চিকলি ওয়াটার পার্ক।
হ্যালো বন্ধুরা সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
রংপুরের বিখ্যাত চিকলি বিলের সৌন্দর্য সবাইকেই মুগ্ধ করে। এককালে স্থানটি ব্যবহৃত হতো সি প্লেনের ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে। শীত আসলেই নানা অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠতো এই বিল।
রংপুরের হনুমানতলা এলাকার শত বছরের প্রাচীন এই চিকলি বিলের পাশেই গড়ে উঠেছে দর্শণীয় চিকলি ওয়াটার ও গার্ডেন পার্ক। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই পার্ক এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশবাসীর কাছে।চিকলি ওয়াটার পার্ক এর মূল আকর্ষণ হলো কৃত্রিম ঝর্ণা। দিনের চেয়ে রাতে এই ঝর্ণা দেখতে বেশি ভালো লাগে। নানা রঙের আলোর ঝলকানিতে চোখ ভরে যাবে।
জানুয়ারি মাসের শুরুতেই রংপুর এ আমার ছোট দাদার বাসায় ঘুরতে গিয়ে সবাই মিলে চিকলি ওয়াটার পার্ককে ঘুরতে গেছিলাম।আগেও একবার যাওয়া হয়েছিলো কিন্তু তখন খুব একটা ঘোরাঘুরি করতে পারিন।তার কারন হলো গরমের সময় আর একদম দুপুর বেলা গেছিলাম তখন এতটাই রোদ আর গরম একদম থাকতেই পারছিলাম না তাই খুব দ্রুত বাসায় ফিরে আসতে হয়েছিলো।
দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষ করে আমরা রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।১২০ টাকা দিয়ে একটা অটোরিকশা রিজার্ভ করে নিয়ে চিকলি ওয়াটার পার্ক এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলাম।কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম।অটোরিকশা থেকে নেমে আমরা প্রথমে মেইন কাউন্টারে টিকিট কাটি জনপ্রতি ২০ টাকা করে।তারপর আবার ভিতরে গিয়ে আরেকটি কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে জন প্রতি ৩০ টাকা করে।তারপর আমরা আস্তে আস্তে ভিতরের দিকে প্রবেশ করি।প্রথমে আমরা ওয়াটার ক্যানেলে যাই ওখানে কিছুক্ষণ থেকে তারপর চরকির দিকে যাই।ওখানে জন প্রতি ১০০ টাকা টিকিট কেটে বাচ্চারা চরকিতে উঠে।চরকিতে উঠলে পুরো চিকলি বিল দেখা যায়।
চরকি থেকে নেমে সব বাচ্চারা মিলে ফটোসেশান করে। তারপর আবারও অন্য রাইড গুলোতে উঠতে থাকে এক এক করে।প্রতি রাইডে জন প্রতি ১০০ টাকা করে নিচ্ছিলো শুধুমাত্র রিবাউন্ডিং এ জন প্রতি ৩০ টাকা এবং সময়ের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই যার যতক্ষণ খুশি লাফালাফি করতে পারবে।
একে একে সবগুলো রাইডে উঠা শেষ করে আমরা সামের দিকে চলে আসি।প্রথমে ক্যানেলের রংবেরং এর মাছ গুলোর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করি।তারপর কৃত্রিম ঝর্ণার দিকে চলে আসি।রাতের বেলায় রংবেরং এর লাইটিং এ পুরো মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করি আমরা।
সবকিছু দেখা শেষ হয়ে গেরে আমরা একদম সামনের দিকে চলে আসি ওখানে একটা মটকা চা এর দোকান ছিলো লোকজনের অনেক ভীড় ছিলো চা খাওয়ার জন্য।তারপর চা এর টোকেন সংগ্রহ করি তারপর আমরা চা হাতে পাই এবং সবাই মিলে চা টা অনেক মজা করে খাই।তারপর আমরা ওখান থেকে বেড় হয়ে চলে আস।বাচ্চারা তো খুবই মজা করেছে সেই সাথে আমরাও অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলা।সবমিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে চিকলি ওয়াটার পার্ক।
চিকলি ওয়াটার পার্ক এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে নিচের ভিডিও টি দেখুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।🙏
পোস্টের বিবরণ।
ডিভাইস নাম | Vivo |
---|---|
মডেল | Y30 |
পোস্টের ধরণ | ভিডিওগ্রাফি |
ফটোগ্রাফার | @bristychaki |
লোকেশন | চিকলি ওয়াটার পার্ক,রংপুর।সোর্স |
চিকলি ওয়াটার পার্ক নামটাই শুনতে কেমন যেন অন্যরকম লাগছে। এর আগে আমি এই নাম কখনো শুনিনি। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি এই পার্ক দিনের বেলা থেকে রাতে বেশি সুন্দর। আপনার ছোট দাদার বাসায় বেড়াতে গিয়ে তাহলে ভালো লাভ হয়েছে। বেড়ানো আর ঘুরাঘুরি দুটো একসাথে করা হলো। এমন সুন্দর পরিবেশ আর এত সুন্দর রাইড থাকলে বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করে মজা পাওয়া যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ নাম টা একটু অন্য রকমের কিন্তু জায়গা টা অনেক সুন্দর। জ্বি আপু ঘোরাঘুরি এবং দাদা বাসায় যাওয়া দুটোই অনেক ভালো হয়েছে ধন্যবাদ আপু।
চিকলি ওয়াটার পার্ক নামটাই এতো সুন্দর আর ইউনিক।আর এর ভিতরের ভিউ তো চমৎকার আপু।আমার অনেক ভালো লেগেছে।বাচ্চাদের নিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন,যেটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার।আমার ইচ্ছে করছে চলে যায় এখনি।ঘুরাঘুরি শেষে চা এর টোকেন নিয়ে চা খেয়ে সবাই মিলে অনেক মজা করে চলে এসেছিলেন পার্ক থেকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু নামটার মধ্যে বেশ নতুনত্ব আছে।সবাই মিলে অনেক আনন্দ করে শেষে চা খেয়ে বাসায় এসেছি।সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিলো।ধন্যবাদ আপু।
এরকমভাবে পার্ক ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখা অনেক মানুষের ভিড়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়া সে সাথে অনেক মজা করা।
আর এমন পরিবেশে যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্রমণ করা যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই।।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন পার্কের পরিবেশটাও অনেক ভালো লাগলো।।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম পরিবেশে নিজের পরিবারের সবার সাথে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।অনেক অনেক মজা করেছি সবাই।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি প্রায় ২ বছর হবে রংপুর চিকলি পার্ক গিয়েছিলাম ৷ এখন হয়তো অনেক পরিবর্তন হয়েছে ৷ তবে আপনার ব্লগে বেশ ভালো লাগছে ৷ সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷আর ছোট মামুনি দারুন ভিডিও করে ৷ সবমিলে অসাধারণ ছিল ব্লগটি৷
হ্যাঁ ভাই এখন আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। গেলে বেশ ভালোই লাগে।আমার মেয়ে সবকিছুই ভিডিও করে 😁তাই ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি।ধন্যবাদ ভাই।
আপু গো আমাকে নিলেন না কেন। আপনার চিকলি ওয়াটার পার্ক দেখে তো আমি বেহুস হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর সময় পার করেছেন। কি সুন্দর ঝরণা। সেও আবার কালার ফুল। কত কিছুই না আছে চিকলি পার্কে।
আসছে বার আবার হবে☺️হ্যাঁ চিকলির সৌন্দর্য দেখে আমরাও বেহুশ হয়ে গেছিলাম।😁ওখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো কৃত্রিম ঝর্ণা টা যা দেখতে সত্যিই অসাধারণ।ধন্যবাদ আপু।
এমন সুন্দর জায়গায় যদি সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করা যায় তাহলে আনন্দটা অনেক মধুর হয়ে ওঠে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে চিকলি ওয়াটার পার্ক দেখার সুযোগ হলো। জায়গাটি অনেক সুন্দর আপু বিশেষ করে ঝর্ণা দিনের বেলায় এক ধরনের এবং রাতের বেলায় অন্য ধরনের ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম চিকলি ওয়াটার পার্ক অনেক সুন্দর। যেকোনো দর্শনীয় স্থানে গরমের চেয়ে একটু শীতকালে গেলে আনন্দ বেশি উপভোগ করা যায়।
ঠিক বলেছেন আপু সবার সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।দিনে একবার গেছিলাম কিন্তু তখন এতটা ভালো লাগেনি।কিন্তু এবার রাতের পরিবেশ সত্যি অন্য রকমের ছিলো যা সবাই খুবই ভালো উপভোগ করেছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিকলি ওয়াটার পার্কে গিয়ে আপনারা সবাই মিলে দেখছি বেশি ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। খুবই সুন্দর একটা ব্লগ ও করেছেন দেখছি সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। তারপরে দেখছি চা ও খেয়েছিলেন আপনারা সবাই মিলে। চায়ের কালার দেখে বুঝতে পারছি বেশ মজা করে খেয়েছিলেন এবং বেশ মজাদার ছিল চা টি। এত সুন্দর একটা কাটানো মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
চা তো আপু অনেক পছন্দ করি তাই যেখানেই যাই কিছু খাই আর না খাই কিন্তু চা খাই।ভিডিও টি করেছি যাতে সবাই চিকলির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।হ্যাঁ আপু সবাই মিলে অনেক অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি।ধন্যবাদ আপু।
জানেন তো বড়দি, আমি মাঝে মধ্যে বুঝে পাইনা নামগুলো এতটা বিদঘুটে দেয় কেন 🤪 চিকলি কেন দিতে হবে! কোন সহজ বাংলা নাম দিলেই তো আরো বেশি ভালো লাগে দেখতে। যাই হোক জায়গাটা বেশ ভালো লেগেছে। আমি নিজেও নাম শুনেছি আগে তবে কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেল। সব থেকে বেশি ভালো ছিল সবশেষের ভিডিওর আয়োজনটা। যেমন দুর্দান্ত ধারাভাষ্য তেমন মিষ্টি উপস্থাপনা 👌👌
শোনেন ছোড়দা,, এরকম বিদঘুটে নাম দেওয়ার মধ্যে কারন আছে জানেন কেন,যাতে করে মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় যে এই বিদঘুটে নামের পিছনে আসলে কি আছে!😁😁তাই এরকম নাম দেয়।একবার সুযোগ হলে ঘুরে আসবেন ছোড়দা আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোড়দা।