Optical Illusion: বইয়ের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বৃদ্ধ মানুষের মুখ! আগে কোনটা চোখে পড়ছে? ৯৯ শতাংশই ডাহা ফেল
দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা! আর এই ছবিটাই বলে দেবে স্বভাব-চরিত্রের গোপন দিক। ছবিটিতে প্রথমেই কেউ কেউ দেখছেন রাশি রাশি বই। আবার অনেকেই দেখছেন একজন চশমা পরিহিত মানুষের মুখ। আসলে বইগুলি একের পর এক সাজিয়ে এক বৃদ্ধের মুখের অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, বৃদ্ধের লম্বা দাড়ি এবং চোখে গোল ফ্রেমের চশমা। নেটিজেনরা প্রথমে কোনটা দেখছেন, সেটার উপর নির্ভর করবে তাঁদের চরিত্রের দোষ-গুণ!
ছবিটিতে যাঁরা প্রথমে বই দেখতে পাচ্ছেন, তাঁরা সমাজের সবথেকে বিচক্ষণ মানুষ। এই ধরনের মানুষেরা সাধারণত যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে সব কিছু বিচার করে। আর যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য তাঁরা সেরা উপায়টাই খুঁজে বার করেন। তবে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কখনওই এঁরা আবেগকে প্রাধান্য দেন না। আবার যাঁরা বৃদ্ধ মানুষের মুখ প্রথম দেখছেন, তাঁরা আসলে রসিক এবং আমুদে প্রকৃতির মানুষ। যে কোনও আড্ডা-আসর জমিয়ে দিতে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার! এই মানুষগুলির এনার্জির প্রশংসা করেন অন্যরা। আর সবথেকে বড় কথা হল, তাঁরা সব সময় নিজেদের মনের কথা শুনে চলতেই ভালবাসেন।