চালতার আচার তৈরির রেসিপি
আচার খেতে মোটামুটি সবাই পছন্দ করে। খিচুরির সাথে আচার না হলে খাওয়াটা তেমন জমে না বললেই চলে। আর চালতার আচার হলেতো কোন কথাই নাই। তবে চালতার আচার খেতে কোনো উপলক্ষ্য লাগে না। এই আচার মুখে পুরলেই কেমন একটা স্বস্তি মেলে। এই আচার দেখলেই সবার জিভে জল চলে আসে।
আমাদের সবারই চালতার আচারের সাথে একটি প্রিয় ছোটবেলার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। স্কুল গেটে আচারওয়ালা আসতো টক-মিষ্টি নানা স্বাদের চালতার আচার নিয়ে। বাবা-মাকে লুকিয়ে সেই আচার খাওয়ার স্মৃতি আমাদের প্রায় সাবারই আছে।
তখন আমরা জানতাম না বাহিরের আচার খাওয়া কতটা ক্ষতিকর। এখন আমার জানি বাহিরের আচার না খাওয়াই ভালো। তাই ঘরে তৈরি করে আচার খাওয়া সবথেকে ভালো। অনেকেই চালতার আচার ঘরে তৈরি করতে পারে না। এই রেসিপি অনুসারণ করে খুব সহজেই আচার তৈরি করতে পারবেন।
তৈরি করতে যা যা লাগবেঃ
১. চালতা ২টি
২. সরিষার তেল ১কাপ
৩. তেজপাতা ২টি
৪. পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ
৫. লবণ ১ টেবিল চামচ
৬. সিরকা ১ টেবিল চামচ
৭. শুকনো লাল মরিচ ৫-৬টি
৮. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৯. ভাজা মৌরি গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
১০. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
১১. ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
১২. রসুন বাটা আধা চা চামচ
১৩. সরিষা বাটা ১ চা চামচ
১৪. চিনি অথবা গুড় এক কাপ
তৈরি করবেন যেভাবেঃ
চালতা ধুয়ে পাতলা পাতলা করে টুকরা করে নিন।
এরপর হালকা ছেঁচে গরম পানিতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। চালতাগুলো একটু ঠান্ডা হতে দিন।
এবার চুলায় একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে পাচঁফোড়ন ও তেজপাতা দিয়ে হালকা ভেজে নিন। পাঁচফোড়ন ফুটতে শুরু করলে তাতে মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, ভাজা মৌরি গুঁড়া, রসুন বাটা, সরিষা বাটা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে মসলা ভালো করে কসিয়ে নিন।
এবার ভাপ দেওয়া চালতাগুলো দিয়ে দিন। চালতা নেড়ে মসলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে তাতে চিনি/গুড় দিয়ে আরোও কিছু সময় নাড়ুন ও স্বাদ মত লবণ দিন।
চিনির পানি শুকিয়ে আচার আঁঠালো হয়ে আসলে সিরকা দিয়ে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল জিভে জল আনা চালতার আচার।
কাচের বয়ামে অনেকদিন পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন এই আচার। অবশ্যই মাঝেমধ্যে রোদে দিতে হবে। তাহলে আচারের স্বাদ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।