আমি ফেরিতে উঠলেই ঝালমুড়ি খেতে ভালোবাসি।
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
ফেরিতে ভ্রমণ এক অন্য রকমের অনুভূতি। নদীর বুক চিরে ভেসে চলা ফেরিতে বাতাসের মৃদু স্পর্শ, চারপাশের জলরাশি আর ছোট ছোট ঢেউয়ের মৃদু সুর যেন মুহূর্তেই মন ভালো করে দেয়। আর এই সবকিছুর সঙ্গী যদি হয় ঝালমুড়ি, তাহলে সেই আনন্দের মাত্রা যেন বহুগুণে বেড়ে যায়।
আমাদের দেশের নদীবহুল অঞ্চলে ফেরির ভ্রমণ মানেই যেন ঝালমুড়ি খাওয়ার এক অবিচ্ছেদ্য অভ্যাস। ঝালমুড়ির ঝাঁঝালো স্বাদ, লেবুর টক, কাঁচামরিচের ঝাল আর সর্ষে তেলের গন্ধ ফেরির পরিবেশে এক আলাদা আনন্দ যোগ করে। এই খাবারের মধ্যে মিশে থাকে এক ধরনের আবেগ, যা নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে বা বসে খাওয়ার অনুভূতিকে আরও গভীর করে।
ফেরিতে উঠলেই ঝালমুড়ি বিক্রেতারা খাঁচি কাঁধে নিয়ে ঘুরতে থাকে। তাদের মজাদার মিশ্রণের হাতের গতি যেন চোখের পলকে মুড়ি, পেঁয়াজ, ধনেপাতা আর মরিচ মিশিয়ে তৈরি করে ফেলে এক অপরূপ স্বাদের ঝালমুড়ি। বিক্রেতার কণ্ঠে উচ্চারিত "গরম ঝালমুড়ি" ডাকটি যেন সবাইকে টেনে নিয়ে যায়।
ফেরিতে ঝালমুড়ি খাওয়ার এই অভ্যাস কেবল মাত্র ভ্রমণপিপাসুদের নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঝালমুড়ির প্রতিটি দানা যেন নদীর জলের সঙ্গে এক অদ্ভুত সংযোগ সৃষ্টি করে, যা যাত্রার স্মৃতিকে আরও মধুর করে তোলে।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
ফেরিতে ঝালমুড়ি খাওয়ার আনন্দ শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়; এটি এক ধরনের আবেগ, যা আমাদের ঐতিহ্য ও অভ্যাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই প্রতিবার ফেরিতে উঠলেই ঝালমুড়ি খাওয়ার আনন্দ নিতে ভুলবেন না। এটি শুধু এক প্যাকেট খাবার নয়, এটি নদীপথের এক চিরন্তন সঙ্গী।