কক্সবাজার ভ্রমন স্মৃতি - পর্ব ১১ - পাহাড় থেকে কাঠের সেতু
"পাহাড় থেকে কাঠের সেতু"
গত পর্বের পর...
পরের গন্তব্যের জন্য আমাদের গাড়ি প্রস্তুত।পার্কিং এরিয়া থেকে গাড়িটি রাস্তাতে নিয়ে আসা হল। জিয়া ভাই সবাইকে ডাক দিল গাড়িতে বসার জন্য। সবাই যে যার মত আবার গাড়িতে গিয়ে বসলাম। ঘুরতে ঘুরতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকালের কাছাকাছি চলে এসেছে। সবার মোটামুটি ক্ষুদাও পেয়ে গেছে। আমরা প্লান করলাম হিমছড়ির দিকে গিয়ে দুপুরের লাঞ্চ করে নিব। তো এই ভেবে নিয়েই উঠে গেলাম গাড়িতে। আবার সেই পাহাড়ি পথ দিয়ে পাহাড় কে পিছনে ফেলে আমরা সামনের দিকে চলে যাচ্ছি। পরের গন্তব্য হিমছড়ি পাহাড় ও ঝর্ণা। সারাদিন ঘোরাঘুরি এবং পেটেও ক্ষুধা নিয়ে সবাই মোটামুটি আমরা অনেকটাই ক্লান্ত। আগের মত হয়তো অনেক ছোটাছুটি করছি না তবে মনের মধ্যে আনন্দ কিন্তু আছেই। বসে বসে সবাই একসাথে এবার গল্প করছি আর এগিয়ে যাচ্ছি। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ্দুর। গাড়ির দ্রুত চলার ফলে শরীরে বাতাস লাগছে তাই অতটা গরম লাগছে না।
যেতে যেতে হঠাৎ পথের মাঝখানে গাড়িওয়ালা আমাদেরকে বলল, "সামনে ঝাউবন বীচ, সুন্দর একটি কাঠের সেতু আছে, আপনারা নামবেন নাকি?" আরে অবশ্যই নামতে হবে, বাদ যাবে না কোন জায়গা আজকে সব ঘুরবো। পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাস্তা হালকা বাঁধ নিয়ে গাড়ি পৌঁছে গেল কাঠের সেতুর সামনে। বড় একটি খালের মত জায়গা তার ওপরে সুন্দর কাঠ দিয়ে বানানো একটি ঝুলন্ত সেতু। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। গাড়ি রাস্তার পাশে রাখল, আমরা নেমে সেতুটার উপরে গিয়ে উঠলাম। কয়েকজন অতিরিক্ত ক্লান্তির ফলে গাড়ি থেকে নামলো না।
আমরা কয়েকজন গাড়ি থেকে নেমে সেতুর উপরে উঠলাম। সরু সুন্দর কাঠের সেতু। জুতো পরে সেতুর উপর দিয়ে হাঁটলে ঠকাস ঠকার শব্দ হয় ভালো লাগে হাঁটতে। বেশ কিছুক্ষণ ওটার উপরে হাটাহাটি করলাম এবং দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তুললাম। সে তোর মাঝ বরাবর এসে লক্ষ্য করলাম সেতুর ওই পারে অনেক সুন্দর সবুজ একটা ঝাউবন। দূর থেকে মনে হয় সবুজের ছাউনি।
চলবে...