বট বৃক্ষ

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

received_537089190709527.jpeg
গ্রামের নাম অলিপুর। গ্রামের সব লোকজন আজকে একত্রিত হবে। গ্রাম থেকে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। স্থান হল অলিপুর উত্তরপাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে। আয়োজন টা হল ওই গ্রামের ২৫০ বছর এর পুরনো বটগাছ নিয়ে । বটগাছ নিয়ে নানা মুনির নানা মত।

বট গাছের বয়স ২৫০ অতিক্রম করেছে। হারিয়ে ফেলেছে গাছটির সেই তেজী রূপ। বটগাছটির পাতা সব ঝরে গেছে। ডালপালা, শাখা প্রশাখা এবং কান্ড গুলোও পূর্বের মত নেই। শুকিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে পড়েছে। এজন্য কেউ কেউ বলছে বট গাছটি কেটে ফেলা হোক, আবার কেউ বলছে বটগাছটি রেখে দেয়া হোক। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা গাছটি রেখে দেয়ার পক্ষেই, তরুণ এবং মধ্য বয়সী লোকজন চাইছে গাছটি কেটে ফেলা হোক। আলোচনা সভায় বটগাছটি কাটার পক্ষে বেশিরভাগ লোকজনের ভোট পড়েছে।

received_270571128216625.jpeg

অথচ অনেক বছর আগে থেকেই ওই বটগাছটি গ্রামের অনেক উপকারে এসেছে। বটগাছের ডালপালা অনেক অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।ফলে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বটগাছটি ছায়া প্রদান করে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে তীব্র রোদে যখন গ্রামের লোকজন ক্ষেতে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ত, তখন সবাই ওই গাছের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করতো। বড় বড় ঘূর্ণিঝড় থেকে গ্রামকে রক্ষা করত ওই বটগাছ। আশেপাশের অঞ্চলের যত পাখি রয়েছে সকল পাখিরা ওই গাছেই আশ্রয় গ্রহণ করত। গ্রামের লোকজনের পা ফাটা রোগ নিরাময় এ ওই গাছটির আটা ব্যবহার করতো।ওই গাছের ছাল পেটের মেদ কমাতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মচকানো হাড়গুলোতে বটের ছাল গরম করে লাগালে বেশ উপকারে আসে। বিভিন্ন বন্যার সময় সবার আশ্রয়স্থল হল ওই বটগাছ।

একটা সময় গ্রামের সব লোকজন ওই বটগাছের প্রশংসা করত। কত উপকারে আসে বটগাছটি, রক্ষা করে কত ধরনের বিপদ থেকে। এখন গাছের বয়স হয়ে যাওয়ায় কত লোকজন কটাক্ষ করছে ওই গাছটি নিয়ে। অবহেলায় অনাদরে পড়ে রয়েছে গাছটি। কেউ আর গাছের যত্ন নেয় না, পরিচর্যা ও করে না ঠিকভাবে।

ওই বট গাছের মতোই অবস্থা হয়েছে গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর সামাদ দাদুর।

received_363828725295914.jpeg

Sort:  

আপনি বট গাছটির কিছু উপকারিতা তুলে ধরেছেন।বট গাছের ছায়া অনেক মিষ্টি।
গাছটি অনেক প্রাচীন, তাচড়া গাছটির চেহারাটা ভয়ংকর লাগছে আমার কাছে।তবে আমি গাছটি কাটার বিপক্ষে।আর যদি কাটা পরে তাহলে যেন বট গাছের বদলে ২০ ছোট গাছ লাগানো হয়।

ওই বট গাছের মতোই অবস্থা হয়েছে গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর সামাদ দাদুর।

স্যালুট বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি😍

অনেক শুভ কামনা রইলো।

 3 years ago 

গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

বটগাছটি নিয়ে আপনি অনেক উপস্থাপনা করেছেন। পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago (edited)

আমি বটগাছ নিয়ে উপস্থাপনা করলেও শেষে লাইনের মাধ্যমে আমার লেখার মোড় ঘুরিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ার জন্য।

শেষ লাইন এ বাজিমাত।পুরো গল্পটি অন্যদিকে মোড় নিলো শেষ লাইন এর জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

পুরো গল্প পড়ে মতামত প্রদান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

আপনি বটবৃক্ষ সম্পর্কে অনেক ভাল একটা উপস্থাপনা ধার করেছেন।আপনার জন‍্য অভিন্দন ভাইয়া

 3 years ago 

আমি বটগাছ নিয়ে উপস্থাপনা করলেও শেষে লাইনের মাধ্যমে আমার লেখার মোড় ঘুরিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ার জন্য।

 3 years ago (edited)

এই ধরনের পোস্টে চেষ্টা করবেন আরো বেশি সংখ্যক ছবি যোগ করার। আর আপনি বোধহয় w3word লোকেশন কোড দিতে ভুলে গিয়েছেন। আর চেষ্টা করবেন ডিভাইস ইনফর্মেশন ও দেয়ার। সুন্দর করে বটগাছের কিছু উপকারিতা আপনি তুলে ধরেছেন। আমাদের দেশে এক সময় প্রচুর এই ধরনের বিশাল আকার বটগাছ দেখা যেত। কিন্তু ক্রমেই এই ধরনের বটগাছ দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বট গাছের উপকারিতা এবং বর্ণনা আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

জীবন এমনি, প্রয়োজনে প্রিয়জন। প্রয়োজন ফুরালো, দুর্জন।

 3 years ago 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

আমাদের গ্রামে এমন একটি বট গাছ আছে আমরা বট গাছের নিচে অনেক খেলা করতাম আজকে আপনার পোস্ট দেখে মনে পরে গেলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা

 3 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.14
TRX 0.23
JST 0.032
BTC 86702.46
ETH 2164.83
USDT 1.00
SBD 0.63