মূর্তিপূজার সূচনা।।নিজের লেখা ইসলামিক পোস্ট নং-০৬
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
একসময় নবী-রাসূলগণ মৃত্যুবরণ করেন। আর যেকোনো মানুষের মৃত্যুবরণ করা-ই স্বাভাবিক। কারণ, মৃত্যু নেই একমাত্র আল্লাহর। নবী- রাসূলগণের মৃত্যুর পর তাঁদের বিরহশোকে অনেক মানুষকে হতবিহবল ও বেদনাহত হতে দেখা গেছে। তাঁদের মৃত্যুশোকে বেদনাহত হয়ে মানুষ খুব কান্নাকাটি করতো। মৃত নবী-রাসূলের স্মরণে এ কান্নাকাটি শয়তানকে সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়। শয়তান এই সুযোগকে কাজে লাগায়। শয়তান তো শুরু থেকেই মানুষের প্রধান শত্রু। আল্লাহপাক মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য শয়তানকে ধোঁকা ও প্ররোচনা প্রদানের বিপুল ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই সে মানুষকে প্রতারিত ও প্ররোচিত করতে পারে, বিপথগামী করতে পারে, মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দিতে পারে।
আল্লাহপাক দেখতে চান, তাঁর বান্দাদের কারা তাঁর আনুগত্য ও ইবাদত- বন্দেগী করে আর কারা শয়তানের কথায় বিপথে যায়। শয়তান শোকাহত মানুষদের কাছে এসে প্ররোচনা দিতে শুরু করলো। সে তাদের বললো, তোমরা নবীকে এতো ভালোবাস; অথচ মৃত্যুর পর তিনি দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছেন। আমি তোমাদের নবীর একটি মূর্তি তৈরি করে দিচ্ছি। অন্তত মূর্তিটা দেখে তোমরা মনে সামান্য সান্ত্বনা অনুভব করতে পারবে।
একথা বলে শয়তান নবী-রাসূলদের মূর্তি তৈরি করে দিল। তার পর থেকে যখনই ভক্তদের মনে নবীর কথা জেগে উঠতো, তারা শয়তানের বানিয়ে দেয়া মূর্তিটি দেখে সান্ত্বনা পেত। ধীরে-ধীরে যখন মূর্তির প্রতি তাদের প্রেম ও শ্রদ্ধা সৃষ্টি হলো, তখন শয়তান বললো, তোমরা যদি এ মূর্তির সামনে মাথা নত করো, তাহলে এর মাঝেই তোমরা স্রষ্টাকে পাবে। মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আগেই তাদের অন্তরে জেঁকে বসেছিল। ফলে খুব সহজেই তারা শয়তানের এ প্রস্তাব মেনে নিয়ে মূর্তির সামনে নত হতে শুরু করলো। এভাবেই শুরু হয়ে গেল মূর্তিপূজা। যে মানুষ একদা একমাত্র আল্লাহকে ইবাদতের যোগ্য মনে করতো, সেই মানুষ মূর্তিপূজায় জড়িয়ে পড়ল। ফেঁসে গেল শিরকের জালে। সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ যখনপাথর ও মাটির তৈরী মূর্তির সামনে মাথা নত করতে শুরু করলো, তখন তার সম্মানও ভূলুণ্ঠিত হলো। তারা আল্লাহ তা'আলার কৃপাকৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়ে ইন্ধন হলো জাহান্নামের।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
করুণাময় মালিক আবার নবী-রাসূল পাঠালেন। তাঁরা এসে মূর্তিপূজায় বাধা দিলেন। বললেন, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ মানুষের ইবাদত পাওয়ার যোগ্য নয়। কিছু লোক তাঁদের কথা মেনে নিলো। আর কেউ-কেউ অস্বীকার করলো। যারা নবী-রাসূলগণের কথা মেনে নিয়েছে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর যারা অবাধ্য হয়েছে, তাদের জন্য ধ্বংসের ফয়সালা হয়েছে।