ভাইয়ের বিয়ের মুকুট কেনার অভিজ্ঞতা ❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন।আমি খুব বেশি ভালো নই অতিরিক্ত গরমের কারণে নাজেহাল অবস্থা। জ্বর জ্বর লাগছে।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ভাইয়ের বিয়ের জন্য মুকুট কেনার অভিজ্ঞতা। যদিওবা ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে দু মাস চলছে কিন্তুু মুকুট কেনার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেয়া হয়নি।মুকুটের ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম কিন্তুু শেয়ার করা হয়নি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
হিন্দুধর্মাবলীদের বিয়ের প্রধান হলো বর বউ এর মুকুট।আগেকার দিনে বিয়ে ঠিক হলে গ্রামের মালাকার দের ডাক পড়তো এবং মুকুট বানিয়ে দেয়ার অর্ডার করা হতো বানিয়েও দিতেন সোলা দিয়ে। কালের পরিবর্তনে ও সব কিছুর পরিবর্তনের ফলে এখন অহরহ নানান বাহারি রকমের মুকুট কিনতে পাওয়া যায় বাজারে।
নিজের বাজেট অনুয়ায়ী পছন্দসই মুকুট কেনা যায়।আমিও ভাইয়ের মুকুট কিনতে গিয়েছিলাম। যদিও না একদিন দেখে পছন্দ করে এসেছিলাম মুকুট টি।এই সেই পছন্দের মুকুট। মুকুটটির নিচে পাগড়ি ও খুব সুন্দর করে গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো।
বেশ কয়েক প্রকারের মুকুট ছিলো এই দোকানে।সর্বনিম্ন ৬০০ এবং সর্বোচ্চ ৫০০০হাজার দামের মুকুট ছিলো দোকানে।আমার পছন্দের মুকুটটির দাম ছিলো ২৫০০টাকা।তবে উপজেলায় ও একটি দোকান আছে মুকুটের তাই বর বল্লো ঐ দোকানে আগেে গিয়ে দেখে আসি তারপর এখানে আসবো।এরপর সেই দোকানে যাওয়া হলো এবং দেখলাম মোটামুটি বেশ ভালোই ছিলো একটি মুকুট তবে দাম বেশি হয়ে যাচ্ছে মুকুটের তুলনায়।নিম্নের এই মুটকটি সেটি।
এই সাদা মুকুটটির দাম ছিলো ৫০০০ হাজার টাকা তবে আমার একদমই পছন্দের নয়।এই সাদা মুকুটের বিশেষত্ব মাঝে মাঝে মুক্তা বসানো।
নিম্নের এই মুকুট গুলো সাতশত,আটশতোও এগারোশো টাকার মধ্যে।
তবে আমি সব মুকুটের মাঝে লাল গোলাপ ও পাগাড়িওয়ালা মুকুট নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য সাবধান তার সাথে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে আনার পর সবাই আমার কেনা পছন্দের মুকুটটি পছন্দ করেছিলেন।কোনকিছু নিজে পছন্দ করে আনার পর যদি সবাই পছন্দ করে তাহলে সত্যি খুব ভালো লাগে।
এই ছিলো আমার মুকুট কেনার অভিজ্ঞতার কথা।জীবনে প্রথম বার কিনলাম এই মুকুট তবে সমস্যা হয়নি মুকুট নির্বাচনে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোষ্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ভাইয়ের মুকুট কেনার সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করেছেন আপু।মুকুট গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আমরা কাছে খুব ভালো লাগে মুকুট। নিজের কেনা জিনিস যখন সবাই পছন্দ করে তখন অনেক ভালো লাগে।এতো সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ সত্যি নিজের পছন্দ করে কেনা কিছু সবাই পছন্দ করলে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এখন সবারই হালকা পাতলা জ্বর জ্বর লাগছে, আপনি একটু সাবধানে থাকবেন দিদি। সত্যি কথা বলতে, মুকুট কেনার কোনো অভিজ্ঞতা আমার নেই। আপনি এখানে যে সাদা মুকুট টা দেখিয়েছেন, ওটা কিন্তু আমারও খুব বেশি একটা পছন্দ হয়নি। তবে আপনি যে লাল গোলাপ ও পাগাড়িওয়ালা মুকুটটা পছন্দ করেছেন, ওটা কিন্তু আসলেই বেশ ভালো ছিল দিদি, এজন্যই সবাই খুব প্রশংসা করেছে।
আপনার বিয়েতে কিনিয়েন অভিজ্ঞতা হবে মুকুট কেনার।সত্যি গোলাপ মুকুটটি অনেক সুন্দর।
নিজের বিয়ের মুকুট নিজে কিনেছে , এরকমটা আমি কখনো শুনিনি দিদি! 🤔😁😁 আমার বিয়ের আগে আপনাকে নিমন্ত্রণ করা হবে, আপনি এসেই আমার বিয়ের মুকুট কিনে দিয়েন দিদি।
হাহাহাহা ঠিক আছে।
বিয়ের মুকুট মে হিন্দুধর্মাবলীদের বিয়ের প্রধান একটা বিষয় এই জিনিসটা আমার জানা ছিল না। আপনি মুকুট কিনার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। সাদা মুকুট এর দামটা জেনে অবাক হলাম। আসলেই দাম অনেক বেশি। তবে আপনার পছন্দ করা মুকুট খুব সুন্দর হয়েছে। আর সবাইও খুবই পছন্দ করেছে এটা। আসলেই তাই, নিজের পছন্দ করা জিনিসগুলো বাকিদেরও পছন্দ হলে খুবই ভালো লাগে।
হ্যাঁ আপু সাদা মুকুটে মুক্ত বসানো আছে জন্য এতোটা দাম তবে আমার পছন্দ নয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে গাংনী বাজারে আপনার ভাবির সাথে এক মার্কেটে উপস্থিত হয়েছিলাম। বিয়ের মধ্যে আপনার ভাবির সাথে মুকুট বিষয়ে কথা হয়েছিল। সে বলেছিল বিয়েতে মাথায় মুকুট যে আসোনি কেন। আমি বলেছিলাম হঠাৎ বিয়েতে মুকুট কি হবে আর মুকুট কোথায় বিক্রয় করে সেটা তো জানিনা। সেকথা মাথায় রেখে সেই দিন বাজারে এসে হঠাৎ দোকানে মুকুট দেখতে পেয়ে বলছে যে জায়গায় মুকুট রয়েছে কিনে রাখো। আমি হঠাৎ ইয়ার্কি করে বললাম ক্যান, কিনে রাখবো কেন? তোমার স্বামীর আবার বিয়ে হবে নাকি। যাই হোক মুকুট কেনার অনুভূতিটা বেশ ভালো লাগলো যেখানে ২৫০০ টাকার টা বেশি পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
হাহাহাহা ভাবি মনে হয় বিয়ে দিতে চায় আপনার।ভাবিকে খুশি করাতে আপনি বিবাহবার্ষিকীতে মুকুট মাথায় ভাবির সামনে গিয়ে আর একবার কবুল বলতে পারেন কিন্তুু😄।
ভাইয়ের বিয়েতে মুকুট কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দামের মুকুট রয়েছে তার মধ্যে ২৫০০ টাকা দামের মুকুটটা আপনাদের পছন্দের ছিল। আর এভাবেই মুকুট কেনা বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু নিজের কেনা কোনো জিনিস যখন অন্য কেউ পছন্দ করে তখন বেশ ভালই লাগে। বিয়ের জন্য কেনাকাটা কিংবা বিয়ে উপলক্ষে নিজের জন্য কেনাকাটা করতে বেশ ভালই লাগে। ভাইয়ের জন্য বিয়ের মুকুট কেনার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মুকুট কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।