আফগানদের জয়যাত্রা থামিয়ে ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের সামনেই প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার হাতছানি ছিল। ইতিহাস গড়তে পারল না আফগানিস্তান। চোকার্স তকমা কাটিয়ে ইতিহাস করে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে এর সিদ্ধান্ত নেয় আফগান অধিনায়ক রাশিদ খান। দুই দলই তাদের একাদশে কোন পরিবর্তন করেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই প্রোটিয়া ফার্স্ট বোলার মার্কো জ্যানসেনের শিকার হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়ানে ফিরে যান ইনফর্ম আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরুবাজ। তিনি টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুন ফার্মে ছিলেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এই আফগান ওপেনার।
ওয়ান ডাউন পজিশনে ব্যাট করতে নামের আরেক আফগান হার্ড হিটার গুলবাদিন নাইব। তিনিও আফগানদের হতাশ করে মার্কো জ্যানসেনের বলে দ্রুত আউট হয়ে প্যাভেলিয়ান এ ফিরে যান। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান।প্রোটিয়াদের বোলিং তাণ্ডবে দিশেহারা আফগান ব্যাটিং লাইন আপ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় আফগানদের টপ অর্ডার এবং মিডিল অর্ডার। পাওয়ার প্লে শেষে আফগানদের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৮ রান।
এদিন আফগানিস্তানের কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেনি আফ্রিকানদের বোলিংয়ের সামনে। ইনিংস সর্বোচ্চ ১০ রান করেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই।১১ ওভার ৫ বলে ৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মার্কো জ্যানসেন ও তবরেজ শামসি ৩ টি করে উইকেট পান। কাগিসো রাবাদা ও আনরিক নরকিয়া সমান ২ টি করে উইকেট নেন। ইতিহাস গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৫৭ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফাজল হক ফারুকীর বলে সরাসরি বোল্ট আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক।প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারকাম ও রেজা হেন্ড্রিক্স এই দুইজনের অপরাজিত ৫৫ রানের পার্টনারশিপে নয় উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই জয়ে ইতিহাস করল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সেই সাথে চোকার্স তকমা কাটালো দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিনন্দন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার জন্য। সেই সাথে আফগানিস্তান কেউ অভিনন্দন। তারা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুন ক্রিকেট খেলেছে।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা নয় উইকেটে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ:মার্কো জ্যানসেন। তিন ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
I use for photography and work:
মোবাইল | I phone 12 pro max | ফটোগ্রাফার | @najmulislam10 |
---|---|
লোকেশন | ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা | বাহিরে |
#ilovecricket
https://steemit.com/ilovecricket/@patjewell/what-if
@patjewell Yes I also love cricket.
https://steemit.com/cricket/@najmulislam10/vs
Oh yeah! Oh yeah! 🏏
😍