দিতে হবে তাঁর দান করা কিডনি বা ১২ কোটি টাকা! ডিভোর্সের পর প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে দাবি হতাশ স্বামীর
পৃথিবী জুড়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় নানা শর্ত, কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে শুরু করে নোংরা ও কদর্য আক্রমণ দেখা যায়। কোনও কোনও সময় সঙ্গে থাকে বিচিত্র সব শর্তও। সম্প্রতি ট্রেন্ডিং হয়েছে সেরকমই এক আজব বিবাহবিচ্ছেদের আশ্চর্য শর্ত। দেড় দশকের পুরনো এক ঘটনা আলোচিত হচ্ছে নতুন করে।
২০০৯ সালে নিউ ইয়র্কের ডাক্তার রিচার্ড বাতিস্তা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে চেয়ে বসেছিলেন নিজের দান করা কিডনি। ২০০১ সালে অসুস্থ স্ত্রী ড্যানওয়েলকে নিজের কিডনি দান করেছিলেন চিকিৎসক স্বামী রিচার্ড। নয়তো শর্ত রেখেছিলেন দিতে হবে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে৷ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাঁদের আলাপ হয়েছিল এক হাসপাতালে৷ সেখানে রিচার্ড ছিলেন ডাক্তার৷ শিক্ষানবিশ নার্স ছিলেন ড্যানওয়েল৷ ১৯৯০ সালে তাঁদের বিয়ে হয়৷ দু’টো কিডনি বিকল হয়ে ড্যানওয়েল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ২০০১ সালে৷ স্ত্রীকে সুস্থ করতে নিজের একটি কিডনি দান করেন রিচার্ড৷
কিন্তু তার পরও শুধরোয়নি সম্পর্ক৷ ২০০১ সালে অস্ত্রোপচারের চার বছর পর বিচ্ছেদের আবেদন করেন দম্পতি৷ তাঁদের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া প্রকাশ্যে আসে ২০০৯-এ৷ নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের তৎকালীন চিকিৎসক রিচার্ড প্রকাশ্যে তাঁর স্ত্রীর কাছে কিডনি চেয়ে বসেন৷ না দিলে দাবি করেন ১.৫ মিলিয়ন ডলারের (বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণের৷ অভিযোগ ছিল তিনি বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় ক্লান্ত ও হতাশ৷ স্ত্রী তাঁদের তিন সন্তানের সঙ্গে দেখাও করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ছিল ডাক্তারের৷ তাই বাধ্য হয়ে সব কিছু তাঁকে লোক জানিয়ে করতে হয়৷ এছাড়া তাঁর কাছে কোনও উপায় ছিল না-আক্ষেপ ছিল ডাক্তারের৷
আরও পড়ুন : মেদ গলে গিয়ে পালকের মতো হবে চেহারা, শুধু রসুন খেতে হবে এভাবে
তাঁদের দাম্পত্যে অশান্তি ছিলই৷ স্বীকার করেছেন ডাক্তার৷ কিডনি দান করার সময় স্ত্রীর জীবনের পাশাপাশি তিনি বাঁচাতে চেয়েছিলেন দাম্পত্য তথা বিয়েও৷ কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ কিডনি পাওয়ার দেড় থেকে দু’ বছর পর তৎকালীন স্ত্রী ড্যানওয়েল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে তাঁর অভিযোগ৷