ডালের মিলে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
ডালের মিলে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে প্রতি দিন চেষ্টা করি নতুন কিছু নিয়ে আসার জন্য। কয়েক দিন আগে আমরা গিয়েছিলাম আমার বোনের বাসায় বেড়ানোর জন্য। সেখানে ডালের মিল অনেক দিন আগে চালু ছিল কিন্তু বিশেষ কারণে বন্ধ ছিল আবার কিছু দিন।তবে আবার নতুন করে কয়েক মাস ধরে চালু হয়েছে। তাই আমরা গিয়েছিলাম দেখার জন্য। আসলে ভিতরে ঢুকতে শুধু ধুলা উড়ছে। তারপর দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আমি ধুলার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে না গিয়ে দূর থেকে কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি। আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ডাল ভাঙিয়েছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম ডালির মিলের কাছে। সেখানে তেমন কোন ভির ছিল না কারণ কিছু ক্ষণ আগে বৃষ্টি নেমেছিল। তারপর আমরা গেটের সামনে গিয়ে একজনকে বলে ভিতরে ঢুকে গেলাম।
প্রথম ঢুকার সাথে আমরা যে জিনিস দেখতে পেলাম তাহলো অনেক ধুলা আসছে। আসলে মাত্র মিল চালু করেছে তাই একটু ধুলা বেশি। আমরা এক পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর আস্তে আস্তে ধুলাটা একটু কমতে থাকলো। একজন আমাকে জিজ্ঞেসা করলো আপনারা কোথা থেকে এসেছেন। তারপর সেই মহিলার সাথে বেশকিছু সময় কথা বলে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে মহিলাটি অনেক কষ্ট করে প্রতি দিন সকাল আটটায় এসে চারটার সময় চলে যায়।এই সময়ের মধ্যে কোন বিশ্রামের সুযোগ নেই। আসলে আমরা কখনো ভাবিনি কষ্টকাকে বলে। এসকল শ্রমজীবী মানুষ দেখলে বুঝা যায়। যাইহোক লোকেরা বালটি ভরে এভাবে মুসুরি ডাল এনে মেশিনে ঢেলে দিচ্ছে। উনারা চটের বর্জতা দিয়ে ঢেকে রেখেছে যাতে ধুলা বাইরে না যায়।আসলে মিলের সব কিছুই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে শুধু ধুলা বাদে। এভাবে কাছ থেকে কখনো ডাল ভাঙানো আমি আগে দেখিনি। দেখতে অনেক ভালো লেগেছে।
মিলের সামনের দিকে এগিয়ে দেখি মিলের ম্যানেজার কিছু তাস নিয়ে খেলছে। আসলে সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর ম্যানেজারের কোন কাজ ও লোক নেই বলে একাই বসে বসে তাস খেলছে। তারপর আমরা ম্যানেজারের সাথে অনেক সময় ধরে কথা বললাম আসলে এভাবে কখনো ডাল ভাঙানো দেখিনি তাই মনে হচ্ছিল আরো সময় থাকি। আসলে বাইরে বৃষ্টি থাকার জন্য যেখানে ডাল শুকনো হয় সেই চাতালে যেতে পারিনি।মহিলাগুলো এভাবে ডাল দিচ্ছে আর কতোসুন্দর ভাবে পড়ছে সত্যি দেখার মতো দৃশ্য। এভাবে কখনো দেখেনি তাই মনে হচ্ছে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ডালের মিলে ঘুরাঘুরি করে খুব আনন্দ পেয়েছেন। এরকম ডাল ভাঙানো সামনাসামনি আমি কখনো দেখিনি। প্রথমে ধুলাবালির জন্য একটু খারাপ লাগলেও পরে এরকমদৃশ্য গুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। ডালের মিলে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু ধুলাবালির জন্য একটু খারাপ লাগলেও দূশ্যগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
ডালির মিল দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখার সুযোগ হয়েছে। আপনি বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আপনি প্রথম দেখেছেন এবং আমাদেরকেও প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আসলে এই কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের জন্য খুব বেশি খারাপ লাগে কারণ এত পরিশ্রম করে ধূলা বালির মধ্যে।
প্রশংসানীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি এর আগে কখনো ডালের মিল দেখিনি। আজকেই প্রথমবারের মতো আপনার পোস্টটি পড়ে এটা নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা হল আপু। ম্যানেজারের তাস খেলার ব্যাপারটা আমার কাছে অতি সাধারণ লাগলো। কারণ এই জাতীয় মানুষজনের কাজের থেকে অকাজটাই বেশি থাকে যে কোন জায়গায়। হিহিহিহি। তবে যে মানুষগুলো প্রতিদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে আমাদের জন্য ডাল উৎপাদন করছেন তাদের প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
আপু টাইটেল টা আর প্রথম ছবির ক্যাপশনে ডালের পরিবর্তে ডালি হয়ে গেছে। একটু সংশোধন করে দিলে আরো সুন্দর লাগবে দেখতে।
ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলটা ধরে দেওয়ার জন্য, আসলে সামনে সামনে দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
দারুন একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এ জাতীয় জিনিসগুলো সত্যি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন কিন্তু তা হয়ে ওঠেনা খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি কাজের জায়গা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
আপু জীবন কতটা কঠিন সেটা আপনার ডালের মিলে ঘোরাঘুরির কিছু দৃশ্য দেখেই বুঝতে পারছি। একজন মহিলা মানুষ সকাল নয়টায় এসে চারটা পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটাই জীবনের মূল চিত্র। ধন্যবাদ আপু।
সত্যি ভাইয়া জীবন অনেক কঠিন, ধন্যবাদ আপনাকে।