যৌতুক!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

চট্টগ্রামে এই ব্যাপারটির প্রচলন কি পরিমান রয়েছে, সেটা একমাত্র চট্টগ্রামের মানুষজন ই বলতে পারবে এবং আমি প্রথমেই আমার জায়গাটি এ বিষয়ে ক্লিয়ার করতে চাই এবং আমার ব্যাপারটি হলো, আমি এই ব্যাপারটিকে অসম্ভব রকমের ঘৃণা করি। কারণ আমার মতে একটা মেয়েকে তার পরিবার ছোটবেলা থেকে মানুষ করে, যেভাবে একটি ছেলেকে তার পরিবার মানুষ করে। বরঞ্চ একটি মেয়েকে মানুষ করতে আরও বেশি এফোর্ট দিতে হয়। কারণ এটা আমরা সকলেই জানি, আমাদের সমাজ দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট পশু পাখির জন্য সেইফ হলেও। আমাদের সমাজ একটি মেয়ে মানুষের জন্য এখনো সেইফ ছিলোনা। বলা ভালো যে আমরা এখনো সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

তাই আসলে একটা মেয়েকে বড় করার পিছনে তার বাবা-মা, তার পরিবারের কত বেশি কষ্ট কিংবা কত বেশি এফোর্ট থাকে, সেটা একমাত্র তারাই বলতে পারবে। যাদের ঘরে নিজের মেয়ের রয়েছে। কারণ এটা আমরা সকলেই দেখি যে, বাবা-মা আসলে নিজের ছেলে মেয়ের জন্য কতোটা কষ্ট করে, কতোটা ত্যাগ করে, কতোটা সেক্রিফাইস এর মধ্য দিয়ে একটি সন্তানকে তারা বড় করে। শুধুমাত্র ভালো থাকার জন্য, তাদের সন্তান ভালো থাকার জন্য।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যেটা আমি চট্টগ্রামে অনেক বেশি দেখেছি এবং বর্তমানে আসলে অন্যান্য অঞ্চলেও রয়েছে। কিন্তু এটার প্রচলন চট্টগ্রামে অনেক বেশি। সেটা হলো, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় ফার্নিচার পাঠানো। যদিও বর্তমানের সুশীল সমাজ এখন সেটাকে আর যৌতুক হিসেবে বলেনা। সেটাকে এখন গিফট হিসেবে বলে এবং বর্তমানে আমার যে চাচাতো ভাই এর বিয়ে হলো সেখানেও কিন্তু আমার চাচার ফ্যামিলি সেই গিফট পেয়েছে এবং আমার সবচেয়ে অবাক লাগলো যে আমার চাচার ফ্যামিলি কিন্তু প্রচণ্ড শিক্ষিত একটি ফ্যামিলি এবং আমার চাচাতো ভাই, বোন সকলেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,অফিসার এই ধরনের পড়াশোনা এবং পেশায় রয়েছে।

কিন্তু একটা ব্যাপার এ গিয়ে আমার খুব অবাক লাগে। যখন দেখি যে আসলে আমাদের পরিবারগুলো যৌতুক পছন্দ করে না। কিন্তু যৌতুক দিতেও বলে না। কিন্তু যৌতুক যখন কেউ সামনে থেকে দেয় তখন সেটাকে আবার মানা ও করে না। অর্থাৎ আমার কথা হলো, যদি মনে মনে যৌতুক পাওয়ার ইচ্ছা নাই থাকে। তাহলে কিন্তু সেটা সরাসরি সামনাসামনি বলে দেওয়া উচিত যে আমাদের ঘরে কিংবা যে ঘরে বিয়ে হচ্ছে। তাদেরই বলে দেওয়া উচিত যে, তাদের ঘরে যেনো ফার্নিচার কিংবা এটা ওটা পাঠানো না হয়। কারণ যেহেতু এটা আমাদের সমাজের একেবারে অলিখিত দলিল হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সামনে থেকে মানা না করলেই স্বাভাবিকভাবে মেয়ের পরিবার এই জিনিসগুলো ছেলের পরিবারে পাঠিয়ে দেয়। কারণ উনাদের এটাই মাথাতে থাকে যে, তাহলে মেয়ে একটু বেশি সম্মান পাবে। আসলে আমরা যতোই শিক্ষিত হই না কেনো। এই ব্যাপারগুলো থেকে কেনো জানি কখনোই বের হতে পারি না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।