ডায়েরির পাতা
সেদিনও এমনি বৃষ্টি ছিল। সেদিনও আকাশে বিজলি চমকেছিলো। মনের অজান্তেই কতো জে ভাবনা ভেবেছিলেম তোমায় নিয়ে!!!
কখনো ভাবা হয় নাই, বাস্তবতা অনেক কঠিন । হ্রিদয় নিয়ে খেলা করার সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আর কেও রুদ্রর কথা ভাবে না। আকাশে বিজলি চমকালে এখন আর কেও কাথা মুরি দিয়ে লুকিয়ে থাকে না৷ বিষয়টা নিয়ে জে কত্তো মজা করেছি!!! ভয় জিনিস টা আসলে আমার কাছে বেশ অবাক লাগে৷ ছোট্র একটা বিষয় নিয়ে এত্ত ভয় পাওয়া। ভয় পাইলে মানুষ আবার চায়, মানুষের মাঝে থাকতে। ভয় পাইলে মানুষ অনেক বেশি মানবিক হয়ে ওঠে৷ ভয় পেলে মানুষ, মানুষের সাহাজ্য চায়।
জাই হোক, জেটা বলছিলাম বরষায় কদম ঝড়া বিকালে আজ আমি জীবনের হিসেব মেলাতে ব্যাস্ত৷ এ কনো কাল্পনিক রাজ্যের রাজকুমার এর কাহিনী নয়৷ এ আমার ডায়েরির শেষ পাতার প্রথম লাইন৷ এখান থেকেই শুরু আমার জীবনের গল্প, এখান থেকেই শুরু সেই দীর্ঘ যাত্রার।
সিলেটে বেড়াতে গিয়ে প্রথম দেখা পেয়েছিলাম শোভানার। সেখানে, তার চাহুনি দৃষ্টি কেরেছিলো মোর। চা বাগানের সবুজ পাতার ফাকে ধীর পায়ে হেটে জাওয়া এক হরিনী।
মনে হয়েছিলো, প্রথম কেও এসে বলেছিলো এই জে আমি ; জার জন্য তোমার জম্ম হয়েছে৷ হাটবে আমার সাথে?? হাজার বছর??
হ্যা, হাজার বছর হাটলেও বুঝি পথ ফুরানোর নয়। হাজার বছরেও ক্লান্ত হবার নয় এই রুদ্র। এই হাত ধরে অনন্তকাল পথচলা জায়। অথচ, মন চাইলেই এই হাত ছেড়ে জাওয়া জাবে না। এ এক মায়া।
সেদিন হতে আজ অবধি তোমার সাথে চলেছি। জীবনের সুখে দুখে। এভাবেই বাকি টা পথ কাটিয়ে দিতে চাই৷ জীবন জেখানে জেমন, তেমনেই তোমায় সাহচার্য প্রদান করাটাই আমার লক্ষ্য।
একি শোভানা?!?! তুমি আমার ডায়েরি পড়ছো ক্যানো¿??!! হঠাৎ রুদ্রের ডাকে ধ্যান ভাংে শোভানার । দুজনেই মিচকি হাসে, তারা দুজনেই
জানে জে তারা কি ভাবছে। তাদের মনের সেতুবন্ধন জে পরম আত্নীয়ের।
শোভানার চোখে কোন দিয়ে পানি ঝড়ে পরে৷ মাত্র একটি পাতা পড়েছি তোমার ডায়েরির, আমি আমার জীবনের দরশন পেয়ে গিয়েছি। চলো আবারো হাটি দূর পথের জাত্রী হয়ে। তোমার হাতে হাত রেখেই আমি মৃত্যুর আগ পরজন্ত হাটতে চাই৷