Life of Bee
Social Insect(Bee)
Man is a social being অর্থাৎ মানুষ সামাজিক জীব। সজাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আপদ-বিপদ নিয়ে একে অপরের সাথে সহমর্মিতার ভিত্তিতে সববাস করে। কিছু প্রাণী আছে সমাজের সকল রিতী নিতির মতো অনুশাসন মেনে জীবন অতিবাহিত করে। এমনই একটি সামাজিক প্রাণী মৌমাছি। ঠিক মামুষের মতো সমাজবদ্ধভাবে জীবন যাপন করে এরা। একটা মধুর চাকে সাধারণত একটি রাণী মৌমাছি থাকে। এছাড়াও এদের মধ্যে সাধারণত পুরুষ মৌমাছ, সৈনিক, শ্রমিক মৌমাছি থাকে। রাণী মৌমাছির কাজ শুধু ডিম পাড়া এবং অন্য নতুন কোন রাণী মৌমাছি জন্ম নিলে রাণী মৌমাছি সংগে সংগে তাকে হুল ফুটিয়ে মেরে ফেলে। কোন রকমে যদিও বেচে যায় তা হলে ঐ রাণী মৌমাছি অন্য জায়গায় বাসা বাঁধে। পুরুষ মৌমাছির কাজ যৌন জননে সাহায্য করা। সৈনিক মৌমাছির কাজ রাণী ও পুরুষ মৌমাছি সহ সমস্ত মধুর চাকটিকে পহারা দেয়া। কেউ আক্রমন করলে নিজের জীবন বিপন্ন করে ঝাপিয়ে পড়ে রাণী সহ সমস্ত মধুর চাকটিকে রক্ষা করে। শ্রমিক মৌমাছির সুধু ব্যস্ত জীবন। দিন রাত ছুটা ছুটি করে ফুলে ফুলে ঘুরে মধু জোগাড় করে মধুর চাকে এনে জমা করা। অতঃপর সবাই মিলে উক্ত সংগ্রহকৃত মধুর উপর জীবন যাত্রা নির্বাহ করে থাকে। মৌমাছির জীবন যাত্রা দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা প্রকৃতিক ও কৃত্রিম।
প্রাকৃতিক জীবন যাত্রাঃ প্রকৃতিগতভাবে বনে জঙ্গলে, গাছের ডালে রাণী মৌমাছি কিছু মৌমাছি সহ এসে বাসা বাঁধতে শুরু করে। প্রথমেই সবাই মিলে রাণী মৌমাছির থাকার ব্যবস্থা করে অতঃপর পর্যায়ক্রমে সবার ব্যবস্থা করে। রাণীর থাকার জায়গা ঠিক হলেই রাণী মৌমাছি প্রজননে ব্রতী হয় এবং বংশ বিস্তার শুরু করে। মধু সংগ্রহকারীগণ বনে জঙ্গলে ঘুরে উক্ত মধুর চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রয়ের মাধ্যমে জিবীকা নির্বাহ করে।
কৃত্রিম জীবন যাত্রাঃ সাধারণত মধু চাষীরা মধুর চাষ করে থাকে। চাষীরা একটি রাণী মৌমাছিকে ধরে এনে ছোট ছোট বাক্স করে বাক্সের মধ্যে রেখে এদের জীবন যাত্রা শুরু করে দেয়। অতঃপর প্রকৃতিগতভাবে ঐ বাক্সের মধ্যে শুরু হয় জীবন যাত্রা। এখান নির্দিষ্ট সময় অন্তর মধু চাষীরা মধু সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
এছাড়াও মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করার পর অবিশিষ্ট চাক থেকে মোম উৎপন্ন হয়, যার বাজারে চাহিদা রয়েছে অসীম। এত উপকারী এই সামাজিক প্রাণীর সংরক্ষণ এবং কৃত্রিমভাবে চাষাবাদ বাড়ালে অর্থনৈতিকভাবে চাষীরা স্বয়ং সস্পুর্ণতা অর্জন করবে বলে আমি মনে করি।