খানিকটা আঁকিবুকি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আশা করি ভালো আছেন সবাই। আমিও ভালো আছি।দুর্গা পুজো, লক্ষী পুজো ইত্যাদির সব ছুটি কাটিয়ে এখন আবার শুরু হয়েছে আগের মতো রুটিন লাইফ। কলেজ, কোচিং, পড়ালেখা এসবই চলছে পুরোদমে আর কি। তবু্ও আজকে কেনো জানি বেশ অনেক দিন পর ইচ্ছে হলো একটুখানি আঁকিবুঁকি করবার।তাই হাতের কাছে যা ছিলো তাই দিয়েই শুরু করলাম আঁকানো। এঁকেছি একটি ছোট্ট ফুলদানি। সেটিই আজ শেয়ার করতে এসেছি আপনাদের মাঝে। তো চলুন শুরু করি।
১.সাদা খাতা।
২.6B পেন্সিল।
৩.রাবার।
৪. টিস্যু পেপার।
প্রথমেই একটি ফুলদানির উপরের গলার মতো অংশটি এঁকেছি।
এরপর এর নিচের কলসের মতো অংশটি এঁকে নিয়েছি।
ফুলদানির আকৃতিটি আঁকানোর পর এতে ছোট -বড় বিভিন্ন সাইজের কিছু পাতা এঁকেছি।
এবার আঁকানো পাতাগুলোর মাঝ থেকে তিনটি বড় লতার মতো অংশ তৈরি করেছি।
একটি লতাতে আরও কিছু ছোট ছোট পাতা এঁকেছি। এরপর সবগুলোতেই একইভাবে পাতা বানিয়েছি।
তারপর ধীরে ধীরে ফুলদানিটিকে পেন্সিল দিয়েই রঙ করতে শুরু করেছি।
এরপর একে একে ছোট -বড় সবগুলো পাতা রঙ করে নিয়েছি।
এবার কালার ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য একটি টিস্যু পেপার দিয়ে সব কিছুকে ব্লেন্ড করেছি।
সব শেষে নিজের স্বাক্ষর এবং তারিখ লিখে ড্রয়িংটি সম্পন্ন করেছি।
এই তো এতটুকুই। ধন্যবাদ সবাইকে, পোস্টটি পড়বার জন্য।
বেশ ভালো লাগতেছে আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি আর্ট করেছেন। এটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগতেছে।হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আজকে আপনি আঁকাবুঁকি করেছেন সত্যি অনেক ভালো এটা। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। বিশেষ করে কলসটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো আর ফুলগুলি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ফুলটি অনেক সুন্দর ছিল
ধন্যবাদ ভাইয়া, যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আরকি!
অনেক সুন্দর করে একটা ফুলদানি অংকন করেছিলেন আপনি যা খুবই দারুন হয়েছে। এরকম ভাবে যেকোনো কিছু অঙ্কন করলে তা অনেক বেশি সুন্দর হয়। আপনি প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দর করে তুলে ধরার কারনে যে কেউ দেখলে কিন্তু এটা খুব সহজে অঙ্কন করে নিতে পারবে। পেন্সিল দিয়ে এগুলো রং করে টিস্যু দিয়ে ব্লেন্ড করার কারণে অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু, আসলে পেন্সিল স্কেচ আমারও অনেক ভালো লাগে। এজন্য বেশির ভাগ সময় এগুলোই করা হয়।
আঁকা আঁকি করতে আমার কাছেও ভালো লাগে, তবে এরকম পেন্সিল আর্ট গুলো করা হয় না। অনেক সুন্দর করে একটা ফুলের টবের আর্ট করেছেন। পেন্সিল দিয়ে করার কারনে এটা অনেক সুন্দর হয়েছে। সবকিছু কাটিয়ে তাহলে আগের মত রুটিন লাইফ শুরু হয়ে গিয়েছে আপনার। পাতাগুলো অনেক সুন্দর করে অংকন করেছেন যেটা অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ, ফাইনালি সব শুরু হয়ে গেছে, এখন আগের মতোই চলছে সবকিছু আবার।
পুজোর কটা দিন তো দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে যায়। দূর্গা পূজো আর লক্ষ্মী পূজো শেষে এখন আবারও আগের লাইফ শুরু হয়েছে। আশা করছি এই কয়দিনে গ্যাপ কাটিয়ে বেশ ভালো মতোই পড়াশুনায় মন দিবেন। আর আপনি বেশ সুন্দর করে শুধুমাত্র পেন্সিলের সাহায্যে ফুল-পাতাসহ ফুলদানির অংকন করেছেন। আমি এমন করতে গেলে তো পেন্সিলের ময়লা হাতে লেগে চারপাশেও কালো কালো দাগ পরে যায়। আপনার আর্টটি বেশ চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন।
ধন্যবাদ!
এটা আঁকাতে গিয়ে অবশ্য আমাকেও পেন্সিলের কালো দাগ নিয়ে কিছুটা হিমশিম খেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাবারের সাহায্য নিয়ে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছি।
চমৎকারভাবে ফুলদানি আর ফুলের দৃশ্য অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ কার্যক্রম। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি কার্যক্রমের সম্পূর্ণ তা এনেছেন যেখানে ফুলগুলো অতি চমৎকার ভাবে শোভা পেয়েছে আপনার খাতায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া আপনার ভালো লাগা শেয়ারের জন্য!
শত ব্যস্ততার মাঝেও আজ আপনি চমৎকার একটি পেন্সিল আর্ট শেয়ার করলেন আমাদের মাঝে। ফুলদানি,পাতা পেন্সিল আর্ট করলেন।এ ধরনের আর্টগুলো সব সময়ই আলাদা সৌন্দর্য বয়ে আনে।ধন্যবাদ দিদি চমৎকার একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু,ঠিকই বলেছেন। এই ধরনের আর্টগুলোর সৌন্দর্য যেনো একটু অন্যরকমই লাগে আমার কাছেও! যাইহোক, ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য!
তাহলে তো আপনার আবারও সেই ব্যস্ত জীবন শুরু হয়ে গিয়েছে। এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি খুব সুন্দর পেন্সিল আর্ট করেছেন। আপনার এই আর্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আঁকাআঁকি করতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। পেন্সিল আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে। ফুলগুলো যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি ফুলদানি দেখতেও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, অবশেষে আবার সব শুরু হয়েছে।যাক
আপনারও আঁকা-আঁকি করতে ভালো লাগে জেনে খুশী হলাম! ধন্যবাদ!