কক্সবাজার ভ্রমন স্মৃতি - পর্ব ০৫ - রাতের সমুদ্র দর্শন
"রাতের সমুদ্র দর্শন"
গত পর্বের পর...
সেদিন সমুদ্র থেকে গোসল করে চলে আসার পর হোটেলে এসে রেস্ট নিলাম। আবার রেডি হয়ে বের হয়ে পরে লাঞ্চটা শেষ করলাম। আমাদের এইদিকে নরমালে যেমন রান্নার স্বাদ কক্সবাজারের খাবারের অন্যরকম। আতপ চালের ভাত খায় আর আমরা খাই সিদ্ধ চালের ভাত যার কারণে খেয়ে একদমই শান্তি লাগে না। যাইহোক ঘুরতে গিয়েছি ওই টুক তো সেক্রিফাইস করাই লাগবে। তো দুপুরে লাঞ্চ করলাম সাত আট রকমের ভর্তা ডাল মাংস এগুলো দিয়ে। সবাই সামনেই বার্মিজ মার্কেট চিন্তা করলাম যাই ওখান থেকে একটু ঘোরাঘুরি করে আসি। কিছু কেনা যায় কিনা।
গিয়ে দেখলাম ওখানে যা যা পাওয়া যায় এগুলো সবই ঢাকায় আছে আরো কম দামে। মানুষ সচরাচর কি আনে শুটকি, আচার, চকলেট গুলোই। কিন্তু মজার বিষয় হলো আচার চকলেট পিছনে লেখা আছে যেগুলো মেনুফ্যাকচার করা হয়েছে সাভারে।আমি ঢাকার বাসিন্দা হয়ে ঢাকা থেকে জিনিস না নিয়ে আমি কক্সবাজার গিয়ে কক্সবাজার থেকে আমি আচার কিনে আনব। কি হাস্যকর বিষয়। যাইহোক তারপরও কিনেছিলাম কিছু আচার। এ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আমরা তারপরে গেলাম বীজের দিকে। বেঁচে যেতেই অদ্ভুত এক শান্তি। একের পর এক ঢেউ আছরে পড়ছে।
তো আমরা একটা চেয়ার ভাড়া করলাম। ওরে পাশাপাশি দুইজন বসে সমুদ্র দেখছিলাম। রাতে সমুদ্রের ঢেউ গুলো এমন ভাবে আসছিল মনে হচ্ছিল একরাশ সাদা তুলো পানির মধ্যে ভেসে আছে। আর দূরে দূরে ছোট্ট ছোট্ট কিছু আলো দেখতে আলো দেখতে পারছিলাম ।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ওইগুলো মাছ ধরার ট্রলার গুলো। রাতে হয়তো তারা একটু পাড়ের দিকেই থাকে। খুবই ভালো লাগছিল মনে হচ্ছিল সারারাত এখানে বসেই পার করে দিব। অনেক রাত হয়ে গেল। আনার যাব যাব চিন্তা করছিলাম।
চলবে...