ধনতেরাসের দিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ধনতেরাসের দিনটির কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণ । আরে বাঙ্গালীদের এই পার্বনের কোনো উৎসবই কিন্তু কখনো বাদ যায় না, কিছুদিন আগেই দুর্গাপুজো গেল ,তারপরে লক্ষীপূজো ,তার কিছুদিন পরেই আবার কালীপুজো। আর এই কালীপুজোর আগের দিন একটি দিন পালন করা হয় সেটি হলো ধনতেরাস। এই দিনটি মূলত কালী পূজার আগের দিন পালন করা হয় । দীপাবলীর দিন আমরা অনেকেই অলক্ষীকে বিদায় করে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করি। ধন শব্দের অর্থ সম্পদ, এবং তেরাস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের ১৩ তম দিনে কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্সব পালিত হয়। আলোর রোশনাই তে যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব,তখন পরিবারের মঙ্গল এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন।এই দিন কোন না কোন মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনে থাকেন সকলে।দীপাবলীর আগের দিন আমরা পালন করি ভূত চতুর্দশী। এই দিন বাড়িতে চৌদ্দটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হয়। তার সঙ্গেই আমরা সেই দিন ১৪ রকমের শাক খাই। এই দিনটিকে অনেকেই বলে থাকে ছোটি দিওয়ালি।দীপাবলি রাতের প্রদীপ জ্বালিয়ে অশুভ শক্তিকে বিতাড়িত করে শুভ শক্তির আরাধনা করা হয়। এই দিন অনেকে বাড়ির মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে সাধ্যমত ধাতু অথবা গয়না কেনে। প্রত্যেকটি সোনার দোকানে পাওয়া যায় বিশেষ ছাড়। বেশ কিছু বছর ধরে বাঙ্গালীদের মধ্যে ধনতেরাস পালনের চল শুরু হয়েছে। সকলের পাশাপাশি বাঙালি হিন্দু পরিবারের প্রত্যেককে পালন করেন এই ধনতেরাস উত্সব।
আমিও প্রত্যেক বছরই ধনতেরাসের দিন কিছু না কিছু কিনি ।মা আবার প্রত্যেক বছর কয়েন কেনে আর এই কয়েনটি হয় লক্ষী গণেশের। এই দিন সোনার দোকান গুলোতে খুব ভিড় হয় যেহেতু দিনটাকে খুব শুভ বলে ধরা হয় আর কেনাকাটির জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ধরা থাকে ,যে সময়টাকে আমরা শুভ সময় বলি ।সেই সময়ের মধ্যে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু কিনে থাকে । আমিও এবার লক্ষী গণেশের একটি মূর্তি কিনেছিলাম ,তার সাথে একটা সোনার আংটি কিনেছিলাম। মা ও লক্ষ্মী গণেশের কয়েন কিনেছিল। আর এই কয়েন কেনার সাথে সাথেই মন্দির থেকে পুজো দিয়ে তারপর সেটা আলমারিতে রাখা হয় ।
এই সকল জিনিস কেনাকাটির পর মায়ের সাথে শপিংমলে গিয়ে অনেক শপিং করলাম ।যেহেতু কেনাকাটি করতে করতে রাত হয়ে গেছিল তাই জন্য ফেরার পথে মা আর আমি একসাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম। এই রেস্টুরেন্ট চাইনিজ খাবারের জন্য ভীষণ ভালো আর এই রেস্টুরেন্টের অ্যাটমোসফেয়ার আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । আমি এখান থেকে অনেক খাবার অর্ডার করে খেয়েছি কিন্তু এসে কখনো খাওয়া হয়নি তাই এখানে এসে মায়ের সাথে প্রথম খাওয়া দাওয়া করে খুব ভালো লাগলো ।এখানকার স্পেশাল নুডুলস অর্ডার করেছিলাম তার সাথে কলকাতার চিকেন ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম। এক কথায় দারুন টেস্ট ছিল। খাওয়া দাওয়া করে ধনতেরাস এর দিনটা খুব সুন্দরভাবে কাটিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
ধনতেরাস সম্পর্কে আসলে আমার যা জানা ছিল না আপু আপনার পোস্টটি পড়ে এই সম্পর্কে জানলাম। এই দিনে আপনারা মূল্যবান ধাতু, নতুন পোশাক এবং গয়না কিনে এই দিনটি পালন করে। ধনতেরাসের দিন আপনি কিন্তু ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখছি। লক্ষী গণেশের মূর্তি এবং আংটি টিও খুবই সুন্দর কিনেছেন। মাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব মজাদার খাবার খেয়েছেন। মা মেয়ে মিলে খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন শপিং করে এবং রেস্টুরেন্ট গিয়ে। আপনার সুন্দর সময়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দিদি ধনতেরাস সম্পর্কে অল্প ধারণা ছিল।আপনার থেকে আজ অনেকটা জানতে পারলাম।ধনতেরাস উপলক্ষে মায়ের সাথে অনেক শপিং করেছেন।মায়ের সাথে শপিং করার একটা আলাদা মজা পাওয়া যায়।আপনার রিং টা অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি।মায়ের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কেনাকাটার জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকলে তাহলে তো সোনার দোকান এবং বিভিন্ন দোকানে প্রচুর ভিড় হয় এই সময়ে। তাছাড়া এই সময়ে দোকানদারদের ব্যবসা অনেক জাঁকজমকপূর্ণ হয় । বেশ কয়েকটি উৎসবের কথা জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে যা আগে জানা ছিল না। এই ধন তেরাস উপলক্ষে খুব সুন্দর একটি আংটি কিনেছেন আপু। ব্যাপক খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। খুব ভালো লাগলো দেখে।
বাহ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম দিদি, আজকের ড্রেসে কিন্তু আপনাকে দারুন লাগছে।
এমনিতে কিন্তু সবসময় দারুন লাগে আজ একটু বেশি লাগছে, 😊
তার সাথে এতো মজার মজার খাবার, জমে গেছে একদম। তবে আংটি টা কিন্তু দারুন কিনেছেন।
ধনতেরাসের দিনের কথা আমি শুনেছি। কিন্তু আসলে দিনটি সম্পর্কে এত কিছু জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে এই দিনটির মূল্য এমনকি দিন সম্পর্কে জানতে পারলাম। বিশেষ করে ভূত চতুর্দশী এর দিনে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো এবং ১৪ টি শাক খাওয়ার বিষয়টি যেন অবাক হলাম। মূর্তিগুলো ভীষণ সুন্দর ছিল। আর আপনার সোনার আংটিটি ও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। তার সাথে মা মেয়ে মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন এটা তো আরো ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে দারুন একটা পোস্ট তৈরি করলেন।
দুর্গাপূজা হয়ে গেলেই একের পর এক পূজা লেগেই থাকে বাঙালিদের।বাহ,আপনি খুব সুন্দর লক্ষী গণেশের মূর্তি কিনেছিলেন দিদি সঙ্গে আংটি ও সুন্দর ডিজাইনের।মায়ের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছেন দিদি।তবে আপনার মায়ের কেনা লক্ষ্মী গণেশের কয়েনটি তো দেখতে পেলাম না!
যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।