শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা!
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনরা। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন পরিবারের নিয়ে। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বন্ধুরা আপনাদের ঈদের আগের মুহূর্তের দিনগুলো কেমন কাটছে। আশা করি সবাই ঈদের কেনাকাটা নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। তবে রমজানের দিনে ঈদের ব্যস্ততা সবারই রয়েছে। ব্যস্ততার মাঝে চেষ্টা করি আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করে নিতে। প্রতিদিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের পোস্টগুলো সবার মাঝে শেয়ার করতে। তাই ভিন্ন কোন কিছু বিষয় খুঁজে পেলে তা তৈরি করার চেষ্টা করি। রেসিপি তৈরি করা আসলেই এত বেশি সহজ নয়। সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপনার জন্য তৈরি করে নিতে হয়। সেগুলো ধাপে ধাপে ফটোগ্রাফি আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ক্যাপচার করে নিতে হয়।

আজকে বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গাজর দিয়ে গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি। গাজর এমন একটি সবজি যা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। কাঁচা খাওয়া যায় সালাদ করে খাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজর সবজি আমার খুব ভালো লাগে এমনি খেতে যেমন ভালো লাগে। তেমনি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে আরো অনেক বেশি ভালো লাগে। কোন সবজি সাথে যদি গাজর মিক্স করা হয় এতে গুণগত মান অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাছাড়াও দেখতে খুব সুন্দর কালারফুল দেখায়। একটা বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদেরকে একদম গাজর খাওয়াতে পারি না। যেকোনো সময় যেকোনোভাবে দিলে তারা খেতে চাই না। যেহেতু বাজার থেকে অনেকগুলো গাজর আনছিল আসলে একজন দুজনে পক্ষে শেষ করার কোন উপায় নেই। তবে বিভিন্নভাবে খাওয়ার চেষ্টা করেছি। যেহেতু বাচ্চারা লাড্ডু খেতে পছন্দ করে তাই আমি চিন্তা করলাম যে গাজরের লাড্ডু তৈরি করি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি দেখেছি তবে কখনো তৈরি করা হয়নি।

তাই চিন্তা করলাম যে গাজরের লাড্ডু তৈরি করবো। সেই চিন্তা ভাবনা করে লাড্ডু তৈরি করে নিলাম। যেহেতু কখনো খাওয়া হয়নি তৈরি করা হয়নি তাই একটু টেনশনে ছিলাম খেতে কেমন হবে। কিন্তু তৈরি করার পরে সত্যি খেতে এতো ভালো লাগছিল অনেক কষ্ট করে তৈরি করার পরে সব কষ্ট ভুলে যায়। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিল যখন বাচ্চারা খুব আনন্দের সাথে খেয়েছিল গাজরের লাড্ডু। আমার চিন্তা নেই এবার থেকে অতিরিক্ত গাজর আনলে আর নষ্ট হবেনা। এভাবে গাজরের লাড্ডু তৈরি করে বাচ্চাদেরকে দেওয়া যাবে। সেই রেসিপিটি নিয়ে আমি আজকে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি গাজরের লাড্ডু কিভাবে তৈরি করেছি সেই প্রসেস সমূহ আপনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করে নিব...
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |

গাজর- ৫০০ গ্রাম।
তরল দুধ- ১ বাটি।
বাদাম - পছন্দমত।
ঘি।
চিনি- পছন্দমত।
লবণ - স্বাদমত।
গুঁড়া দুধ - অল্প।
গাজরের লাড্ডু তৈরির প্রসেস সমূহঃ-
রান্নার প্রসেস-১

প্রথমে গাজরের খোসা ফেলে দিয়ে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিছি। এরপর ফ্রেসার কোকার দিয়ে সিদ্ধ করে নিছি। সিদ্ধ করার সময় লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিছি। সিদ্ধ হলে চুলা থেকে নামাই ফেলব।
রান্নার প্রসেস-২
এরপর একটি ফ্রাই প্যানে পরিমাণ মত ঘি দিলাম। ঘি গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

রান্নার প্রসেস-৩
এরপর লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে ভেজে নিছি। ভাজা হয়ে আসলে সিদ্ধ করা গাজর দিয়ে দিলাম। সাথে দিলাম পরিমাণ মত লবণ। নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে পানি শুকিয়ে যাওয়া অবধি।

রান্নার প্রসেস-৪
প্রায় পানি শুকিয়ে আসলে তরল দুধ ঢেলে দিব। দুধ দেওয়ার পরে দুধ শুকিয়ে আসা অবধি অপেক্ষা করতে হবে।

রান্নার প্রসেস-৫
দুধ যখন প্রায় শুকিয়ে আসে তখন দিয়ে দিলাম চিনি। চিনি দেয়ার পরে আবারও নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। যখন চিনির পানি প্রায় শুকিয়ে আসে তখন আবারও দুই চামচ ঘি দিলাম। আবার ভেজে নিতে হবে।

রান্নার প্রসেস-৬
এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলে ঠান্ডা করতে দিব। ঠান্ডা হয়ে আসলে ভেজে রাখা বাদাম দিলাম। ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এখন হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে হাতের তালুতে করে গাজর ভাজা নিয়ে গোল শেফ দিয়ে লাড্ডু তৈরি করে নিব।

রান্নার প্রসেস-৭
যখন সব লাড্ডু গোল শেফ দেয়া শেষ তখন গুড়া দুধ লাগিয়ে দিলাম। এভাবে রেডি হয়ে যায় মজাদার গাজরের লাড্ডু।

রেসিপির পরিবেশনা
আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা গাজরের লাড্ডুর রেসিপি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। সত্যি কথা বলতে তৈরি করে না খেলে বোঝা যায় না। আমি প্রথম তৈরি করেছি সেই হিসাবে আমার খেতে খুবই ভালো লেগেছে। পরিবারের সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছি। এই লাড্ডু খেতে যেমন মজা তেমন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কারণ গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। এছাড়া আরো অনেক গুণগতমান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়া ও কালার আমার বেশ ভালো লাগে। আমার আজকের শেয়ার করা গাজরের রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে সুন্দর মতামতের মাধ্যমে জানাবেন। আর আপনারা চাইলে আমার রেসিপি দেখে তৈরি করে নিতে পারেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।




ডিভাইসের নাম | Redmi |
মডেল | Note-14 pro |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।



গাজরের লাড্ডু কখনো খাওয়া হয়নি তবে শুনেছি এটা নাকি বেশ সুস্বাদু। বেশ ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা রেসিপি টা দেখে। প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে পুরো রেসিপিটা শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই রেসিপি দেখে একদিন তৈরি করে নিবেন আপু। আমার তো খেতে খুবই ভালো লাগছিল।
এত মজাদার ভাবে গাজরের লাড্ডু রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এটা দেখতে এত লোভনীয় লাগে যে, জিভে জল চলে আসলো দেখেই। মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে উপস্থাপন করলেন। এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমার তো মনে হয় আপনার তৈরি এই গাজরের লাড্ডু সবারই অসম্ভব পছন্দ হবে। আমার কিন্তু দারুণ পছন্দ হয়েছে।
বাসায় আসেন তাহলে আপনার জন্য আবারো তৈরি করে নিব।
https://x.com/heranahar148614/status/1900926848420507963?t=9Ctaer3WZ6OEMPBuTfgoLQ&s=19
বাহ আপু আপনি তো একদম লোভ লাগিয়ে দিলেন। গাজর দিয়ে খুব সুন্দর করে লাড্ডু তৈরি করেছেন।এই গাজরের লাড্ডু অনেক আগে একবার তৈরি করেছিলাম। তবে তারপর আর তৈরি করা হয়নি। খুব সুন্দর করে গাজরের লাড্ডু তৈরি করেছেন। তবে সর্বশেষ গুড়ো দুধ দিয়ে কোটিং করার ব্যাপারটা বেশ মজার হয়েছে। এর কারণে অনেক বেশি মজা হয়ে যাবে।
শুনে ভালো লাগলো আপু এই রেসিপিটি আপনিও তৈরি করেছিলেন জানতে পেরে।
গাজরের লাড্ডু তৈরি করা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে আমি কোন সময় গাজরের লাড্ডু খেয়ে ছিলাম না। আপনার তৈরি করার রেসিপিটা দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিয়ে রেসিপিটি দেখার জন্য।
গাজরের লাড্ডুর নাম শুনেছি কিন্তু কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার এমন লোভনীয় খাবার দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এখন সময়টাই খুব ব্যস্ততম। একদিকে রোজা অন্যদিকে ঈদ চলে আসছে। এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি এমন লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কালার যেমন সুন্দর এসেছে তেমনি খেতেও অনেক ভালো লাগছিলো। আশা করি আপনিও তৈরি করে নিবেন রেসিপি দেখে।
গাজরের লাড্ডু তৈরি খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে দারুন লেগেছে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গাজরের লাড্ডু খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এত মজাদার ভাবে আপনি এই লাড্ডু তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দেখে তো মনে হচ্ছে এটা খেতে খুব ভালো লেগেছিল। এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলাতে পারিনা। আর এরকম লাড্ডু গুলো কিন্তু কম বেশি সবাই ভালোবাসে খেতে।
সত্যিই আপু গাজরের লাড্ডু খেতে এমন ভালো হবে তা আমি বুঝতে পারি নাই। তৈরি করার পরে খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে।
আপু লাড্ডু খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি দেখছি গাজরের লাড্ডু তৈরি করেছেন। তবে গাজরের লাড্ডু বাচ্চারা আনন্দের সাথে খেয়েছে শুনে ভালো লাগলো। তবে আমরা বেশিরভাগ গাজরকে সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ গাজর দিয়ে এত মজার লাড্ডু রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খেতে ভীষণ মজার সময় পেলে তৈরি করে নিতে পারবেন।