হঠাৎ বার্গার
মাঝে মাঝে আমি যেই এক্সপেরিমেন্ট গুলো করি সব যে ভাল হই তা কিন্তু না।আমি কিন্তু ভুলভাল রেছিপি বানাই যে গুলো খেতে খুবই বাজে হয়।সেই খারাপের ভিতর এটাও ছিল। ওইদিন কি মনে হল হঠাত ভাব্লাম যে বার্গার বানাই। বার্গার এর বান ছিল না। আমি বান বারিতে বানালাম। আমার যেহেতু ওভেন নেই আমি চুলাই বান গুলো বেক করেছিলাম। বান গুলো অনেক ভাল হয়েছিল।তারপর শুরু করলাম বার্গার এর প্যাটি বানানো। কিছু মুরগির মাংস ছিল সেগুলো আগে থেকে বের করে রেখেছিলাম। মাংস গুলো গলে যাওয়ার পর কুচি কুচি করে কেটে রান্না করে নিলাম। সাথে কিছু পেঁয়াজ আর মরিচ কেটে নিলাম আর আলু সিদ্ধ করে নিলাম।
আমি নিলাম যাতে গোল সেপ ভালো করে দেওয়া যায়। সিদ্ধ করা মাংস আলুর দাগ পেঁয়াজ মরিচ খাওয়ার দিয়ে একসাথে মেখে নিলাম। ওইগুলোর মধ্যে গরম মসলা দিয়েছিলাম। তারপরে ছোট ছোট পেটির মতো করে বানিয়ে ওগুলো ভেজে নিলাম। তারপর পেটিগুলো ভাজা হয়ে গেলে বার্গারের মধ্যে বার্গার সস আর টমেটো সস দিয়ে পেটিগুলো দিয়ে রেডি করে নিলাম তারপরে এক বাইট নিলাম।খেয়ে দেখলাম এত বাজে লাগছে খেতে তার থেকে শুধু শুধু বান দিয়ে সস খেতে ভালো লাগছে। কি আর করার সব সময় তো একরকম হয় না অনেক কষ্ট করে বানাইছিলাম কিন্তু তারপরও মনকে সান্ত্বনা দিলাম।অন্যদিন বানালে ভালো করে বানানো যাবে।
আমার হাজবেন্ড সে ভালো হোক আর মন্দ হোক সে কিছুই বলে না। সে বলছে ভালই হয়েছে। বলছি এটা হয়নি ওটা হয়নি। সে বলছে আরে না না সবই ভালো হয়েছে মজা লাগছে খাও।যাক আমাদের রিজিকের ওইটাই ছিল দুইজন মিলে বিকালের নাস্তায় ওইটাই খেয়ে ফেললাম। রিজিক বড় জিনিস।