আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করল ভারত। ম্যাচ রিভিউ পোস্ট।
অবশেষে ভারতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়
🇮🇳 সকলকে স্বাগত জানাই 🇮🇳
অবশেষে সমস্ত ম্যাচ জয় করার পর ভারত জিতে গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালটিও। সমগ্র চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জুড়ে ভারতের পারফরমেন্স ছিল চোখে পড়বার মতো। কারণ একটি ম্যাচেও তারা কখনো হারেনি। মোট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ লিগে তিনটি ম্যাচ তারা যথাক্রমে খেলেছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তিনটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে ভারত জিতেছিল। তারপর সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়ার। একমাত্র অস্ট্রেলিয়া প্রতিবারই ভারতের জন্য এক বিপদ হয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। তাই সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সম্মুখীন হতেই ভারতবাসী হিসেবে একটু টেনশনে তো ছিলামই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও সেই ম্যাচে ভারত সুন্দর জয় লাভ করে। ফলে সরাসরি পৌঁছে যায় ফাইনালে। আর অন্য একটি সেমিফাইনালে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে উঠে প্রতিপক্ষ হয় ভারতের। ফলে এই ভারত নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে শেষ কয়েক দিন ধরে বাজার ভালই গরম ছিল।
আজ ভারতীয় সময় ঠিক দুপুর আড়াইটায় শুরু হয় ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচটি। প্রথমে টসে জিতে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুবাইয়ের উইকেট এমনিতে ভালই। ব্যাটে বল আসে ঠিকঠাক। তাই নিউজিল্যান্ড একটি বড় ইনিংসের দিকে প্রথম থেকেই যাত্রা শুরু করে। একদম প্রথমে রচিন রবীন্দ্রার ব্যাটের উপর ভর করে নিউজিল্যান্ড একটি বড় ইনিংস খেলবার দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় স্পিনাররা আসতেই ছন্দপতন হয় নিউজিল্যান্ডের। পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড বেশ বেকায়দায় পড়ে যায়।
ভারতের হয়ে ভালো বল করেন বরুণ চক্রবর্তী এবং কুলদীপ যাদব। এছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল ভালো বল করে তাদের যোগ্য সঙ্গত দিতে থাকেন। ভারত চারটি স্পিনার নিয়ে খেলায় নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং এর দিক থেকে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তাদের ইনিংস ২৫১ রানে থেমে যায়। এরপর ব্যাট করতে নামে আমাদের ভারতীয় দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান শুভমান গিল এবং হিটম্যান রোহিত শর্মা। রোহিত শর্মা দুর্দান্ত ব্যাট করছিলেন আজ। তার ৭৬ রানের ইনিংসটি ছিল একেবারে ঝকঝকে। সেই ইনিংসটির উপর ভরসা করে ভারত ব্যাটিং এর দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর কে এল রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়ারা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শেষমেষ জয়ের হাসি উপহার দেন ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে। একটি আইসিসি ট্রফি জিতে নেওয়ার আনন্দ যে কত তা আমরা অনুভব করতে পারি। সেই দিক থেকে পরপর দুই বছর দুটি বড় আইসিসি ট্রফি ভারত হাসিল করলো। একটি হলো ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি। আর তারপর এই ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই দুটি টাইটেল বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম দুটি বড় টুর্নামেন্ট। ভারতীয় দল এখন পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দল। আর যে কোন টুর্নামেন্টে যে কোন দলকে ভারত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী আটটি দেশের মধ্যে ভারত সবশেষে জয়ের হাসি হাসলো। ম্যাচের শেষে আইসিসির সভাপতি ভারতীয় দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তুলে দেন। সেই জয়ের মুহূর্ত ছিল এক কথায় অনবদ্য। একজন ভারতবাসী হিসেবে এই জয়ের মুহূর্তটি আমি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1898803902478246322?t=YbChjiIU6AildeQfYbKn8A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ সারাদিনের নানান ব্যস্ততার মধ্যে উঁকি ঝুঁকি মেরে খেলাটা দেখেছি। আর রাত্রে বেলায় যখন বাইরে থেকে বাড়ি ফিরেছি তার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখছি প্রচুর বাজি পুড়ছে আকাশ লাল হয়ে গেছে আতশবাজিতে। তখনই বুঝলাম ভারত জিতে গেছে। মানুষের আবেগ ও উল্লাস দেখে মাঝেমধ্যে ভালো লাগে ঠিকই তবে এত রাতে এত আওয়াজ যেন মনে হয় পরিবেশ দূষণ করছে। তুমি বেশ সুন্দর করে খেলার মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছো। ভালো লাগলো পড়ে।
পরিবেশ দূষণ হয় ঠিকই। কিন্তু এ মানুষের স্বাভাবিক প্রতিবর্ত ক্রিয়া। দেশ জয়ের আনন্দ। তবে শব্দবাজির বিরুদ্ধে আমি সব সময়। সেদিক থেকে আতশবাজি জ্বালিয়ে আনন্দ উদযাপন করা যেতে পারে। যদিও তাতেও পরিবেশের ক্ষতি হয়। কিন্তু অন্তত শব্দ দানবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
Daily tasks-
গতকালের খেলাটা যেন একেবারেই একতরফা হয়ে গিয়েছিল। যদিও শেষের দিকে কিছুটা জমে গিয়েছিল খেলা। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়লাভ করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ঠিক কথা বলেছেন। ভারত আগাগোড়াই সম্পূর্ণ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। কিন্তু পরপর তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একটু টেনশন হয়ে গেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্যাটসম্যানরা তাল সামলে দেয়। আসলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অনেকেই এখন ফর্মে আছে। ফলে ব্যাটিং লাইন আপ বেশ শক্ত
ভারত টুর্নামেন্টের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। মূলত স্পিনার রাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের পুরো ব্যাটিং লাইন আপ গুড়িয়ে দেয় স্পিনার রা। আর বাকি কাজ ভারতীয় ব্যাটার রা করে দেয়।