গাজরের লাড্ডু রেসিপি❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার পুষ্টিকর গাজরের লাড্ডু রেসিপি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
বারো মাসে গাজর পাওয়া গেলেও শীতকালে বেশি পাওয়া যায় গাজর এবং তরতাজা গাজর পাওয়া যায়।খুবই পুষ্টিকর এই গাজর শীতকালে খুব কম দামে পাওয়া যায়।গাজর নানান ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে কখনো সালাদে কখনো ভাজা বা সবজিতে এবং কখনো গাজরের হালুয়া, গাজরের লাড্ডু যেভাবেই খাওয়া যায় সেভাবেই খুবই ভালো লাগে খেতে।কাঁচা গাজরের রয়েছে ভিটামিন এ।ভিটামিন-এ এর উৎস এই কাঁচা গাজর। কাঁচা গাজর খেলে চোখের রেনিটাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। কম আলোতে দেখার দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
আমার তো কাঁচা গাজর খুবই পছন্দের। কাঁচা গাজর সব থেকে ভালো লাগে সালাদে। এমনকি আমি গোটা গাজর ধুয়ে ফলের মতো কচমচিয়ে খেতে ভালোবাসি। খুবই ভালো লাগে গাজর ফলের মতো খেতে।মিষ্টি স্বাদের এই সবজিটি খেতে সত্যি ভীষণ চমৎকার। গাজরের হালুয়া ও লাড্ডু খুবই সুস্বাদু খাবার।আজকে আমি গাজরের লাড্ডু বানিয়েনিয়েছি।
তো চলুন দেখা যাক গাজরের লাড্ডু রেসিপি টি কেমন।
১.গাজর |
---|
২.বাদাম |
৩.কিসমিস |
দুধ |
৪.চিনি |
৫.এলাচ |
৬.দারুচিনি |
৭.চিনি |
৮.ঘি |
৯.ভোজ্য তেল |
১০লবন |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি গাজর ছিলে নিয়েছি ও ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন গাজর গুলো গ্রেট করে নিয়েছি গ্রেটার দিয়ে।
তৃতীয় ধাপ
এখন চিনা বাদাম ভেজে নিয়েছি কাঠ খোলায় মানে তেল ছারা ভেজে উপরের ছালটি মধে তুলে নিয়েছি। মধে নেয়ার কারণে বাদাম গুলো দু খন্ড হয়ে গেছে।
চতুর্থ ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও তাতে এলাচও দারুচিনি দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আগে থেকে গ্রেট করে রাখা গাজর দিয়েছি ও নারাচারা করে একটু ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন গাজর গুলোতে চিনিও লবন দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন লিকুইড দুধ দিয়েছি ও কিসমিস দিয়ে নারাচারা করে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন বাদাম দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি। গাজর সিদ্ধ করা পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হবে। গাজর সিদ্ধ করার জন্য আমি এক ফোটাও জল ব্যাবহার করিনি কারণ চিনি দোয়াতে সাজরে জল বের হয়েছে এবং লিকুইড দুধ দেয়াতে আর জলের প্রয়োজন নাই
নবম ধাপ
এখন অনবরত নারাচারা করে করে গাজর গুলো সব উপকরণসহ রান্না করে নিয়েছি ও আঠালো হয়ে গেলে ঘি দিয়েছি ও নারাচারা করে নামিয়ে নিয়েছি। শেষ ঘি দেয়ার কারণে ঘিয়ের ঘ্রাণ টি খুবই মিষ্টি লাগে।
দশম ধাপ
এখন হাতের সাহায্যে লাড্ডু বানিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশের জন্য তৈরি
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার সুস্বাদু গাজরের লাড্ডু রেসিপি। বাদাম দেয়াতে লাড্ডু স্বাদ দিগুণ বেড়েছে ও দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে ।আজকে মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগে আমার গাজরের লাড্ডু রেসিপি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আজ আপনি আমাদের মাঝে গাজরের লাড্ডু তৈরীর সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করলেন। আসলে গাজরের তৈরি লাড্ডু এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আর আপনার তৈরি লাডুর ফটোগ্রাফি ফটোগ্রাফি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করছিল। এত সুন্দর একটা লাড্ডু দড়ির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগে কখনো খাননি তাহলে এভাবে একদিন বানিয়ে খেতে পারেন খুবই মজা লাগবে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপনি তো দেখছি আমার মনে মনে যে রেসিপিটি ছিল সেটাই করে ফেলেছেন। ঘরে অনেকগুলো গাজর পড়ে রয়েছে। হাজব্যান্ড কে বলেছিলাম গাজর আনতে সে একসাথে পাঁচ কেজি নিয়ে এসেছে। এখন রমজান মাস এত গাজর খাবে কে তাই ভাবলাম গাজরের লাড্ডু বানাবো কিন্তু সময় হয়ে উঠছে না বিভিন্ন আইটেমের মাঝে। রমজানের কত আইটেম বানাতে হয় এর মাঝে আবার লাড্ডু কখন বানাবো, এই আশায় বসে রয়েছি সময় পেলে বানাবো। এখন দেখছি আপনি লাড্ডু বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ লোভ লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সবসময়।
এক সাথে পাঁচ কেজি কাগর কিনলে পাইকারি দামে পাওয়া যায় আপু।গাজর নানান ভাবে খেতে ভালো লাগে তাই এক সাথে বেশি কেনাই উত্তম। গাজর সহজে নষ্ট হয় না অনেক দিন থাকে।আপনার মনে মনে বানাতে চাওয়া লাড্ডু বানিয়ে ফেলেছি জেনে ভালো লাগলো।সত্যি ইফতারে এই লাড্ডু দারুণ জমে যাবে।বানিয়ে ফেলুন একদিন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি অনেক আগে বানিয়েছিলাম, তবে রিসেন্টলি বানাতে পারি নি।
Xলিংক
গাজর আমার খুবই পছন্দের। তবে এভাবে গাজরের লাড্ডু তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। বাদাম ব্যবহার করায় খেতে আরও বেশি ভালো লাগবে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি অনেক মজাদার। বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
আমাদের এদিকে মানে মহারাষ্ট্রে গাজরের হালুয়া প্রচুর বিখ্যাত আর ক্ষীর দিয়ে বানানো হয় তাই খেতেও দারুণ লাগে৷ আমি কখনও গাজরের লাড্ডু খাইনি বা করিও নি৷ তোমার রান্নাটা দেখে মনে হচ্ছে এভাবে করাই যায়। খুব সুন্দর করেছ। বেশ সুস্বাদু ডেসার্ট।
গাজরের হালুয়ার মতোই খেতে গাজরের লাড্ডু। তুমি ইচ্ছে করলে গাজরের লাড্ডুও ক্ষীর দিয়ে বানাতে পারবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
এত মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরি করলেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। গাজর দিয়ে এরকম লাড্ডু তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি কয়েকবার খেয়েছিলাম গাজরের লাড্ডু। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক বেশি করে তৈরি করেছেন। আমার জন্য কয়েকটা পার্সেল করে পাঠিয়ে দেন আপু।
আপনিও গাজরের লাড্ডু বানিয়ে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।নিমন্ত্রণ রইলো এসে খেয়ে যাবেন। এতো গুলো আমাদের সদস্য তাদের না পাঠিয়ে আপনাকে পাঠালে বৈষম্য হবে তাই পাঠাবো না😊।
চমৎকার গাজরের লাড্ডু তৈরি করেছেন দিদি। বেশ কিছুদিন আগে আমি এভাবে করে গাজরের লাড্ডু তৈরি করেছিলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম সেটা। আজকে আপনার তৈরি গাজরের
লাড্ডু দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমি অল্প করে তৈরি করেছিলাম। সবার ভাগে একটা একটা করে বলেছিল। সেদিন বেশি খেতে পেরেছিলাম না। আবার একদিন তৈরি করে খাব ভাবছি। পর্যায়ক্রমে রেসিপিটি তৈরি করা সম্পন্ন প্রসেস শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
সুন্দর হয়েছিলো আপনার রেসিপিটি। আরও একদিন বানিয়ে খাবেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু গাজর খেতে আমি নিজেও খুব পছন্দ করি। আজকে আপনি গাজরের মজার লাড্ডু রেসিপি বানিয়েছেন। তবে গাজর দিয়ে যে কোন কিছু বানালে খেতে বেশ মজাই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে গাজরের লাড্ডু খেতে খুব মজা হয়েছে। সুন্দর করে গাজর দিয়ে লাড্ডু রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
গাজর খেতে আপনি ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো।
গাজরের লাড্ডু রেসিপি বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছিল।গাজরের লাড্ডু রেসিপি খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে গাজরের লাড্ডু রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
কয়েকবার গাজরের লাড্ডু খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।