হরিদ্বার থেকে যমুনোত্রী যাওয়ার পথে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে হরিদ্বার থেকে যমুনোত্রী যাওয়ার পথে কিছুটা মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি ।আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গাড়ওয়াল হিমালয়ের পশ্চিম দিকে, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায়, যমুনোত্রী নামে পবিত্র স্থান রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩২৯৩ মিটার উপরে, যমুনোত্রী তার বিশাল পর্বতশৃঙ্গ, হিমবাহ এবং যমুনার প্রবাহিত জলের সাথে গর্বের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। যমুনা নদী, ভারতের দ্বিতীয় সবচেয়ে পবিত্র নদী। এটি উত্তরাখণ্ডের ছোটো চার ধাম যাত্রার তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।পূজনীয় দেবী যমুনাকে সূর্যের কন্যা এবং যমের (মৃত্যুর দেবতা) যমজ বোন বলা হয়। বেদে যমুনাকে যমী (জীবনের রমণী) বলা হয়। যমুনার পবিত্র জলে স্নান সমস্ত পাপ পরিষ্কার করে এবং অকাল বা বেদনাদায়ক মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
যমুনোত্রী জায়গাটা উত্তরাখন্ডের চারধামের মধ্যে একটি ধাম । আমারা প্রথম দুই রাত্রি হরিদ্বারে থাকার পর তিন দিনের দিন যমুনোত্রী যাওয়ার কথা ছিল ।এবারই ছিল আসল যাত্রা শুরু ।কারণ এই চারটে ধামের মধ্যে একটি ধাম শুরু হল তাই খুব আনন্দে ছিলাম ।হরিদ্বার থেকে সকাল ৭ টায় বেরিয়ে গেলাম। এরপর মাঝখানে ব্রেকফাস্ট করলাম ।যমুনোত্রী যেতে একটি বড় শিব মন্দির পরে ছিল সেখান পুজো দিয়ে আবার যাত্রা শুরু করেছিলাম। তারপরে পরে আবার মাঝপথে কেম্পটি ফলস আর যেটা দেখার জন্য আবার আমরা সবাই নেমেছিলাম ।আর কেম্পটি জলপ্রপাত হল সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং মুসৌরির কাছে প্রাচীনতম পর্যটন স্পটগুলির মধ্যে একটি ।
তারপর দুপুরে লাঞ্চ করে গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো। যমুনোত্রী পৌঁছতে প্রায় আটটা বেজে গিয়েছিল। অর্থাৎ ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা গাড়িতেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম ।তার মধ্যে ছিল ভীষণ ঠান্ডা ।যেহেতু এত ঘন্টার জার্নি ছিল খুব ক্লান্ত লাগছিল। তাই হোটেলে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে নিলাম। পাহাড়ের রাস্তায় খাওয়া নিয়ে কিন্তু অনেক সমস্যা থাকে। কারণ এখানে খাবার টেস্ট এমনকি চাল ,ডাল সবকিছুই আলাদা থাকে তাই খুব কষ্ট করেই খেয়ে নিতে হয় ।আর তার মধ্যে যেহেতু সন্ধ্যাবেলা কিছু খাওয়া হয়নি তাই যা পেয়েছিলাম সেই খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
কারণ পরের দিন ভোর চারটে উঠে যমুনোত্রী তে ওঠার পালা । অর্থাৎ ১৪ কিলো মিটার হেঁটে উঠতে হবে। আর আর এই যমুনোত্রী যাত্রা কেমন হয়েছিল আমাদের ,তা আমি আপনাদের পরের পর্বে ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

টানা ১০-১১ ঘন্টা গাড়িতে জার্নি করা খুবই কষ্টের। তবুও চার ধামের মধ্যে প্রথম ধামের উদ্দেশ্য যাত্রার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সাদা মার্বেল পাথরের শিবলিঙ্গ টি দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
দিদি খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অনেক কিছু জানতে পারলাম।১০/১১ ঘন্টা জার্নিতে ক্লান্ত হওয়ারই কথা। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লেগেছে।যমুনোত্রী যাত্রা কেমন হয়েছিল তা অবশ্যই পরের পোস্টে জানতে পারবো।ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
দিদিভাই, লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম আর সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবিগুলো যখন দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল আমিও যেন আপনাদের সঙ্গে ভ্রমণের যাত্রী হিসেবেই ছিলাম। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য 🙏
নতুন কোন জায়গায় গেলে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হয়। দারুন দারুন পরিবেশে ঘুরার সুযোগ হয়। তবে অনেক সময় খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয়। যমুনোত্রীতে ওঠার জন্য ১৪ কিলোমিটার হাঁটতে হবে এটা শুনেই তো ভয় লাগছে দিদি। আশা করছি পরবর্তী পর্বে সেই গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দিদি।
সুন্দর ও মুগ্ধকর কিছু দৃশ্যের সাথে সাথে যমুনোত্রী সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্যও জানতে পারলাম। সত্যি বলতে দিদি আপনার পোষ্টগুলোর প্রতি এই কারনে আকর্ষণ থাকে যে আপনি বিস্তারিত তথ্য সংযোগ করে দেন। ধন্যবাদ
দিদি,চারটে ধামের মধ্যে প্রথমেই যমুনোত্রী দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।পাহাড়ের গায়ে কেমন আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো এবং ঘরবাড়িগুলি রয়েছে।দেখেই চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।নতুন পরিবেশে খাওয়ার সমস্যাটা স্বাভাবিক।যাইহোক আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম,ধন্যবাদ দিদি।