"কৃতঘ্ন ব্যক্তি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১০ ই ফেব্রুয়ারি,শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। মানুষ হিসাবে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব এবং সামাজিক একটি জীব। আর সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে আমরা গর্ববোধ করি আমি জানিনা সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে আমাদের গর্ববোধ করাটা কতটা যৌক্তিক তবে তারপরেও গর্ববোধ করি। সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে গর্ববোধ করা তখনই মানায় যখন আমরা সৃষ্টির সেরা কাজটা বা কোন মহৎ কাজের করতে পারি।
সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবাই মিলে একসাথে সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা বই এ পড়েছি যে ব্যক্তি উপকারীর উপকার স্বীকার করে তাকে বলা হয় কৃতজ্ঞ, যে ব্যক্তি উপকারীর উপকার স্বীকার করে না তাকে বলা হয় অকৃতজ্ঞ আর যে, ব্যক্তি উপকারীর অপকার করে তাকে বলা হয় কৃতঘ্ন। আজকে আমি এমনই একজন কৃতঘ্ন ব্যক্তির কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার লেখাটি পড়া শুরু করি।
কয়েকদিন আগে রাতে হঠাৎ করেই মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডের কাঁচা বাজারে মেসের কিছু বাজার করতে গিয়েছিলাম আপনাদের সাথে এর আগে শেয়ার করেছিলাম। সেদিন বাজার করতে করতে প্রায় রাত সাড়ে দশটা বেজে গিয়েছিল। আমরা মোহাম্মদপুরের কাঁচা বাজার থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাসায় আসতেছিলাম। আমাদের সাথে যে, বড় ভাই গিয়েছিল তার কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য রাস্তার পাশের ফুটপাতের দোকানে একটু দাঁড়ালাম।
আমরা দাঁড়িয়ে ভাই যে, জিনিসগুলো নিবে সেগুলো চয়েস করতেছিলাম ঠিক এমন সময়েই বাইরে থেকে একজন লোক এসে দোকানদারের কাছে বলল যে ভাইয়া আমার ১০০০ টাকা নোট ভাংতি নেই আমার ভাংতি টাকার প্রয়োজন যদি আমার এক হাজার টাকার নোটটা ভাঙিয়ে দিতেন তাহলে অনেক উপকার হতো। তখন দোকানদার সহজ সরল চিত্তে কয়েকটি ১০০ টাকার নোট আর ৫০ টাকার নোট গুছিয়ে এক হাজার টাকা ওই লোকের হাতে দিয়েছে।
তারপর লোকটি সেই খুচরা টাকাগুলো নিয়ে ১০০০ টাকার নোট আর দোকানদারকে দেয়নি। আমরা সেখানে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো দেখছিলাম এদিকেও দোকানদারের একটু নজর ছিলো কিন্তু তার সাথে হঠাৎ করেই কি যে ঘটে গিয়েছিল সে নিজেও কিছুই টের পায়নি। এর মাঝেই ওই লোকটি দোকানদারকে এক হাজার টাকার নোট না দিয়ে ভাংতি টাকাগুলো নিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছে।
আমরা আমাদের মত জিনিস দেখাতে ব্যস্ত তারপর দোকানদার দেখি কিছু একটা খুঁজছে। তারপর আমার ছোট ভাই জীবন বলল যে, আচ্ছা আপনার সমস্যা কি আপনি কিছু একটা করছেন মনে হচ্ছে। তখন দোকানদার আমাদেরকে বলতেছে যে, একজন অচেনা লোক ভাঙতি করতে আসছিল আমি টাকা ভাঙিয়ে দিয়েছি কিন্তু এক হাজার টাকার নোট আমি ফেরত নিয়েছি কিনা আমার মনে পড়ছে না আর টাকাটা খুঁজেও পাচ্ছিনা।আমরা তখন বললাম যে আচ্ছা সমস্যা নাই আপনি আমরা খুজে দেখি টাকাটা পাই কিনা দেখি।
তখন আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু এক হাজার টাকার নোট আর খুঁজে পেলাম না। আর ওই কৃতঘ্ন ধোঁকাবাজ ব্যক্তিকেও আশেপাশে কোথাও খুঁজে পেলাম না। তখন দোকানদার আমাদেরকে বলল যে, আসলে ১০০০ টাকার নোট আমি উনার থেকে হয়তো নিতেই ভুলে গিয়েছিলাম। তখন আমরা বললাম যে আপনি সহজ সরল মানুষ আপনি ১০০০ টাকার নোটটা আগে নিয়ে তারপর ভাংতি টাকাটা দিতে পারতেন কিন্তু আপনি মানুষকে উপকার করতে গিয়ে নিজেই ক্ষতির সামনে পড়ে গেলেন। হঠাৎ করেই আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার জন্য আমাদের অনেক খারাপ লাগছিলো।
কারণ এই লোক সারাদিন ধরে বিক্রি করেও ১০০০ টাকা রোজগার করতে পারে না। আর মানুষকে উপকার করতে গিয়ে যদি নিজের ক্ষতি হয় তাহলে মানুষ পরবর্তীতে আর উপকার করতে চাইবে না। এজন্য ঢাকা শহরে চলার সময় ভাঙতি নোট না থাকলে কোথাও থেকে টাকা খুচরা খরা সত্যিই অনেক বেশি ঝামেলা হয়ে পড়ে। এই দোকানদারই চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, এই নিয়ে সহজ-সরল একজন ব্যক্তি কিন্তু একজন ধোঁকাবাজের পাল্লায় পড়ে তার বেশ ক্ষতি হয়ে গেল।
কারো থেকে উপকার গ্রহণ করে তার অপকার করাটা সত্যি বেশ খারাপ কাজ। এরকম কৃতঘ্ন ব্যক্তির জন্য ভালো মানুষজন মানুষকে উপকার করতেও ভয় পায়। উপকারীর অপকার করাটা বেশ খারাপ কাজ। আমার মনে হয় যে সকল ভালো ব্যক্তিরা মানুষকে উপকার করে তারা কারো থেকে উপকার পাওয়ার আশা করে না তবে এটাও আশা করে না যে, যাকে উপকার করল সেই ব্যক্তি তাকে আবার অপকার করবে। তবে সবার উচিত মানুষকে উপকার করলেও সঠিক মানুষ দেখে সাবধানতা এবং সতর্কতার সাথে উপকার করতে হবে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরণ| জেনারেল রাইটিং
ডিভাইস| স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা| ১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন|মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আসলে যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না তাদের বিবেক মানসিকভাবে বিকৃত। কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলে পরবর্তীতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে উপকার করতে ভালো লাগে না। কারণ অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি কখনো ভালো মানুষ হতে পারে না। যে উপকার পেয়ে ভুলে যায় এমন ব্যক্তি ধোকাবাজ হয়ে থাকে। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই যারা মানুষের উপকার স্বীকার না করে বরং অপকার করে তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
আসলে কৃতজ্ঞতা অনেক বড় একটি বিষয়৷ আমরা মনে করি কৃতজ্ঞতা করলে অথবা না করলে কিছুই যায় আসে না। তবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মাধ্যমে অনেক কিছুই ফুটে উঠে৷ যদি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করি, তাহলে যে ব্যক্তি আমাদের উপকার করেছিল সে ব্যক্তি আর আমাদেরকে উপকার করতে চাইবে না৷ একইভাবে আমাদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা৷ আমরা যদি কারো উপকার করি এবং সে যদি আমাদের এই কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে তাহলেও আমাদের আর তাকে সাহায্য করতে ইচ্ছে করে না। অথচ তার জন্য আমরা কত কিছুই করেছি৷ তখন আমাদের সাহায্য করতেও ভালো লাগেনা৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর পোস্ট পড়ে৷
আসলে ভাই কৃতজ্ঞতা না প্রকাশ করলেও খারাপ লাগে না কিন্তু যখন উপকারের অপকার করে তখন বেশ খারাপ লাগে। আর যে সকল ব্যক্তি উপকারের অপকার করে তাদেরকেই কৃতঘ্ন বলা হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার পোস্টটি আমার অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া।এখনকার দিনে এরকমই বেশি দেখা যায়।বেশিরভাগ লোকজন উপকারকারিকে নিজের কার্য সিদ্ধির পর আর চিনেন না।অর্থাৎ তাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন না তার উপকারের।আর এইসব লোকদেরই কৃতঘ্ন নামে অভিহিত করা হয়।ভালো লাগলো পোস্টটি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কৃতঘ্ন ব্যাক্তি ভীষণ ভয়ংকর হয়ে থাকে।তাঁরা সুযোগ পেলেই মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে।এই সমস্ত কৃতঘ্ন ব্যাক্তির জন্য মানুষ মানুষ কে ভয় পায়।মানুষ মানুষের উপকার করতে ভয় পায়।কি যে ভয়ংকর মানুষ তা পরিস্থিতিতে পড়লেই বোঝা যায়।ধন্যবাদ আপনাকে একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দিদি কৃতঘ্ন ব্যক্তি বেশ ভয়ংকর হয়ে থাকে সুযোগ পেলেই মানুষের থেকে উপকার নিয়ে তাদেরকে অপকার করে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।