An evening - একটি বিকেল!
আজকের বিকেল ছিল একদিক থেকে যেমন খরচবহুল, তেমনি ক্লান্তিকর;
সাথে কিছুটা মন ভালো করবার রসদ ও জুগিয়েছে!
সব মিলিয়ে টক ঝাল মিষ্টি চানাচুরের মত! কাল থেকে শুরু করি, কারণ শেষটা জানাতে শুরুটা খানিক না জানলে শীর্ষক অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
গতকাল থেকে আমি টেলিভিশন দেখতে পাই নি! এর চাইতে দুঃখজনক বিষয় আমার কাছে নেই, কারণটা আগে অনেকবার উল্লেখিত;
এই টেলিভিশন হলো আমার নিত্য দিনের একমাত্র সঙ্গী, কাজেই ঐটি বিকল হলে, আমার শূন্যতা বেড়ে যায় একশ গুণ!
নিজে অনেক চেষ্টা করেও কাজ হয়নি!
কোনোরকমে গতকালটা অতিবাহিত করেছি আমার সঙ্গী টেলিভিশন ছাড়াই!
আজকে সকাল থেকে ঘরের কাজ সেরে উঠতেই সাড়ে তিনটে বেজে গেছে, কিন্তু তার আগেই এয়ারটেল অ্যাপ এর মাধ্যমে কমপ্লেইন রেজিষ্টার করে দিয়েছিলাম।
বিকল যন্ত্রাংশ! |
---|
আমার এয়ারটেল ব্ল্যাক কানেকশন তাই ভিজিটিং চার্জ ফ্রী!
তবে, কোনো যন্ত্র পরিবর্তন করতে তার দাম দিতে হবে।
সময় নির্ধারণ করলাম বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা।
এরপর, ফোন করে সার্ভিস ম্যান আসলো এবং জানালো এডাপ্টার নষ্ট হয়ে গেছে!
যাঃ বাবা! আবার খরচ? সাথে বললেন এইচডি সেট টপ বক্সের সাথে html কর্ড ব্যবহারে ছবি বেশি পরিষ্কার আসে।
টেলিভিশনের সাথে একরাশ তার খুব বিরক্তিকর বিশেষ করে পরিষ্কার করতে গেলে নানান ঝকমারি পোহাতে হয়।
তাই ভাবলাম, একটা কর্ড আর একটা এডাপ্টার দিয়ে কাজ মিটে গেলেই বেশ হয়।
- দুটো জিনিষ কিনতে খরচ হয়েছে:-
ভারতীয় মুল্যে | স্টিমিট মূল্য |
---|---|
Rs.500 | 21.60স্টিম |
একবারে তৈরি হয়েই নিয়েছিলাম, কারণ বাজার যাবার প্রয়োজন ছিল।
এরপর, নিজের নিত্য সঙ্গীকে সুস্থ্য করে রেখে বেরিয়ে পড়লাম বাজারের উদ্দেশ্যে।
প্রথমেই বিভিন্ন চারা গাছের দোকানে নজর পড়লো, ভারী সুন্দর সুন্দর ফুলেদের দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, মোবাইল বের করে কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
প্রকৃতির অবদান আমাকে সবসময় অবাক করে, আর মানুষ হয়েও কত নগন্য সেটা উপলব্ধি করতে পারি। যতই উন্নত হয়ে যাই না কেনো নির্ভর সদাই থাকতে হবে এই প্রকৃতির অবদানের উপরে!
আজকে অনেকদিন পর আমার এলাকার মিও আমোরে তে গিয়েছিলাম।
এ বছর অন্য সময় কেক খেলেও ক্রিসমাসের দিন কেক খাওয়া হয়নি।
আমার পছন্দের একটি স্লাইস কেক কিনলাম যার প্রতি স্লাইস এর দাম
ভারতীয় মুল্যে -Rs.22
- আমি কিনেছি 5 পিস, দাম নিয়েছে :-👇
ভারতীয় মুল্যে | স্টিমিট মূল্য |
---|---|
Rs.110 | 4.75স্টিম |
ওখান থেকে বেরিয়ে উল্টো দিকেই সবজির দোকানে গিয়ে আজকে যা কিনেছি:-👇
- নতুন আলু:- ২ কেজি।
- পেঁয়াজ:- ৫০০ গ্রাম।
- বিট:-৩০০ গ্রাম।
- ফ্রেঞ্চ বিনস্ :-২৫০ গ্রাম।
- বেগুন:-৫০০ গ্রাম।
- ফুলকপি:-২ টো।
- সিম:-২৫০ গ্রাম।
- মটরশুঁটি:-৫০০ গ্রাম।
- ধনেপাতা :- ১ আঁটি।
- পেঁয়াজ কলি:- ৫০০ গ্রাম।
ভারতীয় মুল্যে | স্টিমিট মূল্য |
---|---|
Rs.310 | 13.39স্টিম |
- এরপর মুদির দোকান থেকে এক্ ট্রে ডিম কিনেছি:-
ভারতীয় মুল্যে | স্টিমিট মূল্য |
---|---|
Rs.195 | 8.42স্টিম |
গোটা বিকেল মিলে আজকে খরচ হয়েছে:-
ভারতীয় মুল্যে | স্টিমিট মূল্য |
---|---|
Rs.1,115 | 48.17স্টিম |
হাতে যথারীতি ওজনের ভার এত বেশি যে, বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছনো দায় হয়ে গেছিলো।
মন্দের ভালো খরচের মাঝে ঘরের বাইরে বেরোতে পেরেছি, পছন্দের কেক কিনেছি আর সর্বোপরি রং বেরঙের ফুলেদের সন্ধান পেয়েছি।
বাড়িতে ফিরে সমস্ত জিনিষ নিজের নিজের জায়গায় রেখে দেখছি একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা।
নিজেকে একটু বিশ্রাম দেবার প্রয়োজনে বসলাম, এবং সেই ফাঁকে বুমিং পাঠিয়ে আমার সঙ্গীকে আমার ফেরার জানান দিলাম।
চাঁদের পাহাড় ছায়াছবির একটি দৃশ্য! |
---|
বহুবার দেখা সত্ত্বেও কিছু ছায়াছবি দেখার আগ্রহ কমে না কখোনো!
এরকম একটি ছবি হলো, চাঁদের পাহাড়! বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গল্পের উপরে নির্ধারিত ছবিটি আফ্রিকার মাশাইমারা কে যেনো জীবন্ত করে তুলেছে তার শব্দের ছোঁয়ায়।
ছায়াছবিটিতে শংকর (গল্পের নায়ক) এর ভূমিকায় বাংলা ছায়াছবির নায়ক দেব অভিনয় করেছে।
আমার মনে হয় দেবের জীবনের সবচাইতে মূল্যবান চরিত্র এই শংকর চরিত্র, যেটি তার অভিনয় জীবনের মাইলস্টোন।
ছায়াছবি দেখতে দেখতে ছোটো ছোটো দুটি তিনটি ভিডিও তুলে ধরলাম তাদের জন্য যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন।
গতকাল থেকে একটি দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি, এবং একবার খরচের দিক চিন্তা করে পিছিয়ে যাচ্ছি, আরেকবার মনের অন্তরালে ইচ্ছেরা উঁকি দিচ্ছে!
মাঝেমধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে ভাবতে হয় যখন মাথার উপরে কোনো ছত্রছায়া থাকে না!
জানিনা কি হবে, মন আর মাথার দ্বন্দ্বে বিজয়ী কে হয় সেটাই দেখার।
একটা বিকেল ফিরিয়ে দিলো আমার নিত্য সঙ্গীকে, বয়ে নিয়ে আসলো হিসেব বহির্ভূত খরচ!
এটাই হয়তো জীবনের অঙ্ক কখনও মিলে যায়, আবার কখনও পড়ে থাকে অবশিষ্ট!
Halo @sduttaskitchen postingan anda sungguh sangat menarik untuk di baca,saya selalu menunggu postingan " terbaru dari anda karena saya suka membacanya
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর-টক-ঝাল-মিষ্টি, একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য দিদি। আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম,আপনার টিভি, টা নষ্ট হয়ে গেছে। টিভি আপনার নিত্যদিনের ও আনন্দের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে। তাহলে এটা অনেক দুঃখের একটা বিষয়। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সারা বিকেল অনেক মজা করে, আপনার কাজ গুলি সম্পন্ন করেছেন,যা পড়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করছি। আমি অ্যাডভেঞ্চার ছবি অনেক পছন্দ করি, আমি এই ছবিটি দেখব অতি শীঘ্রই। আজকের পোস্টটি পরে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আর আপনার জন্য সব সময় দোয়া ও শুভকামনা রইল দিদি!
টেলিভিশন ঠিক ছিল, সমস্যা হয়েছিল এডাপ্টার এর, যেগুলো খারাপ হয়ে গেছিল, তার ছবি দিয়েছি লেখায়।
একা থাকি, কাজেই টেলিভিশনকে আমি একজন সদস্য রূপে দেখি, নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার পাশাপশি, টিভি চললে মনে হয়, আর মানুষ উপস্থিতি আছে ঘরে! এটা খানিক আমার ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠার সাধন।
চাঁদের পাহাড় ছায়াছবি দেখতে পারেন, আমার ব্যক্তিগতভাবে ছবিটি ভালো লেগেছে, কারণ তার আগেই আমার বইটা পড়া ছিল।
আমার কাছে সবচাইতে অবাক বিষয় লেগেছে, লেখক জীবনে কখনোই আফ্রিকা যান নি, তৎসত্ত্বেও মশাইমারা সম্পর্কে ওনার নিখুঁত বর্ণনা গায়ে কাঁটা দেবার মতো।
ছায়াছবি দেখেছি এবং ভালো লেগেছে কারণটা লেখায় উল্লেখ করেছি। আমার সাধারণত থ্রিলার এবং এডভেঞ্চারাস বিষয়বস্তু পছন্দের তালিকার শীর্ষে। প্রায় সমস্ত বই আমার পড়া সেটা ফেলুদা হোক, ব্যোমকেশ, শার্লক হোমস, অর্জুন সমগ্র, জিম করবেট, কাকাবাবু, মিতিন মাসি ইত্যাদি।
দিদি আপনার লেখা পড়ে মনে হলো যেন এক বিকেলের টুকরো গল্প চোখের সামনে ভেসে উঠছে! বাস্তব জীবনের ছোটখাটো জিনিসগুলো কতটা প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে পারে, সেটাই আপনি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
টেলিভিশনের সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে বাজার করা, কেক খাওয়া, আর রঙিন ফুলের সন্ধান সব মিলিয়ে যেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা। প্রকৃতির প্রতি আপনার মুগ্ধতা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। আর চাঁদের পাহাড় ছবির প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং দেবের অভিনয় নিয়ে বিশ্লেষণ, পুরো বিষয়টাকে আরও রঙিন করেছে।
আপনার দিনটা যেমন ব্যস্ত ছিল, তেমনি আনন্দের রসদও দিয়েছে। জীবনের এই টক-ঝাল-মিষ্টি মুহূর্তগুলোই তো আসলে আমাদের গল্পগুলোকে সমৃদ্ধ করে।
সত্যিই, এই বিকেলের গল্পটি মন ছুঁয়ে গেল।
অনেক ধন্যবাদ, আসলে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, আর এটাই আমার শৈশবের শিক্ষা যেটা আমার মা এবং বাবা তাদের দুই সন্তানকে শিখিয়ে গেছেন।
যখন পড়াশুনা করছিলাম, তখনও পড়াশুনার পাশাপশি, যোগাসন, গান, নাচ সব শিখেছি, ষ্টেজে প্রদর্শন করেছি। কাজেই, পরনির্ভরশীলতা স্বভাব কোনোদিন আমার মধ্যে দানা বাঁধতে পারেনি।
যারা টেলিভিশন দেখতে ভালোবাসে তাদের জন্য নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে এটাই কিন্তু যুক্ত থাকে।যেহেতু আপনার পরিবারে বা ফ্যামিলির মধ্যে আর কেউ নেই। তাই আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী এই টেলিভিশন। যেটা নষ্ট হওয়ার কারণে আপনার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে।
তবে আপনি সেটাকে খুব দ্রুত ঠিক করে নিয়েছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। তার চাইতে আপনার খরচ অনেক বেশি হয়েছে। আসলে আমরা নিত্যদিন চলতে গেলে আমাদের খরচ লাগবে এটা স্বাভাবিক। নিজের বাজার করার পরে আপনি আবার আপনার পছন্দের কেক নিয়েছেন।
চাঁদের পাহাড় এই ছবিটা আমি সামান্য পরিমাণে দেখেছিলাম আমার ভাইয়ের মোবাইলে, কিন্তু কখনো দেখা হয়নি পরিপূর্ণভাবে। আজকে যখন আপনার পোস্ট করে বুঝতে পারলাম ছবিটার মূল উদ্দেশ্য। তখন অবশ্যই ছবিটা দেখার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জীবনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
টেলিভিশন নয়, কিছু তার খারাপ হয়ে গেছিল। আর, টেলিভিশন আমি দেখি কোন শুনি বেশি!🤣
ঐটি আমার মস্তিষ্ককে বোকা বানাবার প্রয়াস মাত্র।
যাতে আমার মন অথবা মাথা এটা না বুঝতে পারে, আমি একা আছি।
তবে, যদি আমার কানে কোনো পছন্দের বিষয় পৌঁছোয়, তবে সেটা চোখ দেখতে চায়, যেমন গতকালের ছায়াছবি চাঁদের পাহাড়।
আমি কোনোদিন ওই কুটকাচালী ফ্যামিলি পলিটিক্স ছায়াছবি সিরিয়াল দেখিনা।
এমনকি অবাস্তব ভালোবাসার ছায়াছবি অথবা সিরিয়াল আমার পছন্দের তালিকা বহির্ভূত।
তার চাইতে রহস্যে ঘেরা বিষয় আমাকে বেশি আকর্ষিত করে।
মেকআপ করে চোখে জল, ঘুমাতে যাওয়া দেখলে আমার হাসি পায়।
তার চাইতে এডভেঞ্চার, রহস্যে ঘেরা বিষয়বস্তু আমি বেশি পছন্দ করি।