এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে নদীতে ফেলার হুমকি দেওয়া দুই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্য প্রতীকের কোনো এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে সরিষাবাড়ী নিবার্চন অফিসের সামনে থেকে পুলিশ তোদের গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সাইদুল হাসান ওরফে সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন ওরফে জয়। সাইদুল হাসান সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক। আর খন্দকার মোতাহার হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো.রফিকুল ইসলাম। তার উপস্থিতিতে গত ২৩ এপ্রিল দুজন কর্মী পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি সভায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। তারা দুজন অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট দিতে বাধা প্রদান করবেন এবং হাত ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করাসহ নানা ধরনে উসকানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ বিভিন্ন বক্তব্য দেন। যার একটি ভিডিওক্লিপ আমাদের নজরে এসেছে এবং বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার সরিষাবাড়ী থানায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হুমকিদাতা দুজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ওই প্রার্থী কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাখ্যা দেন। যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন আকারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো.শফিউর রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সোহেল মাহমুদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসাইন।