চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের যাত্রা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
গতকাল বেশ কিছুক্ষণ লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করার পর প্রায় দুপুর ১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে একটি লঞ্চ আমাদের ঘাটে এসে পৌঁছায়। প্রচন্ড মানুষের ভিড় ছিল, প্রত্যেকেই তাদের ছুটির দিন শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। এই মুহূর্তগুলো খুবই বেদনাদায়ক হয়ে থাকে, কারণ আপনি যখন শহরাঞ্চল ছেড়ে গ্রাম অঞ্চলে কিছুদিনের জন্য ঘুরতে আসেন এসে আপনি যে পরিবর্তন আপনার নিজের মধ্যে দেখতে পান সেটা আপনাকে ঠিক সেই মুহূর্তে অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়। এমনকি আপনার এটাও মনে হয় যে আরো কিছুদিন না হয় থেকে যাই। যাই হোক, তাড়াহুড়ো করে লঞ্চে উঠে পড়লাম। মানুষের ধাক্কাধাক্কিতে কখন কি হয়ে যায় বলা মুশকিল। ছোটবেলা একবার দেখেছিলাম লঞ্চে উঠতে গিয়ে একটি বাচ্চার পা থেকে একটি জুতা নিচে পড়ে গিয়েছিল, সেই ভয় আমার এখনো চলে আসে মাঝে মাঝে। লঞ্চে উঠে পড়লাম এবং লঞ্চ ছুটতে চলল তার পরবর্তী ঘাটে, যেখান থেকে আরো কিছু যাত্রী নিয়ে সে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।
For work I use:
ডিভাইস |
Redmi Note 13 Pro |
ফটোগ্রাফার |
@sayedabdullah |
লোকেশন |
Chandpur, Bangladesh |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
লঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে, ছোটবেলায় নদী পথে যখনই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যেতাম পরিবারের সঙ্গে তখনই আমি সবসময় লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতাম, কারণ ভিতরে বসে থাকলে কেমন যেন একটি আবদ্ধ অনুভূতি আসে তাই বারান্দা দাঁড়িয়ে থেকে বাইরের বাতাস এবং পরিবেশকে উপভোগ করতাম। যে ঘাট থেকে আমরা লঞ্চে উঠেছি সেখান থেকে ৩০ মিনিট পর আরও একটি ঘাট রয়েছে যেটা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ পৌছাবার সর্বশেষ ঘাট। আর এই ঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জের ঘাটের দূরত্ব প্রায় এক ঘণ্টার মতো। আমি নাশিদ শুনতে শুনতে যাচ্ছিলাম। প্রায় দুইটা তিরিশ মিনিটে আমরা লঞ্চঘাট থেকে বের হয়ে পড়ি, কেন জানি আজ বেশি সময় লাগলো না চলে আসতে। এরপর তিনটার মধ্যে আমরা বাসায় পৌঁছে যাই।