ধামরাইয়ের ৫০০ বছরের পুরাতন (বটগাছের)বৃক্ষযুগল !!! - ঘুরে আসুন
********** ধামরাইয়ের ৫০০ বছরের পুরাতন (বটগাছের)বৃক্ষযুগল !!! ***************
আমরা দু'জন ঘুরে আসলাম
ঢাকার ধামরাইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম একটি স্থান হল সাইট্টা গ্রামে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনিন্দ্যসুন্দর ঐতিহ্যবাহী একটি বটগাছ ও একটি পাকুড় গাছ। এই গাছগুলোকে ঘিরে হাজারো দর্শনার্থীদের কৌতুহলের শেষ নেই। ক্রমে ক্রমে যেন জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। ঈদ উৎসব ও বিভিন্ন দিবসে দূর দূড়ান্ত থেকে দর্শনার্থীরা সবুজে ঘেরা বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির এই মনোরম দৃশ্যগুলো দেখতে ছুটে আসেন। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্যপটে এসে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। ৫০০ বছরের এ বট ও পাকুড় গাছকে স্থানীয়রা অনেকেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করেন।
এমনকি কেউ গাছের ডালপালা কাটতে সাহস না পাওয়ায় গাছটি প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর এর ডালপালা ও শিকড়ের প্রভাব বিস্তার করেছে। এখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বটগাছটির নিচে কালীমন্দির নির্মাণ করে সেখানে কালী, সরস্বতী, বুড়ির পূজা, দশমী ও বাসন্তী মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে। জানা গেছে, ধামরাইয়ের সাইট্টা গ্রামের দেবীদাস বংশের পূর্বপুরুষ তাদের জমির ওপর এই বট-পাকুড় গাছটি রোপণ করেছিলেন। বটগাছ নারী আর পাকুড় গাছ পুরুষ। এমন ধর্মীয় অনুভূতিতে দাস বংশের পূর্বপুরুষরা ঢাকঢোল, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বিয়ের উপকরণসহ ব্রাহ্মণ দ্বারা বৈদিকমন্ত্র পাঠের মাধ্যমে বট ও পাকুড় গাছের বিবাহ সম্পন্ন করে এবং বহু লোকের খাবারের আয়োজন করেছিল। এভাবেই বট ও পাকুড় গাছ দুটি স্বামী- স্ত্রীরূপে অঙ্গাঙ্গিভাবে সুখময় পরিবেশে অবস্থান করে আসছে প্রায় ৫০০ বছর ধরে।
এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন এই গাছ দুটি তাদের দেবতা। মুসলিমান সম্প্রদায়ও ভাল চেখে দেখেন এই গাছ দুটিকে। হিন্দু সম্প্রদায় বটগাছের নিচে কালী মন্দির নির্মাণ করে সেখানে কালী,সরস্বতী,বুড়ির পূজা এবং দশমী ও বাসন্তী মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে। ৫ বিঘা জমির উপর ছড়িয়ে বিস্তৃত ৫০০ বছরের পুরনো বটগাছ ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের ষাইট্টা গ্রামে। স্থানীয়দের মতে কথিত আছে রাতের বেলা এই গাছে ছোট ছোট শিশুরা নাচগান করে। অনেকেই রাতে এর পাশ দিয়ে ভয়ে যাতায়াত করেনা।
এখানে আসলেই দেখা যাবে প্রকৃতির অপরূপ নির্মল শান্ত এক পরিবেশ। সত্যিকারের গ্রামীণ রূপের ছটা চোখে পড়বে পুরো যাদবপুর ইউনিয়নে। এছাড়া সাইট্রা গ্রামটা একটু বেশিই নির্মল। গ্রামে ঢুকতে পিচ ঢালা পাকা রাস্তার দুই পাশে চিরায়ত গ্রামের সকল উপকরণ পাবেন এখানে। রয়েছে ধান,গম,ভুট্রা,আখ ক্ষেত আর সাথে প্রচুর লেবু ও কলার বাগান।
নির্মল পরিবেশে মানসিক প্রশান্তির আনার জন্য জায়গাটা সেরা। রয়েছে খাবার,পানির সহজ ব্যাবস্থা। সাঁতার কেটে,গা ডুবিয়ে গোসলের জন্য রয়েছে নিবির পরিবেশের অনেক পুকুর,বট-পাকুড়ের সুশীতল ছায়ার নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির নিবির ছোঁয়ায় মন ভালো করতে কিছুটা সময় পার করার জন্য ৫০০ বছর পুরাতন এই বট ও পাকুড় গাছ দেখতে চলে আসতে পারেন।
ঢাকার গুলিস্তান,গাবতলি থেকে বিআরটিসি,শুভযাত্রা,ডি-লিংক বাসে করে সরাসরি ধামরাই ঢুলিভিটা নেমে রাস্তা পাড় হয়ে অটো তে করে মাত্র ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে ধামরাই উপজেলা পরিষদের সামনে এলেই দেখতে পাবেন ধামরাই শহরের বানরেরর দল।
যেভাবে আসবেন ঢাকার গুলিস্থান থেকে ডি-লিংক,বি আরটিসি,শুভযাত্রা বাসে ৫০ কি.মি.পরেই ধামরাই ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ড নেমে সিএনজি,অটো রিক্সা করে আসতে পারেন যাদবপুরে।
যাদবপুর এসে ভ্যান বা অটো কে বললেই হবে সাইট্টা গ্রামে বড় বটগাছের কাছে যাব।
------আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
-gr.salim / Sayed Jony.
it's nurture post and thanks
wow!!! nice tree.
vai upvote dilam..amaku den apni
ok boro
thanks for information, akdin jabo.
ok thanks
obossoi somoy pele 500 bochor ar purano gas ta dekhe ashbo
thanks boro
jaiga ta chena mone hosche vai..
hoteo pare, apnar bari kothay?
hahaha.. good post bro @grsalim I will visit dhamrai one day
:)
thanks boro
I will visit that place for sure.
ok boro
good post
thanks boro