একুশে বইমেলা( পর্ব- ৫ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমি আবার বই দেখতে শুরু করি। সামনে অসংখ্য লেখকর অসংখ্য বই। সুন্দর সব প্রচ্ছদ। এগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা বেশ মুশকিল। বাতিঘর প্রকাশনী থেকে এবার বেশ কিছু নতুন লেখকের বই বেরিয়েছে। এরা এখনও পাঠক মহলে ঐরকম পরিচিতি পাইনি। তবে এইরকম বেশ কিছু বই এবার আলোচনায় আছে। আমি এটা দেখেছিলাম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় আমি জুবায়ের ইবনে কামালের লেখা যে পাখি দেয় ধরা বইটা হাতে নেয়। এই বইটা পড়ি আমি ইতিমধ্যে রিভিউ দিয়েছি। আমার প্রোফাইলে গেলেই পেয়ে যাবেন। বইটা হাতে নিয়ে আমি পড়তে শুরু করি। আমার বেশ ভালো লেগে যায়।
বেশি কিছু না ভেবে বইটা আমি কিনে নেয়। ভূমিকা টা পড়ে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর আমার চোখ যায় মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর রহস্যের ব্যবচ্ছেদ বইটার উপর। এটা বেশ রহস্যময় একটা বই। পুরো থ্রীলার এর জমজমাট আনন্দ নিতে চাইলে আমি বলব এটা সংগ্রহ করবেন। আমার সামনে বিভিন্ন লেখকের অসংখ্য বই সাজানো রয়েছে। দেখে নিজেকে সংবরণ করা বেশ ঝামেলার ছিল। দেখেই মনে হচ্ছিল এক একটা বই নিজের ঝুলিতে গছিয়ে নেয়। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। একটা বাজেট নিয়ে গিয়েছিলাম বইমেলায়। চাইলেও তার বাইরে গিয়ে কিছু করার ক্ষমতা ছিল না। এরপর আমি বইগুলোর বেশ কিছু ছবি তুলে নেয়। যদিও ব্যাপার টা বেশ বাজে লাগছিল।
ততক্ষণে আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম অসংখ্য মানুষ স্টলে গিয়ে শুধু বই নিয়ে ছবি তুলছে। এবং তারপর বইগুলো রেখে চলে যাচ্ছে। একপর্যায়ে এটা নিয়ে স্টল কতৃপক্ষ বেশ রেগে যায়। ব্যাপার টা আমার কাছেও বেশ বাজে লাগছিল। যে তারা শুধু ছবি তুলেই চলে গেল বই কেনার প্রয়োজন মনে করল না। হয়তো ঐ ছবি তুলেতেই তারা মেলায় এসেছে কোন বই কিনতে না। বইমেলায় এই ট্রেন্ড টা চালু হয়েছে বেশ কয়েক বছর। আসে বই নিয়ে ছবি তোলে এবং চলে যায়। একটা বইও তারা কেনে না। যাইহোক এরপর আমি আরও কিছু বই দেখতে শুরু করি। নেওয়াজ নাবিদ এর কহশিমিয়ান আগমনী বার্তা বইটা বেশ ভালো লাগে। ঐটা বেশ কিছুক্ষণ দেখেছিলাম। যদিও ঐটা আমি কিনি নাই।
বিদেশী লেখক নিক পিরোগ বাংলাদেশে উনার থ্রি এ এম সিরিজের জন্য বেশ জনপ্রিয়।এই সিরেজের উনার বেশ কিছু বই এখন পযর্ন্ত এসেছে। এবং সেগুলো সবগুলোই অনুবাদ করেছে সালমান হক। এখন পযর্ন্ত আমি যতগুলো অনুবাদ পড়েছি সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে সালমান হক এর অনুবাদ। কিন্তু সবগুলো আমি একবারে কিনব এইজন্য নেয়নি। ঐটা দেখেই রেখে দেয়। ঐটা আমার উইসলিস্টে রয়েছে। এরপর দেখি নাজিম উদ্দিন এর জাল বই টা। যখন প্রকাশিত হয়েছিল এই বইগুলো বইমেলা সহ অনলাইন বুকশপ গুলোতেও স্টক আউট হয়ে গিয়েছিল। নতুন মুদ্রন আসার জন্য পাঠক কে বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতেও হয়েছিল। জাল মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর ঐরকমই একটা বই। যাইহোক ঐটাও বেশ নেড়েচেড়ে দেখি আমি। এভাবে আরও অনেক টা সময় মেলার মধ্যে অতিবাহিত করে ফেলি আমি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বইয়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। নতুন লেখকদের বই বেরোলে সাধারণত মানুষ হাতে নিয়ে কিনতে চায় না। হয়তো ভাবে এসব গার্বেজ লিখেছে। সেই নামকরা নামজাদা লেখকদের বই আজও কলকাতার বই দোকান বা মেলাগুলোতে বেশি বিক্রি। নতুন লেখকদের রীতিমতো পাঠক খুঁজে আনতে হয় । আপনার মত পাঠক আরো আসুক বাংলা সাহিত্যে এবং বাংলা সাহিত্য বেঁচে থাক মানুষের মধ্যে সাথে আরো আরো চর্চা হোক।
বইয়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। নতুন লেখকদের বই বেরোলে সাধারণত মানুষ হাতে নিয়ে কিনতে চায় না। হয়তো ভাবে এসব গার্বেজ লিখেছে। সেই নামকরা নামজাদা লেখকদের বই আজও কলকাতার বই দোকান বা মেলাগুলোতে বেশি বিক্রি। নতুন লেখকদের রীতিমতো পাঠক খুঁজে আনতে হয় । আপনার মত পাঠক আরো আসুক বাংলা সাহিত্যে এবং বাংলা সাহিত্য বেঁচে থাক মানুষের মধ্যে সাথে আরো আরো চর্চা হোক।
বইয়ের প্রতি আলাদা অনুভূতি কাজ করে বেশিরভাগ মানুষের। যারা বই পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসে, তারা বইমেলায় গিয়ে নিজেদের পছন্দ মত বই কিনে থাকে। আপনি আজকে একুশে বইমেলার আরও একটা সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন, এটা দেখে ভালো লেগেছে। বইয়ের প্রতি আপনার এত ভালোবাসা, এটা কিন্তু মুগ্ধ হওয়ার মতো বিষয়।