কাটার মুকুট ফুল: প্রকৃতির এক অনন্য রত্ন।।দ্বিতীয় পর্ব।।
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
গত পর্বে এই ফুল সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেছিলাম। আজকের পর্বে আপনাদের সামনে বাকি অংশ আলোচনা করব।
চাষাবাদ ও যত্ন।
এই ফুলগাছটি বেলে মাটি ও বেলে দোআস মাটিতে খুব ভালোভাবে জন্ম নেয়। সূর্যের আলোর স্থানে এ ফুল গাছটি খুব ভালোভাবে বড় হয়, এবং আলোতে খুব ভালো ফুল ধরে। তবে ছায়া জায়গাতেও এ ফুল গাছটি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এটি একটি স্থল গাছ হওয়ার ফলে এটিতে খুব কম পরিমাণ পানি দিতে হয়, জলাশয় এই গাছটি হয় না, জলাবদ্ধ স্থানে এই গাছের শিকড় পচে যায়। তাই এটিকে শুকনা স্থান রাখতে হয়। মাসে এক দুই বার সার দেওয়া যায়। তবে এই গাছটিতে স্যারের পরিমাণ কম লাগে। এটি বাড়িতে বা ব্যালকনিতে লাগিয়ে রাখলে অনেক সুন্দর লাগে। এটি বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাছাড়া এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সতর্কবার্তা।
এই গাছটি যেমন হাজারো গুনাগুন রয়েছে। তেমনও কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। যেগুলো আমাদের জেনে রাখা উচিত। কাটার মুকুট গাছ থেকে এক ধরনের সাদা কস বের হয়, যেটি ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এবং এটি চোখে লাগলে চোখের ভিতর জ্বালা শুরু করে, এবং ত্বকে লাগলে ত্বকের ক্ষতি হয়। এর কাটা অনেক বিষাক্ত হয়ে থাকে।তাই এ গাছ পরিচর্যা করার সময় বিশ্ব সতর্ক অবলম্বন করা উচিত।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
কাটার মুকুট ফুল শুধু তার সৌন্দর্য সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃতির সহনশীলতার প্রতীক। এই ফুলটি সারা বছর ফুটে থাকে যার ফলে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে হাজারগুন বাড়িয়ে দেয়। আর সকল ফুল প্রেমীদের বাগানে এই গাছটি দেখা যায়। তাই আপনাদের যাদের ফুল অনেক প্রিয়, এবং যারা ভাবতেছে বাগান করবেন, তারা অবশ্যই এই কাজটি তাদের বাগানে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার বাগানের সৌন্দর্য হাজার গুণ বেড়ে যাবে।