আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -০৯
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
পিতা-পুত্র নিয়ে কৌতুক বা মজার কোন অনুগল্প ।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
এক বুড়া বাপ তার ছেলেকে জেলে চিঠি লিখলঃ
বেটা,
আমার অনেক বয়স হয়েছে ।
এত বড় ক্ষেত খনন করে আলু চাষ করা আমার পক্ষে সম্ভব না ।
তুই থাকলে একটু সাহায্য করতে পারতি!
ছেলে জেল থেকে বাবাকে চিঠিতে জবাব দিলঃ
তুমি ঐ ক্ষেত খনন কর না ।
কারণ, ক্ষেতে আমি আমার সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছি ।
পরেরদিন কতগুলো পুলিশ গিয়ে পুরো ক্ষেত খনন করে দেখল, কিন্তু অস্ত্র পেলো না ।
ছেলে আবার তার বাবাকে চিঠি লিখলঃ 'বাবা, আমি জেলে থেকে তোমার জন্য এতটুকু সাহায্যই করতে পারলাম ।
এখন শুধু আলুর বীজ লাগিয়ে দিও।
হা হা হা আধুনিক যুগের বুদ্ধিমান ছেলে।
হুম,,,,
এটা ভালো ছিলো। হাঃ হাঃ
ধন্যবাদ দাদা♥♥
বাবাঃকি রে তোর মন খারাপ কেন?
ছেলেঃবাদ দাও, বাবা।
বাবাঃআরে আমাকে বন্ধু মনে করে বল।
ছেলেঃআর বলিস না ভাই,তোর বউদি এবার পুজোয় আইফোন চেয়েছিল,তোর পকেট থেকে টাকা নিয়ে স্যামসাং কিনে দিয়েছিলাম তাই ব্রেকাপ করে নিয়েছে তাই মন খারাপ
বাবাঃহারামজাদা আজ তোর একদিন কি আমার যে কদিন লাগে।
হা হা হা সব ফাঁস হয়ে গেলো, এবার বুঝবে ঠেলা।
হাহাহা একদম।
বাপ ভাই হয়ে গেলো। হা হা হা....🤣🤣
বন্ধুকে তো ভাই বলে।বাপ বন্ধু হতে চেয়েছিল তাই ভাই হইছে।হাহাহা।
একদিন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র প্রথমদিন পরীক্ষা দেয়ার আগে সব পড়া ভালোভাবে পড়ে ও লিখে গেল। ছাত্রটি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পর বাবার সঙ্গে কথোপকথন-
বাবা : তোমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সব কমন পড়েছে তো।
ছেলে : না বাবা, ভালো পরীক্ষা দিতে পারিনি, কিন্তু খাতায় অনেক কিছু লিখেছি।
বাবা : যাই হোক, এবার জীবনে প্রথম খাতায় কিছু লিখেছিস, পাস নম্বর তো উঠবেই, তাই না।
ছেলে : না বাবা।
বাবা : কেন? তুই না বলেছিস অনেক কিছু লিখেছিস?
ছেলে : হ্যাঁ, লেখাগুলো ঠিক হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য খাতাটি বাসায় নিয়ে এসেছি। আগামীকাল শিক্ষকের কাছে খাতা জমা দিয়ে দেব!
পিক্লুকে ওর মামণি প্রশ্ন করল
মামণি:বড় হয়ে তুমি কার মতো হতে চাও।
পিক্লু:মায়ের মতো।
মামণি: কেনো?বাবার মতো নয় কেন?
পিক্লু:কারণ বাবা সারাদিন মায়ের কাছে বকা খায়।😄😄😄
হা হা হা সত্য কথাটা বেরিয়ে গেলো মুখ দিয়ে।
ঠিক বলেছেন দাদা
আমার আব্বার তো ছেলে নাই। তার একটা বদ বাচ্চা আমিই আছি। তাই পিতা ও কন্যার খুনশুটিই লিখি। তো একদিন হলো কি? মাসের মাঝামাঝি হাতটা আমার ফাঁকা হয়ে গেলো। দিলাম আব্বাকে ফোন।
ঃ হ্যালো, হ্যা আব্বা কি অবস্থা তোমার?
ঃ ভালো। তোর কি অবস্থা?
ঃ তেমন কিছু না। খালি ডান হাতের তালুটা আজকাল খুব চুলকাচ্ছে বুঝছো!
ঃ এএএহ! যাও যাও।
দুষ্ট লোকটা ফোনটা রেখে দিলো। দুনিয়া থেকে মায়া মোহব্বত উঠে গেছে। অসুখ বিসুখের কোনো দাম নাই।
হা হা হা আসলে মায়া মহব্বত দিন দিন কমে যাচ্ছে, তালু চুলকানোর বিষয়টি ভালই বুঝতে পেরেছে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর পিতা ও পুত্রের কথা হচ্ছে…
বাবাঃ আবারও ফেইল?
ছেলেঃ বাবা ,Fail is the pillar of success।
বাবাঃ বাপ, পিলার তো অনেক দিছোস, এবার ছাদটাতো ঢালাই দে।
হেহেহে 🤭🤭 জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। বাবাকে আমারও এরকম করে একবার বলতে হবে। বাবার উত্তরটা কি হয় সেটা জানার খুব ইচ্ছা আছে আমার।
বাবার কাছে ছেলের প্রশ্ন??
ছেলে : বাবা, আমাদের বিজ্ঞানের স্যার বলেছেন অক্সিজেন ছাড়া আমরা নিশ্বাস নিতে পারি না। কিন্তু অক্সিজেন আবিষ্কৃত হয়েছে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে । তা হলে তার আগে কি কেউ নিশ্বাস নিত না ।
বাবা : না। কারণ মানুষের নাক ও ওই বছরেই তৈরি হয়েছিল 🙆♂️🙆♂️।
হা হা হা হা, ভাই এটা বেশ মজার ছিলো।
এটা একটা সত্যি ঘটনা, আমাদের এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে একটা ছেলে আছে । আব্দুল্লাহ সারাদিন ক্রিকেট খেলে রাতের বেলায় তার বাবার সাথে ঘুমাতে গিয়েছিল। সারাদিন ক্রিকেট খেলছে বলে রাতের বেলায় স্বপ্নেও ক্রিকেট খেলার বিষয়টি এসেছিল। রাতের বেলায় স্বপ্নে ওর বাবার লুঙ্গি খুলে নিয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিল আউট দে 😆😆
এই ঘটনার পর থেকে সবাই ওকে আউট দে বলে ভাঙ্গায়।
বল্টু : বাবা! ! বাবা!!... আমার পরিক্ষার রেজাল্ট A+
বাবা তো সেই রকম খুশি হয়ে বলল-
বাবা : বল তোর কি লাগবে....??
বল্টু : আমাকে ১০০০ টাকা দাও।
বাবা : এই নে ১৫০০ টাকা। আমি আজ খুব খুশি।
বল্টু টাকা নিয়ে চলে গেলো....
রাতে হঠাৎ বাবার মনে পরলো,
বল্টু কোন পরিক্ষাতে A+ পাইছে....
বাবা বল্টুকে ডেকে বলল-
বাবা : বল্টু, তুই কোন পরিক্ষাতে A+ পাইছিচ....??
বল্টু : (চুপ, কোনো কথা নেই)
বাবা : কি রে বলল...!!!
বল্টু : বাবা, রক্তপরীক্ষা
বাবা বেহুশ.....!
তবুও তো A+ পেয়েছে। রক্তে যদি A+ থাকে তাহলে আর কে ঠেকায়।😅😅
আমি ও A+😁
এটা ভালো ছিলো।
হাহা! আপনি পারেন ও বটে। বাবার এবার হুঁশ ফিরলে বলবে আয় তোকে A- করে দি।
লকডাউনের পর বাবা আর ছেলে ঘুরতে বেড়িয়েছিলো। একটা বিল্ডিং এর সামনে দাঁড়িয়ে ছেলে বলল, "বাবা আমি জাতিস্মর। এই বিল্ডিংটা আগের জন্মেও আমি দেখেছি। আমার সাথে নিবীড় সম্পর্ক ছিলো"
বাবা এক চড় মেড়ে বলল, "ওরে এটা তোর স্কুল!"
ইসরে এভাবে চড় মেরে দিলো
বেশী আঁতেল ছেলে হলে যা হয় আর কি! 🤣