ছোট ছোট ছেলে পেলে খেলা করার জন্য মাঠের দিকে আসছে।
এছাড়াও কৃষকরা যে যার যার মত কাজ করতেছে। আসার সময় দেখলাম একটি ড্রাগন বাগানে অনেক ড্রাগনের ফলন হয়েছে। ড্রাগন পেকে লাল হয়ে রয়েছে।
এটার দৃশ্য অনেক সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর। ড্রাগন ফল পেকে গেলে সেগুলো পাখিরা খেয়ে ফেলে। পাখি তাড়ানোর জন্য বোতলের মধ্যে মার্বেল ভরে রশি দিয়ে বোতলগুলো বেঁধে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। রশি টান দিলেই বোতলের মার্বেলগুলো শব্দ হয়। আর এই শব্দেই পাখিগুলো উড়ে চলে যায়।
কয়েকজন কৃষককে দেখলাম তারা নিজ নিজ খেতে কাজ করতেছে। একজন কৃষককে দেখলাম তিনি তার ধান ক্ষেতে সার দিচ্ছেন। আরেকজন কৃষককে দেখলাম তিনি তার ড্রাগণ বাগানে ওষুধ স্প্রে করছেন। আরেকজন কৃষককে দেখলাম বাদাম খেতে কাজ করে বাড়ি যাচ্ছেন। বাড়ি যাওয়ার সময় তিনি তার গবাদি পশুর জন্য বাদাম পাতা সাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে সারা মাঠ জুড়ে কৃষকরা তাদের নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছেন।
নিচে কৃষকদের কাজের ছবিগুলো দেওয়া হলো।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
কৃষকরা অনেক কষ্ট করে কাজ করে থাকেন। তাদের কে সম্মান করা উচিত সবার।
গ্রামের পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের। গ্রামে এখন ঈদের আনন্দ নেই বললেই চলে। আগে ঈদ আসলে আমরা কত মজা করতার। আর এখন ঈদের আনন্দ বিলুপ্তির পথে।