মজাদার বুটের ডালের হালুয়া
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে বেশ ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোষ্টের ভিন্নতা আনার জন্য চেষ্টা করছি একেক দিন একেক ধরনের পোস্ট করার জন্য। আজ অবশ্য একটি মজাদার রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । সেটা হচ্ছে বুটের ডালের হালুয়া। সেই ছোট বেলা থেকে শব-এ-বরাত এর বেস্ট আকর্ষণ আমার কাছে এই বুটের হালুয়া। আমাদের বাসায় তো এটা তৈরি করা হতো না। তবে প্রতিবেশিদের থেকে কিংবা বান্ধবীর বাসা থেকে পেতাম ই। পরে জবে জয়েন করার পর এমনকি কলিগদেরও আগে থেকে বলে রাখতাম আমার জন্য নিয়ে আসার জন্য। তবে বাসায় কখনোই বানানো হয় নি! এবারই প্রথম অনেক ঘেটে- দেখে চেষ্টা করলাম বাসায় প্রথমবার। নিজের কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বাসায় করে খেতে পারাটা অনেক বেশি ব্লেসিংস বলে আমার মনে হয়। প্রথমবার চেষ্টা করলেও খেতে বেশ মজা হয়েছিলো, মজা করে মন ভরে খেয়েছি। আজ সেই রেসিপিই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সরাসরি রান্নায় চলে যাই।তার আগে এক নজরে রান্নার উপকরণ গুলোও দেখে নেই....
উপকরণ সমূহঃ | পরিমাণ: |
---|---|
বুটের ডাল | ১.৫ কাপ |
লিকুইড দুধ | পৌনে ১ লিটার |
চিনি | ১ কাপ |
ঘি | ৬/৭ চামচ |
দারচিনি | ২ টুকরা |
তেজপাতা | ছোট ২ টি |
এলাচ | ৩/৪ টি |
গুড়া দুধ | ৪/৫ চামচ |
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে আমি বুটের ডাল গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে আগের রাতেই ভিজিয়ে রেখেছিলাম। সারারাত ভিজে ডালগুলো অনেকখানি ফুলে গিয়েছিলো। একটি হাড়িতে করে দুধ দিয়ে ডালগুলো সেদ্ধ হতে দিবো।
ধাপ-২ :
দুধ উতাল এলে চুলার তাপ মাঝারি করে দিয়ে ঢাকা দিয়ে প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট জাল দিয়ে ডাল গুলো ভালো করে সেদ্ধ করে নিয়েছি। নিচে যেনো লেগে না যায়, সেজন্য মাঝে মাঝেই নাড়া দিতে হয়েছে।
ধাপ-৩ :
এবারে ডালগুলো ভালো ভাবে সেদ্ধ হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-৪ :
এবার একটি কড়াই এ ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ এবং দারচিনি দিয়ে ফোড়ন দিয়েছি। এরপর ব্লেন্ড করা বুটের ডাল গুলো দিয়ে ২ মিনিট ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৫ :
এবার পরিমাণমতো চিনি দিয়ে দিয়েছি। চিনি গলে কিছুটা নরম হয়ে এসেছিলো, সেই জলটুকু শুকিয়ে নিয়েছি ভাজতে ভাজতে। সাথে গুড়া দুধ এবং আরও কিছুটা ঘি যোগ করে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৬ :
ভালো করে ভাজা হয়ে এলে আগে থেকে ঘি মেখে রাখা একটি প্লেটে নামিয়ে ঠান্ডা করার জন্য রেখেছি। কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এলে নিজের মন মতো কেটে নিয়েছি এবং উপরে সামান্য কাঠবাদাম এবং কাজু বাদাম দিয়ে ডেকোরেশন করেছি। আরোও ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করেছি
পরিবেশনঃ
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
এত মজাদার ভাবে একটা রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এটা দেখতে এত লোভনীয় লাগে যে, জিভে জল চলে আসলো দেখেই। মজাদার রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে উপস্থাপন করলেন। এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।আমার কিন্তু দারুণ পছন্দ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকদিন পর এভাবে বুটের হালুয়া দেখতে পেলাম। আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। আমাদের বাসায়ও আগে প্রায় এভাবেই বুটের হালুয়া রান্না করে কেটে রাখত। অনেকদিন হয়ে গেল আমাদের বাসায়ও এভাবে রান্না করা হয় না। আজ আপনার রেসিপিটা কিন্তু দারুণভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পরিবেশনটা ও দারুন ছিল।
এটা করতে আসলে হাতের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় নাড়তে নাড়তে! তাই ই হয়তো মজাদার খাবার হওয়া সত্ত্বেও রান্না করা হয় না সহজে৷
এর আগে আমি যেহেতু গাজরের হালুয়া খেয়েছি। কিন্তু এই মটর ডালের হালুয়ার রেসিপিটা আমার কাছে একটা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের রেসিপি। আসলে এই ডাল দিয়ে যে হালুয়া তৈরি হয় তা আমার আগে কখনো জানা ছিল না। তাই আমি খুব সুন্দর করে আপনার পোস্টটি পড়ে এই ডালের হালুয়া তৈরির পদ্ধতি জেনে নিলাম।
গাজরের হালুয়ার চেয়েও বুটের ডাল এর হালুয়া আমার বেশি পছন্দের 😋
আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন বুটের ডালের হালুয়া রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মজাদার বুটের ডালের হালুয়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
আসলেই বেশ তৃপ্তি করে খেয়েছি ভাই।
অনেকভাবে হালুয়া তৈরি করে খেয়েছে কিন্তু এভাবে বুটের ডাল দিয়ে কোনদিনও হালুয়া তৈরি করিনি। আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আর পরিবেশটা দেখে তো আরো বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু এরকম মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার রেসিপিও একদিন শেয়ার করবেন আপু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মজাদার বুটের ডালের হালুয়া দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার কাছে দারুন লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বুটের ডালের হালুয়া আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। আপনি খুবই মজাদার ভাবে এবং ইউনিক ভাবে এই হালুয়া তৈরি করেছেন। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে এই রেসিপিটা। আমি তো ভাবছি একদিন এই বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করে দেখব। আশা করি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
বানালে অবশ্যই জানাবেন আপু যে আপনার কাছে খেতে কেমন লাগলো।
বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি। বুটের হালুয়া অনেকবার খেয়েছি কিন্তু কখনো ঘরে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আর কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করলে হুট করে যদি ঘরে তৈরি করা যায় তাহলে বেশ ভালো। অনেক চেষ্টা করার পরে আপনি একদম পারফেক্ট হালুয়া রেসিপি শেয়ার করলে। অনেক ভালো লাগলো দেখে।
জি আপু, কিছু খেতে মন চাইলে নিজে বানিয়ে তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারাটা অনেক দারুণ বিষয় !
আমারও শবেবরাতের মুল আকর্ষন ছিল বুটের বরফি আর চালের রুটি।খেতে কি যে মজা। অনেকদিন খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে এই হালুয়া বানাতে গেলে হাতের বারোটা নাড়তে নাড়তে। তবে খেতে কিন্তু দারুন মজা।আপনার বুটের বরফি একেবারেই পারফেক্ট হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে।
একদম আপু!! হাতের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় নাড়তে নাড়তে!!