Plum Cacke
Plum As Food
বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের ধরনের জানা অজানা ফল। তালগাছ এক পায়ে দাড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজগের আলোচ্য বিষয় হল বাংলার অন্যতম একটি ফল তাল। সত্যিই তো তালগাছ এত বড় সবচেয়ে উঁচু একটি গাছ। এই গাছ বাংলার সব এলাকায় কমবেশি পাওয়া যায়। তবে কোন কোন এলাকায় এই গাছ বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছের চাঁরা তৈরী করার একটি মাত্র উপায় আছে বীজ থেকে। এর কোন কলম বা অন্য কোন উপায়ে এর চাঁরা উৎপাদন করা সম্ভব নয়। তবে এই গাছের একটাই সমস্যা আছে সেটা হল চাঁরা তৈরী হওয়ার পর মাটির নিচ থেকে উপরে উঠতে প্রায় দশ বার বছর সময় লাগে। তার পর আরও প্রায় সাত থেকে দশ বছর লাগে ফল আসতে। একটি তাল গাছে কয়েকটি কয়েকটি কাঁধ তাল হয়। এই তাল কাঁচা অবস্থায় শ্বাস খাওয়া যায়। তাল শ্বাস খেতে খুবই সুস্বাদু। তার পর পাকা শুরু হয়। কাঁচা অবস্থায় এর রং হালকা সবুজ ও কালো রংগের সমন্বয় দেখা যায়। পাকলে কালো ও লাল টাইপের মিশ্রণ হয়ে থাকে। তাল পাকলে আপনা আপনি নিচে পড়ে বা বিশেষ ব্যবস্থাধীনে গাছ থেকে কেটে এনে নরম হলে তথন বিভিন্ন ব্যবস্থায় খাওয়ার উপযোগী করা হয়। তাল নরম হলে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে ভিতরে আটি অর্থাৎ বীজের সাথে যুক্ত থাকে এক ধরনের গাঢ় রস। এই রস সংগ্রহ করে গ্রামের মানুষ লোভনীয় স্বাদের পিঠা তৈরী করে থাকে। শহরের মানুষের কাছেও এটি কম প্রিয় নয়। তাছাড়া এর রস দুধ এবং নারকেল দিয়ে জাল দিয়েও কেউ কেউ খেয়ে থাকে। এটিও খুব সুস্বাদু। এছাড়াও তালের বীজ মাটিতে রেখে দিলে কিছু দিন পর যখন বীজ গজায় তখন এটা কেটে ভিতর থেকে মজার সাদের শ্বাস পাওয়া যায়। সর্বপরি তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয় যা থেকে গুড় তৈরী করে কেউ কেউ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রয় করে আর্থিক সংস্থান করে। এত সুস্বাদু এই ফল আজ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। এই ভিন্ন ধরনের ফলের সংরক্ষণ এবং প্রসার ঘটানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।