গ্যাস এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার!
গ্যাস আর গ্যাস্ট্রিক আলসার এক জিনিস না।। আমাদের দেশের মানুষ বেশি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা দেওয়াকে গ্যাস বলে। মূলত পাকস্থলির Overload হলে Food যদি ঠিক মত Move করতে না পারে, সাথে সাথে খাবার ও পানির Imbalance হলে পেট ফাঁপা দেয়। এখানে Gastro prokinetic (যেমন Domperidone) ভালো কাজ করে। । এই কন্ডিশনে গ্যাস্ট্রিক আলসারের মেডিসিন (যেমন- Ranitidine বা Omeprazole) দরকার হয় না।।
আরেক গ্যাস্ট্রিক বলে আমরা যাকে আদর করে ডাকি, সেটা আসলে পাকস্থলীর আরেক নাম ।। পাকস্থলীর প্রদাহ বা ঘাঁ হলো আলসার ।। এই ক্ষেত্রে আলসারের মেডিসিন যেমন ওমিপ্রাজোল ভালো কাজ করে।।
প্রথম কন্ডিশন থেকে বাঁচতে তিনটা কাজ করা যেতে পারে।
খাওয়ার পর পরই বেশি করে পানি খাওয়া ঠিক না।। খাওয়ার আগে বা মাঝে পানি খাওয়া উত্তম। । খাওয়া শেষ করে ত্রিশ মিনিট পর পানি খাওয়া। ।
খাওয়ার পর পরই শুয়ে পড়া ঠিক না।। খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর ঘুমালে Gastric emptying Time প্রায় ক্রস করে যায়।। ফলে পাকস্থলী খালি হয়ে যায়।। শুয়ে পড়লে Gravity effect loss হয়, একা Peristalsis আর কত টুকু Cover করে। ।
এই রমজানে ইফতারের শুরুতে কিছু Liquid আগে খেয়ে নিন যার মধ্যে Ready energy থাকবে ( যেমন খেজুর বা স্যালাইন ) , তারপর মাগরিব নামাজ পড়ে এসে ভারী খাবার খান। তাহলে পাকস্থলীর সচল থাকবে। ।
মুড়ি, ছোলা, জিলাপি, পিয়াজু, সফট ড্রিংকস, ভর্তা না খাওয়া সবচেয়ে ভালো। । খেজুর, ডাবের পানি, ভাত, মাছ, দুধ, ফল খাওয়া সবচেয়ে ভালো। ।