#করোনা_ভাইরাস_শেষে আব্দুল কাইউম
রাজুর মনে বিয়ের ভাব জেগেছে। কিন্তু সে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেনা। কারণ, চতুর্দিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, তাছাড়া মনের মতো মেয়ে সে খুঁজেও পাচ্ছে না। বর্তমান অপসংস্কৃতির ছোবলে পড়ে অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কজনই বা খোদাভীতি বুকের মাঝে আগলে রেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে শয়তানের অদৃশ্য জালের মতো ছড়িয়ে রাখা অশ্লীলতা থেকে। কজনই বা স্বতীত্বের হেফাজত করে বছরের পর বছর অপেক্ষা করে আসছে স্বামীর ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার জন্য। কজনই বা গোপন প্রেমে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়নি এলাকা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লম্পট যুবকদের সাথে। এগুলো সে প্রতিনিয়তই ভাবতে থাকে আর রবের তরে দোয়া করতে থাকে- রব্বানা হাবলানা মিন আঝওয়াজিনা ওয়া জূররিইয়্যাতিনা কুররাতা আ'ইউনিউ ওয়াজাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
রাজুর পড়ালেখা প্রায় শেষ। বেশ কয়েকটি ডিগ্রী সে অর্জন করেছে। আরোও কিছু অর্জন করার প্রচেষ্টায় রয়েছে সে। এলাকায় সুখ্যাতীও ছড়িয়েছে বেশ। বর্তমানে সে একটি বেসরকারি চাকরিতে জয়েন করেছে এবং সরকারি চাকরির প্রচেষ্টায় দিবারাত্রি স্বপ্নকে লালন করে যায় দুই নয়নে।
এদিকে রাজুর আত্মীয় স্বজনরা তার বিয়ের ব্যাপারে বহুদিন থেকে ভেবে রেখেছে। কিন্তু তার কোন সাড়া পাচ্ছে না। এবার কিন্তু তাকে শক্ত করে ধরা হয়েছে। তাই রাজুও বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে দেখলো যে, ঈমানকে আরো মজবুত করতে বিয়ে অত্যাবশ্যক। কিন্তু সে সাফ সাফ বলে দিলো এ ব্যাপারে আমি আমার বন্ধু আব্দুল কাইউমের সাথে কথা না বলে কোন সিদ্ধান্ত জানাবো না। আর যা কিছু জানাবো তার কবিতার মাধ্যমে জানাবো। এ বলে সে ফনফনিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা বন্ধুর কাছে চলে গেল।
বন্ধুকে সে সব ঘটনা খুলে বললো। এমনকি কেমন মেয়ে বিয়ে করবে তাও বললো। কথা গুলো যেন কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরা যায় সে আবদারও জানালো তাকে। কবি বন্ধু সব শুনে বললো চিন্তা করিস না কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর কবিতা হয়ে যাবে। ঘন্টাখানেক পর সত্যি সত্যিই একটা কবিতা নিয়ে হাজির হলো। কবিতা পেয়ে রাজু মহা খুশি। আর দেরি না করে সে তাড়াতাড়ি ছুটে চললো বাড়ির দিকে। আত্মীয় স্বজনদের একত্রিত করে বললো আমি এখন একটি কবিতা আবৃত্তি করবো। কবিতার মাঝে মেয়ের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তেমন মেয়ে যদি যোগাড় করে দাও তবেই আমি বিয়ে করবো। একথা বলেই রাজু কবিতা আবৃত্তি শুরু করলো।