মুসলিমদের ক্যান্টনমেন্ট বা দূর্গ হচ্ছে মসজিদ
প্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ, আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন,আজকে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে, আশাকরি টপিকটা দেখে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন, তাহলে বন্ধুরা এবার শুরু করা যাক, একটি রাষ্ট্রের ভিতরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী যুক্ত যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান হলো সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট। সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে যেমন সকল স্তরের মানুষ পৌছাতে পারে না, তেমনি মসজিদে ও সকল প্রকার মানুষের প্রবেশের অনুমতি থাকেনা, মসজিদে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে তাকে পবিত্র হতে হয়, তারপর তার শরীর পবিত্র হতে হয়, তারপর প্রথমে ডান পা দিয়ে দোয়া পড়ে প্রবেশ করতে হয়, ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে সৈন্যদের যেমন দেশ রক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়, ঠিক তেমনি মসজিদের ভিতরে নামাজের মাধ্যমে ধনী-গরীব সকল প্রকার মানুষকে ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজের শিক্ষা দেয়, যাতে পরবর্তীতে যেকোন বিপদে দেশ রক্ষার জন্য সকল মুসলিম সব ভেদাভেদ ভুলে একসাথে শত্রুদের মোকাবেলা করতে পারে। ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে যেমন মেজরের আদেশ পালনে সেনাবাহিনী বাধ্য থাকে, তেমনি মসজিদের ভিতরে মুসল্লী ইমামের আদেশ পালনে বাধ্য থাকে।ক্যান্টনমেন্ট যে রকম সকল মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও পবিত্র স্থান, তেমন মসজিদ ও সকল মুসলিমদের কাছে শ্রদ্ধা ও পবিত্র স্থান। একজন রিক্সা চালকের ছেলে ও যেমন যোগ্যতা বলে মেজর কর্নেল হতে পারে, তেমনি ভাবে একজন রিক্সা চালকের ছেলে ও নিজ যোগ্যতা বলে মসজিদের ইমামও মুয়াজ্জিন হতে পারে।কোনো জনগনই যেমন সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা আশা করেনা, তেমনি ভাবে মসজিদের ভিতরেও কোনো মুসলিম অপ্রীতিকর ঘটনা আশা করেনা। সর্বোপরি সন্দেহাতীত ভাবে একথা বলা যেতে পারে সেনাবাহিনীর পবিত্র স্থান যেমন ক্যান্টনমেনট, মুসলিমদের ক্যান্টনমেন্ট বা দূর্গ হচ্ছে মসজিদ।