ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ অমল আর অয়নের বন্ধুত্বের দৃঢ়তা।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
রোজ বুধবার ।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেয়ার করতে চলেছি। দুই জন বন্ধুত্বের মধ্যে দৃঢ়তা তৈরি হওয়াকে কেন্দ্র করে আমি এই লেখাটি লিখেছি। যদি একে অপরে আমরা সমন্বয় করে চলতে পারে তাহলে যে কোন বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আমাদের উচিত একে অপরকে সহযোগিতা করা এবং সাহস দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমারে গল্পের মাধ্যমে অমল ও আয়নের মধ্যে বন্ধুত্বের যে বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে তা আর কখনো নষ্ট হবে না। তারা একে অপরে মিলে এভাবেই বাকি পথগুলো সামনের দিকে ওগিয়ে যাবে।
অমল আর অয়নের বন্ধুত্ব ছিল ছোটবেলা থেকেই। একই পাড়ায় বড় হয়েছে ওরা, একই স্কুলে পড়েছে। অমল ছিল দারুণ চঞ্চল সবসময় হাসি-ঠাট্টা আর মজার মধ্যে মেতে থাকতো। অন্যদিকে অয়ন ছিল একটু শান্ত স্বভাবের বই পড়তে আর আঁকতে ভালোবাসতো। তবুও ওদের বন্ধুত্ব ছিল নিখাদ ও মজবুত। একদিন ওরা সিদ্ধান্ত নিলো গ্রামের পাশের বনে একসাথে ঘুরতে যাবে। বনের ভিতরে একটি পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়ি ছিল। গ্রামের মানুষরা বলতো, সেখানে ভূত আছে। অমল বললো চল অয়ন ভূতটুত বলে কিছু নেই। আমরা নিজের চোখে দেখে আসি। অয়ন প্রথমে একটু ভয় পেলেও অমলের কথায় সাহস পেলো। ওরা দুজনে বিকেলে বনের দিকে রওনা দিলো। বনের গভীরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা নেমে এলো। অন্ধকার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ওরা একটু কাঁপছিলো কিন্তু পিছিয়ে আসার নাম নেই।
অমল ফিসফিস করে বললো অয়ন চল আমরা ভিতরে যাই। অয়ন মাথা নাড়লো ঠিক আছে তুই আগে যা। ওরা দুজনে ঘরের ভিতরে ঢুকলো। ঘরটা অন্ধকার আর ধুলো-ময়লা জমে আছে। হঠাৎ একটা ঝড়ের হাওয়ায় দরজা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেলো। অমল আর অয়ন চমকে উঠলো। অয়ন বললো অমল আমি ভয় পাচ্ছি।
অমল হাত বাড়িয়ে অয়নের হাত ধরলো। ডরাবি না, আমরা একসাথে আছি। কিছুই হবে না। ঠিক তখনই একটা কৌতূহলোদ্দীপক আওয়াজ শুনতে পেলো ওরা। একটা চিলেকোঠা থেকে আসছে। অমল বললো চল, দেখি কিসের আওয়াজ। ওরা চিলেকোঠার দিকে এগিয়ে গেলো। সেখানে গিয়ে দেখে, একটা ছোট্ট বিড়ালছানা আটকে আছে। অয়ন বিড়ালছানাটাকে কোলে তুলে নিলো। অমল, দেখ! ও তো আমাদের সাহায্য চাইছে।
অমল হেসে বললো, এই হলো আসল রহস্যের সমাধান। চল, একে বাড়িতে নিয়ে যাই।
ওরা বিড়ালছানাটাকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। বাইরে এসে দেখলো, বনের ধারে তাদের মা-বাবা ও গ্রামের লোকেরা টর্চ নিয়ে খুঁজতে এসেছে। সবাই খুব চিন্তিত ছিলো। অয়ন আর অমলকে দেখে সবাই হাফ ছেড়ে বাঁচলো। অমল বললো, আমরা শুধু বন্ধুত্ব আর সাহসের ওপর ভর করে এই ছোট্ট অভিযানে গিয়েছিলাম। অয়ন হেসে বললো, হ্যাঁ, আর সেই বন্ধুত্বই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেদিনের পর থেকে অমল আর অয়নের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হলো। আর সেই বিড়ালছানাটাও ওদের নতুন সঙ্গী হয়ে গেলো। এইভাবে ওরা তিনজন, অমল, অয়ন আর তাদের নতুন বন্ধুর সাথে অনেক নতুন নতুন অভিযান আর মজার গল্প তৈরি করলো।
আশা করি গল্পটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সমাপ্ত
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | মোহাঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.