লাইফ স্টাইলঃ-আমার বাংলা ব্লগ সদস্য নেভলু ভাইয়া এবং বৃষ্টি আপু সাথে কাটানো সুন্দর একটি মুহূর্ত।
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
প্রিয় পরিবারের সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগে। আশা করি বন্ধুরা নিজ নিজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও সুস্থ আছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনাদের সবার দোয়ায়। সব সময় চেষ্টা করি নিজেকে ভালো রাখার এবং সবাইকে ভালো রাখার। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে নিজের প্রতি নিজের যত্নশীল হওয়া। কারণ এই পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে যারা অন্যের জন্য বেশি চিন্তা করে। তাই নিজের ভালো-মন্দ টুকু সব সময় নিজেকে খুঁজে নিতে হয়। যখন আমি নিজেই ভালো থাকব তখন পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে পারব। আগেই নিজে ভালো থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করতে হবে। আজকে বন্ধুরা আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের একটি ধারাবাহিক পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদেরকে ভালো লাগার বিষয়গুলো শেয়ার করে নিতে।
বন্ধুরা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন আজকে টপিকস কি হবে। আজকে আমি শেয়ার করব বৃষ্টি আপু @bristy1 এবং নেভ্লু @nevlu123 ভাইয়ার সাথে দেখা করার আরো একটি মুহূর্ত। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করার পর থেকে অনেক ইউজারের সাথে আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছে। সেটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে। এই কমিউনিটিতে কাজ করি বলেই আমার সৌভাগ্য হয়েছে অনেক ভালো মনের মানুষের সাথে দেখা করার। শুধু যে মানুষকে সরাসরি এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক থাকতে হবে এমন কোন কথাই নেই। অনলাইন জগতে ও বর্তমান সময়ে মানুষের সাথে খুব সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা যায়। তবে এ কথা আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ইউজাররা অনেক অমায়িক অনেক সোহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব নিয়ে সবাই চলাফেরা করে থাকেন।
আবার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রত্যেকটা ইউজার অনেক ভালো। আমার তো বেশ ভালো লাগে সবার সুন্দর মনোভাব দেখে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন নেভ্লু ভাইয়া এবং বৃষ্টি আপু। ওনাদের সাথে এর আগেও দেখা হয়েছে আমার সাথে কক্সবাজার। আসলে প্রথমবার সরাসরি দেখা করলেও যেকোন মানুষকে পরিমাপ করা যায়। যেহেতু এই প্লাটফর্মে আমরা কাজ করি কার মনোভাব কি রকম বেশ ভালোভাবে বোঝা যায়। আমি মনে করি নেভ্লু ভাইয়া অনেক অমায়িক একজন মানুষ। সেই সাথে ভাইয়ার সহধর্মিনী বৃষ্টি আপুর কোন তুলনা হয় না। অনেক ভালো লাগে প্রথম দেখাতেই বুঝতে পেরেছি কত ভালো মনের মানুষ। এর আগে যখন দেখা করেছিলাম তাদের সাথে খুবই ভালো লাগছিল।
আমাদের সাথে পরিচিত হওয়ার প্রথমবারের পরে এখন দ্বিতীয়বার দেখা হল বেশ কিছুদিন আগে। আজকে সেই ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। আপু এবং ভাইয়া যখন আসলো শুনছিলাম তখন যাওয়ার জন্য ইচ্ছে ছিল। উনারা আসবেন দেখা করব না তা কি করে হয়। যদিও শারীরিকভাবে তেমন সুস্থ ছিলাম না। তাই ভাইয়া আর আপু যখন আসলো শুনলাম আমার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলি সেই বিষয়ে। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে পরিবারের সবাই মিলে ভাইয়া এবং আপুর সাথে দেখা করবো। অসুস্থ থাকার সত্বেও এমন আপন মানুষ গুলো আসলেন দেখা করবো না তা কি করে হয়। সেজন্য আমরা মা মেয়ে তিনজন রেডি হয়ে গেছিলাম। আপনাদের ভাইকে বলছিলাম উনি বললো পরে যাবে যেহেতু অফিসে একটু ব্যস্ততা ছিল।
তাই আমি মেয়েদের সাথে নিয়ে চলে গেছিলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে নিভৃতের সাথে বাচ্চারা খুবই খেলা করে। ছোট বাচ্চা তো ছোট বাচ্চার সাথে মিলে যায়। যদিও নিভৃত প্রথম প্রথম একটু লজ্জা পাই এর পরে ঠিক হয়ে যায়। মাশাল্লাহ কিউট চেহারাটা আমার খুবই ভালো লাগে। তার চাল চলন আমার পছন্দের। ভাইদেরকে বাসায় আসার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম। যেহেতু ভাইয়ার আরো একজন বন্ধু আসছিল তাই ভাই আসলো না। সেইদিন আপু আমার জন্য বেশ মজার একটি নাস্তা তৈরি করে আনছিল। নাস্তাটির নাম আমি ভুলে গেছি। মনে হয় নারকেলের সন্দেস। এতই মজা ছিল ঘরোয়া তৈরি খাবার আমি তো ফ্রিজের রেখে অনেক দিন খেয়েছিলাম।
তবে খারাপ লাগলো সেই স্মৃতিটা আমি একটা ছবি করে রাখতে পারি নাই। ভাইয়া আমাদেরকে নাস্তা খাওয়াই ছিল। ঝাল ঝাল ফুচকা খেতে খুবই ভালো লাগছিল। কিছু খাওয়াইতে চাইলাম ওনাদেরকে ওনারা সেটা করতে দিল না ভাইয়া সব বিল দিয়ে দিল। অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছি সবাই মিলে। সেইদিন ভাইয়েরা নাকি মহেশখালীতে গেছিল তাদের চেহারাটা খুবই ক্লান্ত মনে হয়েছিল। তাই আমিও আর বেশি দেরি করি নাই যেহেতু একটু অসুস্থ ছিলাম তাই আগেভাগে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলাম আর বাচ্চাদের পড়ালেখা ছিল।
সবকিছু মিলিয়ে সেদিন অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল। সেদিন ভাইয়াকে বলছিলাম যে আপনাকে একটি কফি খাওয়াই। তখন আমরা কড়াই রেস্টুরেন্টে চলে গেছিলাম সেখানকার কফি গুলো খেতে খুবই মজার। বাচ্চারা যেহেতু কোলড্রিংস খাবে তাই বাচ্চাদের জন্য স্ট্রবেরি আর চকলেট মিক্স মিল্ক শেক অর্ডার করেছিলাম। আর আমাদের জন্য কফি অর্ডার করেছিলাম। অবশেষে খাওয়া দাওয়া করে সেই বিলগুলোও ভাইয়া দিয়ে দিল। ভাইয়া তো একদম সুযোগ দিলা না। এক কথায় বলতে গেলে ভাইয়া অনেক হেল্পফুল একজন মানুষ। যখন কোন সমস্যার জন্য ভাইয়াকে নক করি তখন উনি আমাকে সহযোগিতা করে থাকেন।
অনেক কিছু জটিলতা থাকে অনেক সময় অনেক কিছু করতে যেয়ে প্ল্যাটফর্মের অনেক কিছু বুঝি না। সেগুলোর জন্য যখন ভাইয়াকে নক করি ভাইয়া খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দেন আমাকে সহযোগিতা করে থাকেন। এই দিকটা আমি কখনো ভুলবোনা ভাইয়ার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অনেক বেশি। আসলে সব সময় যে রক্তের সম্পর্কের ভাই বোন হবে এমন কোন কথা নেই। ভাইয়া কে আমার আপন ভাইয়ের মতই মনে হয়। অনেক ভালো লাগে ভাইয়া আর আপুকে। আর বৃষ্টি আপু তো আছে উনি আরো অনেক ভালো। তবে একটি কথা আমি সবসময় মানুষের কাছ থেকে শুনি। সেটা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা নাকি যে যেমন তার জন্য এমন একজন হাজব্যান্ড জুটাই। যে যেমন তার জন্য এমন একটি ভাল মনের স্ত্রী নাকি সৃষ্টিকর্তা রাখেন ভাগ্যের মধ্যে।
তাই দুজনের কথা আসলে প্রশংসনীয়। সেই সুন্দর মুহূর্তটি আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগ পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে সব সময় সবখানে।
ডিভাইসের নাম | Wiko-T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#beautifulmoment #amarbanglablog-member #feelingexcited #amarbanglablog #steemit #steemexclusive #shy-fox
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃষ্টি আপু এবং নেভলু ভাইয়ের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বৃষ্টি আপু আপনার জন্য নারকেলের সন্দেশ নিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। বাচ্চারা নিশ্চয়ই খুব মজা করেছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
খুব মজার ছিল আপু নারকেল বাদামের সন্দেশ গুলো খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ এরকম অনুভূতির পোস্টগুলি পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি সঠিক বলেছেন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ইউজাররা সব সময় সবার সাথেই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। নেভলু ভাই এবং বৃষ্টি আপুর সাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন আপনি। আপনার মেয়েরাও দেখতেছি ভীষণ খুশি হয়েছিলো। সেই সাথে আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।
ওরা দুইজন এত ভালো মনের মানুষ তাদের সাথে দেখা করতে পারলে খুব ভালো লাগে।
একথা একদম ঠিক বলেছেন, রক্তের সম্পর্ক এই যে শুধুমাত্র সম্পর্ক হয় তা নয়। পরিবারের বাইরে ও এমন কিছু সম্পর্ক থাকে যা জীবনের প্রতি পদে পদে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাদের ভার্চুয়াল এই পরিবারের সদস্যদের সাথে সামনে দেখা হলে আমার কি অনুভূতি হবে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না তবে আপনাদের একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগছে। এভাবেই তো বন্ধু তৈরি হয়।
আশা করি এখানে কাজ করতে থাকলে কোন একদিন না একদিন দেখা হয়ে যাবে। সেই অনুভূতিগুলো আমরা জানতে চাইবো তখন।
আমার ডেইলি টাস্ক:-
Twitter Link
আপনার সাথে দেখা করে আমাদেরও অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনি ও ভাইয়া দুজনই অনেক ভালো মনের মানুষ। মেয়েগুলো অনেক কিউট, খুব সুন্দর মিশে গিয়েছে আমাদের সাথে ও নিভৃতের সাথে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো।
আপু সেই সময়টা এত বেশি আনন্দের ছিল যে কখনোই ভোলার মত নয়।নিভৃত এবং আদিলা দুজনেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিল। কারণ দুজনে বেশ খুনসুটি করেছিল। তাদের এই মুহূর্তগুলো যখন দেখছিলাম খুবই ভালো লাগছিল। আর কক্সবাজারের কথা মনে পড়লে আপনাদের কথা মনে পড়ে যায়। মনে হয় যেন সেখানে আমাদের এক টুকরো অংশ রয়ে গিয়েছে। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে। এত সুন্দর করে কথাগুলো লিখেছেন যে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। তবে আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছিল। কারণ এইবার ভাইয়ার সাথে আমার দেখা হয়নি। গতবার অবশ্য দেখা হয়েছিল সেই মুহূর্তগুলো ভালোভাবে এনজয় করেছিলাম। আপনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আমাদের মাঝে সময় দিয়েছিলেন এটাই তো আমাদের জন্য অনেক ভাগ্যের বিষয়।
হ্যাঁ আপু আমার মেয়েরাও নিভৃতের কথা বলতে থাকে সব সময় ।আর তাকে তো পেলে মেয়েরা অনেক বেশি খুশি হয়। আশা করি আবারও আসবেন আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে।
কক্সবাজার যতবার যাবো ততবারই যেন ভালো লাগবে আপু। আর আপনারা আছেন সেখানে এজন্যই বারবার যেতে ইচ্ছে করে।
নিভলু ভাইয়া এবং বৃষ্টি আপু সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। আপনাদের সকলকে দেখে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া, গল্প করে মুহূর্ত গুলো খুবই দারুন করে তুলেছেন। এতো সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
যখন কমিউনিটির কারো সাথে দেখা হয় তখন খুব ভালো লাগে সেই সময় গুলো কাটাতে।