হঠাৎ দেখা - স্মৃতি গল্প
আমি আর আমার বন্ধু আরিফ, আমার বিয়ে হয়েছে মোটামুটি এক বছর হয়ে গেছে। ঢাকাতে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি এই কয়েক মাস হল। চাকরি ও ব্যবসা করি। এর মধ্যে হঠাৎ করে শুনতে পায় আমার বন্ধু আরফও নাকি বিয়ে করেছে। যদি ওর বিয়েটা একটু অন্যরকম। যাইহোক আজকে ওই গল্পে না যায়। বন্ধু আমাকে হঠাৎ করে বলল তার স্ত্রী এবং আমার স্ত্রী নিয়ে আমরা চারজনকোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় কিনা। ঘোরাঘুরি আমারও আমার স্ত্রীর বরাবরই অনেক ভালো লাগে। রাজি হয়ে গেলাম। দিন তারিখ ঠিক করে চলে গেলাম জাহাঙ্গীরনগর। জাহাঙ্গীরনগরে যাওয়ার স্মৃতি এবং ঘোরাঘুরি নিয়ে তিনটি পর্বে আমার স্ত্রী বেশ কিছু লেখালেখি করেছে। যা আগে পোস্ট করেছি।
আমি বলব জাহাঙ্গীরনগর গিয়ে হঠাৎ করে দেখা একটি বিড়ালের কথা। তো যাইহোক ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে আমরা গেলাম চারুকলা অনুষদে। ভেতরে গিয়ে আমরা চারুকলার বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম দেখছি। এমন সময় দেখি বারান্দার করিডোর দিয়ে একটি সাদা কালো রঙের বিড়াল খেলা করছে। আগেই বলেছি বিড়াল প্রাণীটা আমার খুবই প্রিয়। বিড়াল দেখলেই আমার ধরতে মন চায়। শুধু আমার স্ত্রী এটা পছন্দ করে না বলে আমি কোন বিড়াল পোষতে পারি না। তো বিড়ালটার কাছে গেলাম। কিন্তু বিড়ালটা যেন কোন ভাই পেল না। বিড়ালটাকে ধরলাম। কোলেও নিলাম। খুবই আদুরী একটি বিড়াল।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
কিছুক্ষণ সেখানে বসে বিড়ালটিকে আদর করলাম। তারপর ওকে ছেড়ে দিলাম খেলা করার জন্য। কারন সেখান থেকে চলে আসতে হবে। কিন্তু আমি আসতে আসতে দেখি বিড়ালটি আমার পিছু নিয়েছে। ছোট ছোট পায়ে আমার পিছনে পিছনে আসছে। দেখে খুব মায়া হল। কিন্তু কি করার তাকে তো নিয়ে আর আসতে পারবো না। যদিও খুব ইচ্ছা ছিল ওকে নিয়ে আসার। তারপর আবার গিয়ে তাকে একটু আদর করলাম। সাথে এমন কোন খাবার ছিল না যা ওকে একটু দি। আরো কিছুক্ষণ আদর করে ওকে ছেড়ে দিলাম। যদিও খুব খারাপ লাগছিল তবুও দৌড় দিয়ে ওর কাছ থেকে আড়াল হয়ে চলে আসলাম। এর মধ্যে ওকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম। ছবিগুলো মাঝে মাঝে দেখলে ওর কথা মনে পড়ে। খুব অল্প সময়ের অতিথি ছিল সে।