বিয়ে
আমার দাদির নাতজামাই নিয়ে আহ্লাদ করার
শখ জেগেছে । তাই বড় চাচা তড়িঘড়ি করে ছেলে দেখলেন । চমৎকার স্মার্ট ছেলে । পড়াশোনায় ও খুব চৌকশ । ডক্টরেট করতে
জাপান যাবেন । আর আমার বড় আপু তখন মেডিকেলে ফাষ্ট প্রফ দিচ্ছেন ।
পুরোদিন পড়েন । আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে বলে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আয়োজন করে কাঁদেন !
এই কান্না আব্বু বা ছোট চাচাকে দেখলে বৃদ্ধি পায় । বড় চাচাকে দেখলে ফোঁপানি হয়ে থামে !দাদির ইচ্ছে তাই কারো , করার কিচ্ছু নেই ।
আমার বয়স তখন চার । আমাদের বাসায় সারাক্ষণ মেহমান আসে আর দফায় দফায় চা নাশতা হয় । আজ গহনা কেনা...তো কাল শাড়ি কি রঙ হওয়া উচিৎ ।তাই নিয়ে জোড় আলোচনা
আমি হৃদি, আর সৌরভ খেলি ! আর বিয়ের আয়োজন দেখি । হৃদিকে বলি বিয়ে করবে হৃদি সে মাথা নেড়ে না করে । সৌরভ কে বলি ভাই বিয়ে করবি ! সে পাত্র হিসেবে খুব ভাল । সাথেই সাথেই রাজি । কাকে করবি ভাইয়া ! সে আঙুল তুলে দেখায় বড় আপাকে । কি তুন্দর শায়ি ।
হুম সুন্দর শাড়িই তো ! আমি গোপনে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলি ।
এদিকে আমারো তো বিয়ে করতে ইচ্ছে
করে,কাকে যে বলি ।
একদিন বড় আপার গায়ে হলুদ হয়ে যায় । ফুলে ফুলে সাজানো বাসন্তি শাড়িতে বড় আপাকে পরীর রানির মতো লাগে । আম্মা আমাকে আর হৃদিকেও শাড়ি পড়াতে চান । শাড়ি হাতে নিলেই হৃদি না না বলে কাঁদতে থাকে । এদিকে সৌরভ বলে আম্মা আমি , আম্মা আমি পলবো ।
আম্মা হাল ছেড়ে দিয়ে কাউকেই পড়ান না ।
বিয়ের দিন আরো মজার কান্ড বড় আপু লাল বেনারসি পড়ে এক গা গহনা পড়ে কাঁদতে কাঁদতে কবুল বললো । আর বিদায়ের সময় একবার বড় আম্মাকে ধরে কাঁদেন আর একবার ছোটচাচা কে ধরে কাঁদেন । ভাবখানা যেনো যাবেনই না । অথচ তার ঠিকই গাড়িতে চরে নাক মুছতে মুছতে হ্যান্ডসাম বড়কে নিয়ে চলে গেলেন।