বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
অপারেশন সার্চলাইটঃ ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান প্রধান লক্ষ্যবস্তু
পাকিস্তানি ডুবোজাহাজ পিএনএস গাজি, যেটটি মুক্তিযুদ্ধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
প্রথম সারি:
সেনানায়ক মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
দ্বিতীয় সারি:
১. অপারেশন সার্চলাইটঃ ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান প্রধান লক্ষ্যবস্তু
তৃতীয় সারি:
৩. পাকিস্তানি ডুবোজাহাজ পিএনএস গাজি যেটি মুক্তিযুদ্ধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল
২. শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
তারিখ ২৬ মার্চ – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
অবস্থান বাংলাদেশ (তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তান), বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম পাকিস্তান, আরব সাগর, উত্তর ভারতের অংশবিশেষ
ফলাফল বাংলাদেশের জয়
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন পাকিস্তান থেকে পুর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশে পরিণত হয়
বিবদমান পক্ষ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ
ভারত ভারত (৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ যুদ্ধে যোগদান)
ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী[১]
সমর্থনকারী দেশ:
সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত ইউনিয়ন[২]
পাকিস্তান পাকিস্তান
পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী
আধাসামরিক বাহিনী:
শান্তি কমিটি
রাজাকার
আল বদর
আল শামস
সমর্থনকারী দেশ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[৩]
যুক্তরাজ্য যুক্তরাজ্য[৪][৫]
চীন চীন[৬][৭]
সৌদি আরব সউদি আরব[৮][৯][১০][১১]
ইন্দোনেশিয়া ইন্দোনেশিয়া[২]
নেতৃত্ব প্রদানকারী
বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশ তাজউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশ বাংলাদেশ খালেদ মোশাররফ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ কাজী মুহম্মদ শফিউল্লাহ
শ্যাম মানেকশ’
জগজিত সিং অরোরা
জ্যাকব ফার্জ রাফায়েল জ্যাকব পাকিস্তান ইয়াহিয়া খান
পাকিস্তান নুরুল আমিন
পাকিস্তান আব্দুল মোতালেব মালিক (যুদ্ধবন্দি)
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (যুদ্ধবন্দি)
রাও ফরমান আলি (যুদ্ধবন্দি)
মোহাম্মদ জামশেদ (যুদ্ধবন্দি)
টিক্কা খান
মোহাম্মদ শরিফ (যুদ্ধবন্দি)
লেসলি মুঙ্গাভিন (যুদ্ধবন্দি)
প্যাট্রিক ডেসমন্ড কালাঘান (যুদ্ধবন্দি)
পাকিস্তান গোলাম আযম (শান্তি কমিটি)
পাকিস্তান মতিউর রহমান নিজামী (আল বদর)
শক্তিমত্তা
বাংলাদেশ বাংলাদেশ
১১০,০০০[১২][১৩]
২৫০,০০০[১২] পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনী:
১০০,০০০
প্যারামিলিটারি:
২৫,০০০[১৪]
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
বাংলাদেশ বাংলাদেশ ~৩,০০,০০০ যোদ্ধা ও নিরীহ মানুষ নিহত এবং শহীদ হয়[১৫][১৬]
১,৪২৬–১,৫২৫ সৈন্য নিহত
৩,৬১১–৪,০৬১ সৈন্য আহত[১৭] পাকিস্তান ৮,০০০ সৈন্য নিহত
১০,০০০ সৈন্য আহত
৯১,০০০ যুদ্ধবন্দি (৫৬,৬৯৪ সামরিক বাহিনীর সদস্য, ১২,১৯২ প্যারামিলিটারি এবং বাকিরা সাধারণ নাগরিক)[১৭][১৮]
সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানি: আনুমানিক ২৭,৯০,০০০[১৯] থেকে ৩,০০,০০০[২০]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে গেৱিলাযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে।[২১] ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আর.-কে হত্যা করে এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পৰ্বত চট্টগ্ৰামেৱ কালুৱঘাট বেতাৱ কেন্দ্ৰো থেকে ৮ম পূৰ্ব বেঙ্গল ৱেজিমেন্টেৱ উপ প্ৰধান মেজৱ জিয়াউর ৱহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ [২২][২৩][২৪][২৫][২৬]
পরিকল্পিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে কয়েক হাজাৱ আওয়ামী লীগেৱ নেতাৱা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে স্বাধীন করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে গেৱিলা বাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে নুন্যতম অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন তারা গেৱিলা বাহিনীর কাছে পরাজয়ের লজ্জা এড়াবার জন্য এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ৩ ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলার মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
অত:পর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী যুদ্ধ বিৱতীৱ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আক্শ্মীকভাবে যুদ্ধবিৱতী বদলে আত্মসমর্পণের দলীল সই করে। এসময় পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ থেকে দলীলে সই করেন আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান হয়। ভাৱতীয় বাহিনী বাংলাদেশ আৱ প্ৰায় তিনি মাসেৱও অধিক সময় ৱয়ে যায়। অবশেষে অনেক কূটনৈতিক চাপেৱ মুখে ভাৱত বাংলাদেশ ত্যাগ কৱতে বাধ্য হয়।
vai apni khob sundor ekti boliok likhen
Congratulations @salauddin222! You have completed the following achievement on Steemit and have been rewarded with new badge(s) :
Award for the number of upvotes
Click on the badge to view your Board of Honor.
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP